Importance of Christmas in Bengali

www.rajyogpathshala.com

 



বন্ধুগন আসন্ন বড় দিন বা খ্রিষ্টমাস উপলক্ষে আপনাদেরকে  জানাই আন্তরীক প্রীতি ও শুভেচ্ছা, বন্ধুগন খ্রিষ্টমাস দিনটিতে শুধুমাত্র যারা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আছেন, তারাই শুধু খ্রিষ্টমাস পালন করেন তা নয়, অন্যান্ন  ধর্মাবলম্বীরাও এই দিনটিকে, খুবই আনন্দ ও উৎসাহের সাথে পালন করেন, কারন এই দিনটির সাথে অনেক আধ্যাত্বিক তাৎপর্য জড়িয়ে রয়েছে!

আবার এই দিনটিকে সবাই বড় দিন বলেও পালন করেন, এবং দীর্ঘদিন ধরেই এই ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড় দিন হিসাবে পালন করে আসচ্ছেন। আপনারা যারা আধ্যাত্বিক অন্বেষণ কারী ব্যক্তিত্বরা আছেন,এই ভিডিও আপনাদেরই জন্য!ভিডিওটি শেষ পর্য্যন্ত দেখবেন,আশা করি আপনাদের জীবনে এক আধ্যাত্বিক জাগরণ হবে! আমি চন্দন কুমার সাহা মোটিভেশানাল স্পিকার,লাইফকোচ, মাইন্ডট্রেইনার, হেলথ এরয়ারনেস ট্রেইনার এবং রাজযোগ শিক্ষক! 

এই ভিডিও জীবন জিজ্ঞাসার এক নতুন দিক উন্মোচন করবে! আচ্ছা বন্ধুগন, শ্রীকৃষ্ণ যেই দিন জন্মে ছিলেন, সেই দিনটিকে আমরা জন্মাষ্টমী হিসাবে জানি! এমন কি প্রতি বৎসর ঐ দিনটিতে জন্মাষ্টমী হিসাবে পালনও করে আসচ্ছি,কৃষ্ণ ও ক্রাইষ্ট রাশী কিন্তু এক! কিন্তু ২৫ ডিসেম্বরটিতে খ্রিষ্টমাস ডের পাশা পাশি বড় দিন হিসাবে পালন করা হয় কন? শুধু তাই নয়, এই দিনটিতে সান্তা ক্লোজের নাম আসবে না তা হতেই পারে না, তা না হলে  খ্রিষ্টমাস পালনই হবে না! 

অনেকের ধারনা, যীশুই অর্থান যীশু খ্রিষ্টই হল সান্তা ক্লুজ, যিনি প্রতি বৎসর ২৫ শে ডিসেম্বর আমাদের পৃথিবীতে আসেন, আর প্রত্যেক কে বিভিন্ন গিফট দিয়ে যান, আনন্দ দিয়ে যান, এই ধরনের মান্যতা রয়েছে, আজ এই যে মান্যতা রয়েছে,তার প্রেক্ষাপটে ,আমার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি মাত্র..... আচ্ছা বন্ধুগন, প্রথমে আমার এক প্রশ্ন- যদি এই দিনটি থেকেই দিন বড় হতে শুরু করে, তাহলে তো দিন বড় হতে হতে এমন এক দিন আসবে, যেই দিন অনেক বড় হবে, 

তাহলে ঐ দিনটিকে কেন বড় দিন বলা হয় না, বাস্তবে তার কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য বা যুক্তি আমাদের কাছে নেই,আসলে পরমপিতা পরমাত্মা যাকে গড, আল্লাহ্, জীহোবা, শিব, সন্তাই, ইত্যাদি নামে ডাকা হয়, যিনি সম্পূর্ন নিরাকার, তিনি কলিযুগের রাতকে সত্য যুগের দিন বানানোর জন্য, অর্থাৎ সম্পূর্ন নরক দুনিয়াকে সম্পূর্ন স্বর্গ বানানোর জন্য বা তমোপ্রধান দুনিয়াকে সতোপ্রধান বানানোর জন্য এই ধরা ধামে অবতির্ন হন, আর এই দিনটিকেই তো বড় দিন মনে করা উচিত,বিবেক কি বলে? এতদিন যা শুনে এসেছি তা সত্য? না এখন যা পরমাত্মা বলছেন তা সত্য? 

সেই মহান দিনটিতেই ব্রহ্মার রাত, ব্রহ্মার দিনে পরিনত হয়! বন্ধুগন, তিনি নিরাকার হওয়ার কারনে দাদা লেখরাজ জীর দেহে প্রবেশ করেন, মানব শরীরে প্রবেশ করাকে বাস্তবে, অর্থাৎ গীতাতে পরকায়া প্রবেশ বলা হয়েছে, যদা যদা হী ধর্মস্য গ্লানির ভবতি ভারত এই শ্লোকে আমরা সবাই জানি সবাই পরিচিত সবাইর অনেক ভাবাবেগ রয়েছে..... আমরা যদি আরেকটু ভেবে দেখি তাহলে শান্তা ক্লোজের সঙ্গে আধ্যাত্মিক রহস্যের অনেক সামঞ্জস্য খুজে পাব, প্রথমত লাল টুপি দেখানো হয়েছে,যা আসলে ঈশ্বরের প্রতিক, ঈশ্বর পরমধাম নিবাসি, সেখান থেকে লাল শক্তির শ্রোত শুধু আমাদের প্রদান  করে চলেছেন,মনকে শান্ত করলেই এই শক্তি আমরা অনুভব করতে পারি! 

টুপির শেষ প্রান্তে যে স্টার দেখানো হয়েছে, তা বাস্তবে ব্রহ্মার আত্মার প্রতিক,যে শরীরে পরমাত্মা প্রবেশ করেছেন! সাদা দাড়ি দেখানো হয়েছে, আসলে তা বৃদ্ধ ব্রহ্মার প্রতিক, পরনে যে লাল বস্ত্র রয়েছে তা শিব বাবার প্রতিক, যিনি ব্রহ্মার দেহ রুপী বস্ত্রকে ধারন করেন! অর্থাৎ উনার শরির লোন নিয়েছেন! কোমরে বেলটকে আত্মা পরমাত্মার সাথে কম্বাইন থাকা অবস্থাকে বলা হয়েছে, এই সময়ে আমাদের যে দু:খ,  দুর্দশা, এই সময়ে সারা দুনিয়াতে যে, রাবন রাজত্ব, এই রাবন রাজত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, আত্মাকে স্মরনের দ্বারা পরমাত্মার সঙ্গে কম্বাইন থাকা একান্ত প্রয়োজন! অর্থাৎ মন্মনাভব  হওয়ার একান্ত প্রয়োজন! আর শান্তা ক্লোজের যে লংবুট দেখানো হয়েছে,অর্থাৎ বুট বা জুতো দেখানো হয়েছে, তা আসলে ব্রহ্মার শরীরের প্রতিক, যেহেতু ব্রহ্মার আত্মা অনেকবার এই পৃথিবীতে জন্মেছেন!

 বন্ধুগন, ভগবানের দেহরুপী বস্ত্র যা চামরায় ঢাকা থাকে, তাকেই তো লংবুট বলা হয়! আর লং বুট তৈরি করতে চামড়ারই তো প্রয়োজন হয় তাইনা? তা আসলে সেই দেহেরই প্রতিক! আর শান্তা ক্লোজের কাঁধে যে লাল ঝুড়ি দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে মিষ্টি, খাবার, চকলেট, ইত্যাদি দেখানো হয়েছে, যা খুশিতে বিতরন করা হয়, এর অর্থ বর্তমানে পরমপিতা পরমাত্মা শিব, ব্রহ্মার মুখের দ্বারা, মধুর জ্ঞান রতœ  উনার সন্তানের উদ্দেশ্যে দান করেন! 

যে খ্রিষ্টমাস গাছটি দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে অনেক নক্ষত্র বা স্টার থাকে তা সৃষ্টি রুপী কল্প বৃক্ষকে দেখানো হয়েছে! যাকে চার যুগ বা এক সাথে কল্প বৃক্ষ বলা হয়, সত্য ত্রেতা দ্রাপর কলি, এটিই তার আধ্যাত্মিক রহস্য! সৃষ্টির অন্তিম সময়ে, পরমপিতা পরমাত্মা সমস্ত আত্মাদের কল্যানার্থে এবং তাদেরকে তমোগুনি, প্রভাব থেকে সতগুনি প্রভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য বা আলোকময় বানানোর জন্য, এই সুন্দর মূহুর্তে এই ধরা ধামে তিনি অবতির্ন হন! নক্ষত্রগুলি বাস্তবে লাইটের প্রতিক বা আলোর প্রতিক, যা আত্ম জাগৃতির প্রতিক!

প্রচন্ড দু:খ,কষ্ট আর যন্ত্রনা থেকে মানব সমাজকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরম কুরুনাময় ঈশ্বর, এই মুক্তির বার্তা নিয়ে, এই ধরা ধামে অবতির্ন হন! বন্ধুগন আমরা ধিরে ধিরে অনেক আধ্যাত্মিক রহস্যকে জেনেছি, এই রহস্যকে জেনে আমাদের জীবনকে অনেক অনেক সুন্দর করার সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে, এক মেসেজ আমাদের কাছে এসেছে, যদি এই ভিডিওটিকে আপনাদের ভাল লেগে থাকে, তাহলে তাকে আপনারা লাইক করবেন, শেয়ার করবেন, কমেন্ট করবেন, তাকে সাবস্ক্রাইভ করবেন,আর ধিরে ধিরে এই ধরনের ভিডিও আপনারা পেতে থাকবেন! আগামী ভিডিও পযর্ন্ত আপনারা ভাল থাকবেন, আজকের ভিডিও এই পর্যন্ত । 

ধন্যবাদ!


PATIENCE IS A FRIEND | ক্রোধ শত্রু ধৈর্য মিত্র



একবার এক রাজকুমারের অনেক সখ হল একটি তুতা পাখি পালাবার, তখন রাজাকে অনুরােধ করল যেন তাকে একটি তুতা পাখি এনে দেয়, রাজকুমারের অনুরােধ শুনে রাজা আনন্দের সহিত মন্ত্রিকে আদেশ করেন, খুব শিঘ্রই এক তুতা পাখি নিয়ে আসতে, তখন মন্ত্রি মশায় দেরি না করে, বনে বেড় হলেন, আর সুন্দর এক তুতা পাখির বাচ্চা নিয়ে আসলেন, আর এনে রাজকুমারের হাতে দিলেন, রাজকুমার এতটা খুশি হল যা বলে বুঝানাে সম্ভব হবে না,

রাজকুমার এটিকে খুব যত্নসহকারে বড় করলেন, আর নিজের বস মানিয়ে নিলেন, রাজকুমারও বড় হলেন, তুতা পাখিও বড় হল, একদিন রাজকুমারের বনে শিকার করার জন্য ইচ্ছা হল, তখন তার প্রিয় তুতা পাখিটিকে নিয়ে বেড় হয়ে গেলেন, শিকার খুজে পাচ্ছেন না, খােজ করতে করতে খুবই টায়ার্ড হয়ে গেলেন, আর জল তৃষ্ণা ও প্রচন্ড পেয়েছে, তখন একটি বট গাছের নিচে বসলেন বিশ্রাম করতে, সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পায়, উপর থেকে এক ফুটা এক ফুটা করে জল পরছে, তখন সঙ্গে সঙ্গে রাজকুমার পাত্র বেড় করে সেই জল গুলি সংগ্রহ করলেন, পাত্রটি তৃষা মেটানাের মত জলে পূর্ন হয়েছে, রাজকুমার উৎসাহের সহিত সেই পাত্রটি হাতে নেবে, ঠিক সেই মুহূর্তে, জলে ভর্তি হওয়া পাত্রটি তুতা পাখিটি ফেলে দেয়,

রাজকুমার তখন অনেক ক্রদ্ধ হয়ে গেলেন, আর ক্রোধকে সহ্য করতে না পেরে নিজের হাতে থাকা ধারালাে অস্ত্রটি দিয়ে তুতা পাখিটিকে জোড়ে আঘাত করেন, আর তুতা পাখিটিকে মেরে ফেললেন, আর হয়েছে এমন জলের ফুটাও শেষ হয়ে গেছে, তখন তিনি নিজেই সেই বট গাছটিতে উঠে, যে জায়গা থেকে জলের ফুটা পরছে, সেই জলের উৎস থেকে সরাসরি জল নিতে গেলেন,তখন তিনি দেখতে পান, এক বিশাল আকারের কাল নাগ, তার বিষ ত্যাগ করছে, আর তা জলের ফুটা হিসাবে বট গাছের নিচে পরছে, রাজ কুমার ভয়ে নিচে নেমে যায়, আর তার চোখ পরে সেই আদরের তুতা পাখিটির উপর! তখন সেই তুটা পাখিটি হাতে নিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করে বলছে, এ আমি কি করলাম!

বন্ধুগন আপনার কি মনে হয়? এটি কি শুধু একটি গল্প মাত্র?? বন্ধুগন! এর পেছনে অনেক বড় এক মেসেজ লুকিয়ে। আছে, ক্রোধ যে এক বড় শত্রু! আর ধৈৰ্য্য যে এক সত্যিকারের মিত্র! তার উদাহরনই এই গল্পটি থেকে আমরা পেয়ে থাকি, আজ দেখতে পাবেন, যারা ক্রোধের বসে এমন অনেক কাজ করে বসে, পরবর্তিতে সংসার বা পরিবার তাে ছাড় খার হয়ে যাবেই! এমন কি কর্ম দোষে জেলে ও যেতেহয়!যখন ব্যক্তি ক্রোধের বসে কোন এক অন্যায় কাজ করতে যায়, ঠিক সেই মুহূর্তে অন্যায়কারি ব্যক্তির মনে হয়, সামনের ব্যক্তি আমাকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, এই মুহূর্তে যা আমার প্রয়ােজন তা দিচ্ছে না,

কিন্তু একবারও তার মনে আসে না, এই দুনিয়াতে আমার বলতে কিছু নেই, যা কিছু আমার ভাবচ্ছি তা বাস্তবে আমার না, যদি এই বিষয়টি বুঝতে পারত তাহলে ব্যক্তি নিজের ক্রোধকে নিজের বসে রাখতে পারত, আরেকটি হল ধৈৰ্য্য! তার তাে তুলনাই চলে না! আজকাল এই দুনিয়াতে যদি কিছু কম থাকে, তাহলে আমার মনে হয় তা হলাে ধৈৰ্য্য, বর্তমান আধুনিকতার যুগে, কম্পিটিশানের যুগে, মানুষ কোন কিছুতেই মন স্থির করতে পারে না,

আপনি যদি শুরুতেই ছাত্রদের কথা ভাবেন, তাহলে দেখা যায় তারা পড়া শুনাতে মন স্থির করতে পারছে না, কোন একটি সাবজেক্ট নিয়ে যখন বসে, কিছুক্ষন পরেই ধৈর্য হারিয়ে, অন্য সাবজেক্টে মন দিতে যায়, কিছুক্ষন পড়লেই মন চঞ্চল হয়ে যায়, পড়া থেকে দ্রুত উঠে যায়! শুধু ছাত্ৰই না, পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই আজ, এক অস্থিরতা বয়ে চলছে, কোন কাজেই মন বসচ্ছে না, একটি কাজ যদি শুরু করে তা সম্পূর্ন না করেই অন্য কাজ শুরু করে, এর ফলে কোন কাজই সম্পূন হয় না, এর ফলে কাজের অস্থিরতা আর বেড়ে যায়,

কিন্তু প্রশ্ন হল কিভাবে নিজেকে সার্বিক ভাবে কন্ট্রোল করা যাবে? বন্ধুগন নিজেকে কন্ট্রোল করতে হলে প্রথমে নিজের মনকে কন্ট্রোল করা জানতে হবে! আর তা হবে একমাত্র নিজের পরিচয়কে জানার মাধ্যমে! নিজের সঠিক পরিচয় পাওয়ার মাধ্যমে, আমি যা বুঝাতে চাইছি অনেকে হয়তাে বুঝে গেছেন আসলে আমি আপনার বাহ্যিক পরিচয়টিকে বুঝাতে চাইছি না, আপনার অভ্যন্তরে বসে থাকা সেই শক্তিকে বুঝাতে চাইছি, যাকে আমরা আত্মা বলে জানি,আর সেই আত্মার পরিচয়কে জানার সহজ উপায় হল আত্ম জ্ঞান বা আত্ম অনুভুতির দ্বারা, যা মেডিটেশানের মাধ্যমেই সম্ভব!


11 Benefits of Apple | আপেল এর ১১টি স্বাস্থকর গুনাগুন |




আপেল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? আমরা অনেকে জানি, অনেকে জানিনা! একজন বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান আপেলের ১১টি গুনাগুন বা সুবিধা বলেছেন! আজকে এই বিষয়টি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবাে! বাস্তবে আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া, তথ্য থেকে জেনে নেই, আপেল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি, এবং এর উপকারিতা কি কি হতে পারে? আপেল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? ডায়েটিশিয়ান কামিনী কুমারী বলেন, আপেল যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে আপনি যদি সকালে খান, তবে এটি আপনাকে আরও উপকার দেবে আসলে, আপেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং পেকটিন থাকে এমন অবস্থায় রাতে এটি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এতএব, সকালে এটি খাওয়া আপনার জন্য প্রকৃত সময় হতে পারে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে আপেল খান, তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।

চলুন জেনে নেই এই বিষয়ে সকালে আপেল খাওয়ার উপকারিতা:

১)কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রন করুন, আজকাল অনেকের অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল রয়েছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা, হৃদরােগের ঝুঁকি বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কারনে, মানুষ অল্প বয়সেই হৃদরােগে আক্রান্ত হয়, ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে আপেল খেলে, কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়, এছাড়াও, যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেড়ে যায়, তবে আপনি আপেল, সিদ্ধ করার পরেও এটি খেতে পারেন।

২. কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম:- কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যায় ভােগা রােগীদের জন্য, আপেল খাওয়া উপকারী হতে পারে আসলে আপেলে রয়েছে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সকালের নাস্তায় আপেল খেতে পারেন এছাড়া আপেলের মােরব্বাও খেতে পারেন

৩. দাঁত সুস্থ রাখুন:আপেল দাঁত সুস্থ্য রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে আসলে, আপেলে আছে ফাইবার, যা আপনাকে দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে একই সময়ে, এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাসের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। সকালে আপেল খেলে মুখের লালার পরিমান বেড়ে যায়, যার ফলে আপনি পায়ােরিয়ার অভিযােগ এড়াতে পারেন।

৪.অ্যাজমা রােগীদের জন্য কার্যকর:অ্যাজমা রােগীদের জন্য আপেল খাওয়া উপকারী অনেক গবেষনায় জানা গেছে, যে আপেল খেলে হাঁপানির আক্রমন কমানাে যায়। ডায়েটিশিয়ানরা বলেছেন, আপেলে যথেষ্ঠ পরিমানে,ফ্ল্যাভােনয়েড রয়েছে, যা ফুসফুসকে শক্তিশালী রাখতে কার্যকর গবেষণায় এটাও প্রমানিত হয়েছে যে, যারা নিয়মিত আপালের জুস পান করেন, তাদের ফুসফুসের রােগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৫. পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী:- আপেল হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী রাখতে উপকারী হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, আপেলের ক্ষারত্ব, লিভারকে শরীরের বিশুদ্ধকরনে ক্ষারত্ব লিভারকে শরীরের বিশুদ্ধকরণে সাহায্য করতে পারে, এছাড়া সকালে আপেল খেলে, শরীরের পি এইচ লেভেল, নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে পেট সংক্রান্ত অনেক রােগ দূরে থাকে, এছাড়াও, এটি রােগের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে।

৬. পাথর প্রতিরােধ:কিডনিতে পাথরের সমস্যা এড়াতে, প্রতিদিন সকালে আপেল খেতে পারেন এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। প্রতিদিন একটি আপেল, আপনাকে পাথরের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারে। তাই বেশিরভাগ চিকিৎসক প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৭)ওজন কমাতে সহায়ক:সকালে আপেল খাওয়া আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারে আসলে আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যখন সকালে এটি খান, তখন আপনার বার বার ক্ষিদা লাগবে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যখন সকালে আপেল খান, তখন আপনার খাবারের প্রতি আগ্রহ কম থাকে। যার কারনে আপনি ওজন কমাতে পারেন।

৪.আলঝেইমার রােগ প্রতিরােধ করুন: (মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রােগ অর্থাৎ ভুলে যাওয়া) প্রতিদিন সকালে আপেল খেলে অ্যালঝাইমারের মতাে গুরুতর সমস্যা প্রতিরােধ করা যায়। আসলে, আপেল খাওয়াতে, মস্তিষ্কের কোষগুলােকে সুরক্ষা করে। এতে আলঝেইমার হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৯. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় ও মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি:- প্রতিদিন সকালে আপেল খেতে পারেন প্রতিদিন সকালে আপেলের রস খেলে, মুখের সাদা দাগ কমে যায় এটি আপনার মুখের অতিরিক্ত মেদও কমানাে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

১০. হাড় মজবুত:আপেলে ফাইবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও প্রচুর পরিমানে রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন আপেল খান তাহলে আপনার হাড় মজবুত হতে পারে। এছাড়া এটি শারীরিক ক্লান্তিও কমায়।

১১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করুন:- আপেল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে উপকারী। আপেল আপনার শরীরের রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে আপেলে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান, শরীরে গ্লুকোজের অভাব পূরন করতে সাহায্য করে। শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহের কারনে, আপনার ইনসুলিন নেওয়ার দরকার নেই। তাই, আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে ১টি করে আপেল খান আপেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে আপনি যে কোনাে সময় এটি গ্রহন করতে পারেন,তবে সর্বাধিক উপকারের।

জন্য এটি সকালে খাওয়া যেতে পারে একই সময়ে, রাতে অল্প পরিমানে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন এই তথ্যের যথার্থতা, সময়ােপযােগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক

প্রচেষ্ট করা হয়েছে, যদিও ‘চন্দন নিউ ওয়ার্ল্ড এর নৈতিক দায়িত্ব নেই। আপনারা দয়া করে কোন প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনারা ডাক্তারের সাথে । পরামর্শ করার জন্য অনুরােধ করছি। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা!



PRIDE IS THE CAUSE OF DOWNFALL | মাছি আর হাতির গল্প | CHANDAN NEW WORLD

  



মিথ্যা অভিমান, একটি হাতি আপন গতিতে খুব সুন্দর ভাবে চলছিল হঠাৎ একটি মাছি, হাতির উপর এসে বসলাে, হাতি বুঝতেই পারে নি, মাছি কখন বসেছে, মাছি অনেক ভন ভন শব্দ করছিল, আর বলছে ভাই! আমাকে নিয়ে চলতে তুমার যদি কোন, সমস্যা হয়, তাহলে আমাকে বলবে কিন্তু, কারন আমার ওজন নেহাত কম নয়, কিন্তু হাতি কিছু শুনতেই পায়নি, ঠিক ঐ সময় হাতিটি এক ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, নীচে অনেক বড় পাহাড়ি নদী ছিল, ভয়ঙ্কর গর্ত ছিল, মাছি বলছিল দেখ ভাই,আমার কিন্তু ভয় হচ্ছে? আমরা দুইজন!

ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছি, ব্রিজ ভেঙ্গে যাবে না তাে? ভাই যদি এমন কিছু ভয় মনে হয়, তাহলে আমাকে আগে থেকেই কিন্তু বলে দিও, আমার কাছে পাখা আছে আমি উরে যেতে পারব, ওজনটা অনেক কমবে,তুমি সচ্ছন্দে ওপার যেতে পারবে! হাতির কানে হালকা হালাক ভন ভন শব্দ আসে, কিন্তু সে তাতে কোন ধ্যান দেয় নি, এখন মাছির যাওয়ার সময় এসে গেছে, সে বলেছে যাত্রা অনেক আনন্দ পূর্ন হয়েছে, তুমি আমার খুব কাছের বন্ধু হয়েছ, আমি এখন যাচ্ছি !

কিন্তু কোন কাজে যদি আমার দরকার পরে, তাহলে আমাকে বলবে আমি তােমাকে সাহায্য করবাে, তখন মাছির শব্দ হালকা হালকা হাতির কানে আসে, হাতি বলল তুমি কে? তাতাে আমি জানি না, কখন এসেছ? তাও আমি জানি না? কখন আমার শরীরে এসে বসেছ , কখন আর উরে গেছ তা আমি কিছু বুঝতেই পারিনি, মাছি, হাতির ঐ উক্তিতে লজ্জিত হয়ে উড়ে গেল! বড় বড় সাধু সন্তরাও নিরহংকারী হয়ে বলে, আমরা ও ঠিক মাছির মতই , এত বড় পৃথিবীর মধ্যে, থাকা আর না থাকার কোন পার্থক্যই পরে না, হাতি আর মাছির অনুপাতের থেকেও অনেক ছােট,বিজ্ঞানী এত জ্ঞানী হয়ে ও বলেছেন আমার জ্ঞান সমুদ্রের এক বালু কনার চেয়ে ও কম, সাধুরা আরও বলে ,আমরা আর ব্রহ্মান্ডের অনুপাত,আমরা না থাকলেই বা পৃথিবীর কি হবে !

কিন্তু আমরা অনেক বড় হইচই করতে থাকি,এই হইচই কিসের জন্য? গল্পটিতে মাছি হাতির সাথে নিজেকে সমান করতে চেয়েছে, নিজেকে হাতির সাথে তুলনা করতে থাকে, একবারও ভাবে নি হাতির তুলনায় নিজের স্থিতি কি? আমাদের অহংকার একা বাচতে পারে না, অন্যরা যদি তাকে বিশ্বাস করে, তবেই অহংকার বেচে থাকতে পারে !

সাধু সন্তরা বলেন আমরা বস্ত্র পরিধান করি অন্য ব্যক্তিকে দেখানাে জন্য, স্নান করি এবং নিজেকে সজ্জিত করি কারন অন্য ব্যক্তি যাতে আমাদের সুন্দর বলে, ধন সম্পদ জমা করি , ঘর তৈরি করি অন্য ব্যক্তিকে দেখানাের জন্য, অন্য ব্যক্তি যাতে দেখে আর স্বিকার করে যে তুমি এক বিশেষ ব্যক্তি না কোন সাধারন লােক,সাধুরা বলে তুমি মাটির দ্বারাই তৈরি হয়েছ !

আর মাটিতেই মিশে যাবে, তুমি অজ্ঞানতার কারনেই নিজেকেই বিশেষ দেখাতে চাইছ, তা নাহলে তাে, তুমি শুধু এক মাটির পুতুলই কেবল, তা ছাড়া আর কিছুই না, অহংকার সব সময় এটিই খােজ করতে থাকে, যাতে কোন ব্যক্তি এমন ভাবেই আমাকে আশ্রয় দেয়, বিদ্বানরা বলে, মনে রাখবে আত্মা চলে যাওয়ার পরই এই মাটির পুতুল মাটিই তৈরি হয়ে যাবে, এই জন্যই আপনাদের ভুল অহংকারকে ছেড়ে দিন,আর সকলের সম্মান করুন।


ধন্যবাদ..

How to manage your family, Best Knowledge to control family



স্বংসারই বলেন, আর পরিবারই বলেন, গড়তে তাে অনেক কষ্ট, তার জন্য যেমন প্রয়ােজন পরিশ্রম, তেমনি প্রয়ােজন সময়, তার পাশা পাশি প্রয়ােজন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত, এর পাশা পাশি আমি আরও বলতে পারি সঠিক আচারন, কিন্তু স্বংসার ভাঙ্গতে কি কোন পরিশ্রমের প্রয়ােজন আছে? স্বংসার ভাঙ্গতে না প্রয়ােজন আছে পরিশ্রম, না প্রয়ােজন আছে সঠিক সময়ের, না সঠিক আচরনের। কিন্তু আজকে এই বিষয় গুলি আপনাদের সাথে আলােচনা করার উদ্দেশ্য কি? কি পাওয়া যাবে এই ভিডিওটি দেখে? দেখুন বন্ধুগন, যারা আজ স্বংসারে শান্তি পাচ্ছেন না, প্রতি মুহুর্তে বিভিন্ন অশান্তি স্বংসারে লেগেই আছে, তারা হয়তাে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও করেছেন, হতে পারে তা সামাজিক সালিশি সভার মাধ্যমে, নয় তাে কোন স্বংসারে শান্তির জন্য পূজা পাঠ করা, বা হতে পারে কোন এস্ট্রোলজির থেকে নিজের বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির প্রতিকার করা,

যাই হউক দেখা গেছে এত সব কিছু করা সত্যেও স্বংসারে শান্তি আসচ্ছেনা, আসলে যারা এই ধরনের সমস্যার স্বিকার হচ্ছে, তারা হয়ত এই সমস্যাটির মূলে কি রয়েছে, কেন হচ্ছে, তা জানে না, বন্ধুগন আজকাল বিভিন্ন মিডিয়াতে এই ধরনের সমস্যা প্রচুর দেখা যাচ্ছে, আমি এমন অনেক ঘটনার তথ্যগুলিকে এক সঙ্গে করে এক সুত্র পেয়েছি, যেই সুত্রটি আপনারা জানতে পারলে, আমি নিশ্চিত, যদি আপনার স্বংসারে এই ধরনের সমস্যা চলে থাকে তার সমাধান পেয়ে যাবেন, এমন কি যদি আপনি ও চান আপনার স্বংসারকে দির্ঘদিনের জন্য এক স্থায়ি পিলার তৈরি করতে, তাহলে এই ভিডিও টি আপনার জন্য ১০০% পাফেক্ট হবে।

এর মধ্যে প্রথম কারন হতে পারে, নিজের অহংভাবকে না বুঝতে পারা,এমন অনেক পরিবারেই দেখা গেছে যারা নিজের চিন্তাভাবনাকে সঠিক, উত্তম আর অধিক গুরুত্ব বলে মনে করেন, নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান বলে মনে করেন, ভাবেন আমি এখন যা ভাবছি তা আজকে দিনে সঠিক সিদ্ধান্ত, নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান বলে মনে করে যে অহংকার করছে, তা কিন্তু তারা অনুভব করতে পারে না, এই সব লােক অন্য ব্যক্তির অহংকারকে সবাইর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চায়, ঐ দেখ সে অহংকার করছে , কিন্তু তারা নিজেই যে অহংকারের স্বিকার হচ্ছে তা তারা উপলােব্দি করতে পারে না, এর ফলে পরিবারের অন্য সদস্যদের চিন্তাভাবনার কোন গুরুত্বই দেয় না, এমন কি পরিবারের অন্য ব্যক্তিদের ফিলিং ও বুঝতে চায়না, আর পরিবারের অন্য সদস্যদের চিন্তা ভাবনাকে গুরুত্ব না দেওয়াই, মতানৈক্যের শুরু হয়, ধিরে ধিরে সংসারে ফাটল দেখা দেয়,

দ্বিতীয় কারন হতে পারে, নিজের বয়সের সঙ্গে যা যা ভুমিকা নেওয়া, তা নিতে পারেনা, এমন অনেক পরিবারেই দেখা যায় পরিবারের যিনি কর্তা সে হতে পারে, কোন একজনের স্বামি, বা হতে পারে কেউর পিতা, বা বড় ভাই, আর সেই বয়জেষ্ঠ হওয়ার কারনে প্রথম থেকেই সে অন্যদের উপর সব সময়, নিতি আদর্শ, কর্তব্য অকর্তব্য ঐ সব বিষয়ে শাসন করতে থাকে, কিন্তু সে ভুলে যায় তার বয়স হয়ে গেছে, তার ও যে ছেলে রয়েছে, সেও কোন একজনের স্বামি বা কেউর পিতা হয়ে গেছে, তাই তার উপর এখন শাসন করার পরিবর্তে তার থেকে পরামর্শ নেওয়া প্রয়ােজন, কিন্তু তা না করে বয়সের সাথে সাথে নিজের ব্যবহারকে পরিবর্তন করতে পারে না,

তৃতিয় কারন হতে পারে আপনার নিজের কষ্টকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেয়ার করার সময় শুনতে বাধ্য করা, যেমন ধরেন, আপনি কত পরিশ্রম করে অর্থ উপর্জন করছেন, অনেক কষ্টকে সহ্য করে স্বংসারকে চালাচ্ছেন, সেই বিষয়ে প্রতিমূহুর্তে অন্য ব্যক্তিদেরকে স্মরন করিয়ে দেওয়া, এবং নিজেকে জাহির করা, এবং অন্য সদস্যদের ভুমিকাকে অস্বিকার করা, এই গুলির ফলে পরিবারের অন্য সদস্যদের আপনার প্রতি বিতৃষ্ণা ভাব তৈরি হয়ে যাবে, তা পুরুষ মহিলা যেই কোন ব্যক্তিই হতে পারে, আপনাদের নিজের কষ্টকে বার বার শুনাতে হবে না, একটি স্বংসার শুধুই একজনই সুন্দর করতে পারে না, তার জন্য প্রত্যেকের ভুমিকা রয়েছে, হয়তাে কোন একজনের ভুমিকা চোখে পরে, আরেক জনের ভুমিকাকে চোখে পরে না,

চতুর্থ কারন হতে পারে পরিবারের উত্তরাধীকারদের আসার পূর্বে পরিবারের সঠিক প্লেন না করা, এই বিষয়টির মানে একদম সহজ, আজকাল দেখা যায়, পরিবারের বেকগ্রাউন্ড, তা হতে পারে অর্থ, ধন সম্পদ,পরিবারের আই ব্যয়, চাহিদা সার্বিক পরিস্থিতির চিন্তা না করে পরিবারে নতুন সদস্যকে নিয়ে আসা, এর ফলে প্রতিদিনের চাহিদার সাথে ভারসাম্যকে রক্ষা করা সম্ভব হয় না, এমনও দেখা গেছে ১০০% পরিশ্রম করা সত্যেও ১০০% চাহিদা পূর্ন করা সম্ভব হয় না, এর ফলে চাহিদা দিন দিন বেড়ে যায় আর মানসিক চাপ বেড়ে যায়, আর তার প্রভাব স্বংসারের উপর পরে

৫মত পরিবারে সঠিক আদর্শ শিক্ষা, বন্ধুগন আজ কাল যে সব স্বংসারে অশান্তি দুঃখ যন্ত্রনার স্বিকার হচ্ছে তার প্রধান কারন আপনি বলতে পারেন সঠিক আদর্শ শিক্ষা, আসলে স্বংসারকে জোড়তে অনেকের সাহায্য প্রয়ােজন, কিন্তু ভাঙতে একজন ই যতেষ্ঠ, তাই স্বংসারের বাতা বরনকে এমন তৈরি রাখতে হবে, যাতে স্বংসারের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে সঠিক নিতি আদর্শ বিরাজ করে, অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে সঠিক আদর্শ বলতে কি বুঝায়? আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে আমি বলব, প্রথমত যান্ত্রিক জীব থেকে আধ্যাত্মিক জীব তৈরি করা, উদাহরন যদি দেখি জন্মের পর থেকে মানুষকে এমন ভাবে শিক্ষা দেওয়া শুরু হয়, যাতে কম্পিটিশানে সকলের আগে থাকে, সকলকে হাড়িয়ে নিজে ফাস্ট হয়ে যায়, তাদেরকে এমন শিক্ষা দেওয়া হয় না যদি কম্পিটিশান করতে হয়, তাহলে নিজের সাথে কম্পিটিশান করা উচিত, অন্য ব্যক্তির সাথে না, নিজে কতটা উন্নত হয়েছ, কতটা পরিবর্তন করতে পেরেছ তার উপর ফোকাস কর,

এটি যদি শিক্ষা না দেওয়া হয় তাহলে কি হয়, তাহলে অন্য ব্যক্তি থেকে নিজেকে অনেক বড় মনে করে, আর অন্যদের কোন সম্মানই দেবে না, যার প্রভাব ধিরে ধিরে নিজের পরিবারেও পরতে থাকে, ঐশ্বরীক চিন্তা ভাবনা এক বড় প্রভাব তৈরি করে ব্যক্তির মনে, সব সময় নিজের মনকে শান্তিতে রাখা, অন্য ব্যক্তিদের সম্মান দেওয়া, অন্যের খুশির জন্য নিজের খুশিকে সেক্রিফাইস করা, যার প্রভাব সংসারের উপর পরে, যার ফলে স্বংসার সব সময়ে খুশি আর আনন্দে থাকে, অনেকে হয়ত বলবে আরে না, এ ছাড়াও আর কিছু ঘটনা রয়েছে, যেই গুলির কারনেই আজ স্বংসারে এই সব অশান্তি দেখা দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব, যেই সংসারে আজ অশান্তি দেখা দিচ্ছে, তাদের স্বংসারে যদি এই পাঁচটি সিস্টেম ফলাে করে তাহলে বিকল্প আর কোন কারনই দেখা দেবে না, আর যদি ফলাে না করে তাহলেই অন্য কারন দেখা দেবে..


Service to man is Service to God | Easy way to find real God



একবার হয়েছে এমন, শহরে থাকা এক মা তার ছেলেকে বিয়ে করায় গ্রামের এক শিক্ষিত ভদ্র পরিবারের ভদ্র মেয়ের সাথে, যার নাম ছিল লক্ষ্মি। বিয়ের কিছুদিন পর শাশুড়ি মা তাকে বলল লক্ষ্মি কালকে আমরা এক মায়ের মন্দিরে যাব, তখন লক্ষ্মি চমকিয়ে উঠে বলল মা আমি তাে জানি আমাকে যে জন্ম দিয়েছেন জন্ম দায়ীনি মা তিনি একজন, আর আপনি আমার শাশুড়ি মা, আমার আপন মায়েরই মত, আর তৃতিয় মা কে? তা তাে আমি জানি না। তখন শাশুড়ি মা ভাবচ্ছেন আরে আমার ছেলেটার জন্য কি বউ নিয়ে আসলাম সে এই মন্দিরের মাকেই জানে না, তখন মনে মনে সে চিন্তিত হল এবং ভাবতে লাগল বউ বােকার মত কথা বলছে কেন! বউ জানি কেমন হয়। তখন বলল দেখ বউমা তােমার নামও লক্ষ্মি তােমার কর্ম ও চিন্তাভাবনা যদি লক্ষ্মির মত না হয় কে তােমাকে ভাল বলবে বল! দেখ গ্রামের সমস্ত লােকেরা কালকে কাল এই দুর্গা মায়ের মন্দিরে যাবে, সেই মন্দিরে মা স্বয়ং জাগ্রত তুমি যাই বল যাই প্রার্থনা কর সব মনস্কামনা পূর্ন করে,

লক্ষি চমকিয়ে গিয়ে শাশুড়ি মায়ের দিকে তাকাল, শাশুড়ি মা বলল হা তা সত্যি? তাই সত্য আমরা তাে দীর্ঘদিন ধরে মেনে এসেছি, পর দিন সকালে স্নান করে ভাল নতুন শাড়ি পড়ে শাশুড়ি এবং বউ রউনা দিল মন্দিরের দিকে মন্দির টা অনেক বড় জায়গা নিয়ে চতুর দিকে প্রাচীর আর প্রাচীরের গায়ে তাে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করা আছে যখন শাশুড়ি আগে আগে যাচ্ছে বউ পিছে পিছে যাচ্ছে তখন শাশুড়ি মাকে বউ হতাৎ বলল মা দেখুন দেখুন এক গরুর বাছুর দুধ খেয়ে ফেলছে আরে আরে কার জানি এই গরু তার মালিকের কি সর্বনাস হবে তখন শাশুড়ি মাকে বলল একটু দাড়ান আমি তারা তারি ঘর থেকে একটি বালটি নিয়ে আসচ্ছি, বাছুরটাকে সরিয়ে আমি এই গাইটাকে দোয়াব তা না হলে তার মালিক মাথায় হাত দিবে, তখন শাশুড়ি মা বলল আরে বউমা পাগল হয়ে গেছ না কি আরে এটাতাে এক পাথরের তৈরি চিত্র, এটাতাে কোন রিয়েল না এই বাছুর তাে কোন দুধ খাচ্ছে না, আর তুমিও গিয়ে তাকে ধুইতে পারবে না, বলল তাই না কি, এই কথা বলে বউকে মানিয়ে আবার আবার সামনে চলতে শুরু করল তার পর যখন মন্দিরে ডুকার সময় হল তখন সেই লক্ষ্মি দেখল একটা বাঘের মুর্তি তখন লক্ষ্মি আর সামনে যাচ্ছে আর বলছে মা এই বাঘটা আমাকে খেয়ে ফেলবে আর আপনিও যাবেন না, তখন শাশুড়ি মা বলল আরে বউমা তােমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে আমার ছেলের জীবনটা বিষিয়ে দেবে না কি, আরে কোথা থেকে তােমাকে ধরে নিয়ে আসলাম আমিতাে গ্রাম থেকে লক্ষ্মিকেই তােলে নিয়ে আসলাম আমি এনেছি এই স্বংসারে আমার ঘরে শান্তি হবে সুখ হবে,

আর তুমি একি বলছ তুমি তাে লেখা পড়া জান, আর এটাতাে আসল বাঘ বা সিংহ না, এটা তাে নকল বাঘ বা সিংহ তখন বউ বলল ঠিক আছে। তখন ধিরে ধিরে শাশুড়ি মা গেল মন্দিরের দিকে এবং বউ ও গেল মন্দিরে তার পর শাশুড়ি মা লক্ষ্মিকে বলল মাকে প্রনাম করে তুমি কামনা কর প্রার্থনা কর, তখন বলল মা এটা তাে পাথরের মুর্তি যেমন সেটা ছিল পাথরের গরু পাথরের বাছুর আমি গেলাম রিয়েল মনে করে দুধ দোওয়াতে তখন আপনি নিষেধ করলেন আবার ঐটা যেমন ছিল পাথরের বাঘ তাই আমাকে খেতে পারবে না তাহলে এটাও তাে পাথরের মূর্তি তা কি ভাবে আমার মনের আশা পূর্ন করবে? আর আপনি তাে চৈতন্য আমার মা আপনাকে বরং প্রনাম করছি আর সেই মাকে আমি অশ্রদ্ধা করছি না মানুষ মানছে মানুক কিন্তু আমার কাছে যুক্তি আছে সেই বিচার আছে সেই ভাবনা আছে আমার মন পরিষ্কার আছে আমি জানি আপনি আমার আসল মা আপনি চৈতন্য আপনি পারবেন আমাকে আর্শিবাদ করতে আসলে বন্ধুগন এটা এক সুন্দর মেসেজ আমাদের কাছে আমরা মন্দিরে যায় কোন আপত্বি নেই, যারা যাচ্ছে তাতেও কোন আপত্বি। নেই কিন্তু ঈশ্বর যদি প্রাপ্তি করতে হয় তাহলে মন্দিরে যেতে হবে না মানুষের মধ্যে খােজ, বীবেকানন্দ বলে গেছেন ‘জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ,

বাস্তবে এই কথাটি অভ্রান্ত আজকে সারা পৃথিবীর মানুষ এই কথাটি নিয়ে রিসার্চ করছে আজকে যদি ঈশ্বর প্রাপ্তি করতে চান তাহলে অসহায় মানুষদের সাহায্য করুন, অসমর্থ মানুষের পাশে দাড়ান, গরিব মানুষকে খাদ্য দিন, অন্ন দিন বস্ত্র দিন সমাজ স্বংসারকে সেবা করুন মানব সেবাই হল মাধব সেবা, মাধব মানে ভগবান। মানবের মধ্যেই ভগবানের শক্তি লােকিয়ে আছে মানুষের সেবা করাই মাধবের সেবা করা আর গীতাতেও ভগবান বলছে কর্মই হল পূজা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে আত্ম স্বরুপ অথাৎ স্বয়ং আত্মা বিরাজমান।


আর সেই আত্মা স্বরুপই হচ্ছে আমাদের পরমাত্মা যাকে ঈশ্বর বা | ভগবান বলে জানি। তিনি এই সংসারে পাঠিয়েছেন এবং যিনি উপর থেকে সাক্ষ্যি হয়ে সব কিছু স্বংসারকে দেখছেন, যাকে ভিন্ন ধর্মে ভিন্ন ভিন্ন নামে জেনে থাকে কিন্তু তিনি এক এবং অভিন্ন বাকি মন্দির মসজিদ গুরুদোওয়ার হল আমাদের মানষিক। শান্তি প্রদানের স্থান সেখানে গিয়ে আমরা মানসিক শান্তি অনুভব করতে পারি, আর ভগবান প্রাপ্তি করা হল মানুষের থেকে দুঃখ দুদর্শাকে দূর করে শান্তি প্রাপ্তির রাস্তা দেখানাে।


বন্ধুগন এই ছােট্ট গল্পটি যদি আপনাদেরকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দিতে পেরেছে বলে মনে হয় তাহলে দয়া করে একটি লাইক করুন আর কমেন্ট করুন এই গল্পটি থেকে কি শিখতে পেরেছেন হা তবে | এই চেনেলটিকে সাস্ক্রাইভ করে রাখুন যাতে যখন পরবর্তি প্রােগ্রামটি আসবে তা যেন সবার আগে আপনি দেখতে পারেন,


Akbor and Birbal story in Bengali, Secret of overcome from stress and depression



আজকাল মানুষের এক সাধারন প্রশ্ন? এই পৃথিবীতে স্থায়ী সুখী কে? কে চির শান্তির অনুভব করেন? যদি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি পেলে সুখি হবেন? হয় তাে বলবে অর্থ, ধন সম্পদ, কিন্তু দেখা গেছে এই গুলিও মানুষকে সুখি করতে পারছে না আবার অনেকে বলে যদি আধ্যাত্মিক চিন্তাশিল হতে পারেন, ভগবানের প্রতি আত্ম সমর্পন হতে পারেন, তাহলেও সুখি হতে পারবেন কিন্তু দেখা গেছে যখন মন্দিরে যায় আর আর ভগবানকে স্মরন করতে বসি তখন ভগবানে মন লাগছে না, ৫মিনিট,১০ মিনিট বসেই মন চঞ্চল হয়ে পরে, মনে কোন শান্তি অনুভব হয় না প্রত্যেকের একই প্রশ্ন শান্তি কোথায় পাব? তবে মনােবিজ্ঞানীদের মতে আপনি যদি খুশিতে থাকতে চান, তাহলে আপনার অতিতের চিন্তা ভাবনাকে ছাড়তে হবে, এমনকি ছাড়তে হবে ভবিষ্যতকেও , বর্তমানে থাকার চেষ্টা করতে হবে, আর এই বতর্মানকে স্বিকার করার জন্য আজ যা হচ্ছে তাকে খুশি খুশি স্বিকার করুন অনেকের হয়তাে বতর্মানে থাকা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না, আমি এক গল্পের মাধ্যমে এই বিষয়টি আলােচনা করছি, রাজা আকবর তিনি অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিল না,কিন্তু তার এতটা জানা ছিল যে তার কাছে অনেক বুদ্ধিমান পরামর্শক রয়েছে, এডভাইজার আছে, কে ছিল সে ? বিরবল।

হয়েছে এমন একদিন সকালে রাজা উঠলেন, হালকা ঘুম ঘুম ভাবে আর নিজের যে জুতা গুলি আছে তা পরতে চাইছে, আর পরতে গিয়ে হতাৎ পরে যায় যখন পরে যায় তখন উনার কুনিতে সম্পূর্ন ভর পওে, হালকা ছুলে যায় ব্যথা পায়, রক্ত পরতে শুরু করে আর সে ব্যথাতে চিৎকার করতে থাকে অনেক লােক দৌড়ে আসে, বিরবলও সেখানে আসে বিরবলের নলেজের মাধ্যমে যা যা ট্রিটম্যন্ট করার তা তাে করেছে আর এর মাঝেই রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা বিরবল আমার সাথে এমন কেন হল? আমিতাে কোন ব্যক্তির খারাপ চিন্তা করে নি, খারাপ ভাবে নি তাহলে আমার সাথে এমন কেন হল? বিরবল বলল রাজা এতটা লম্বা চিন্তা করবেন না, যা হয় ভালর জন্যই হয় রাজা সঙ্গে সঙ্গে রাগ হয়ে যায়, আমার ব্যথা হচ্ছে, যন্ত্রনা হচ্ছে, রক্ত বের হচ্ছে, আর তুমি বলছ আমার সাথে ভাল হয়েছে, বিরবল বুঝানাের আগেই রাজা

এতটাই রাগ হয়ে যায় নিজের সিপাহীদের ডাকেন আর বলেন তাকে এক সাপ্তাহের জন্য বন্ধি করে দাও জেলে ঢুকিয়ে দাও, তখন তার বুদ্ধি ঠিক জায়গাতে আসবে, তখন তাকে বন্ধ করে দিয়েছে রাজা দুই তিন দিন নিজের রুমে একা থাকেন, কারন তিনি চাইছেন যাতে তারা তারি ভাল হতে পারেন আর এই জন্য বাইরে যেতে চান নি চতুর্থ দিন যদিও ব্যান্ডেজ তখনও ছিল তার পর ও সে ঘােড়া নিয়ে চলতে শুরু করেন এই চিন্তা করে আমি একটু খুলা আকাশে যেতে চাইছে যখন সে ঘুড়াতে বসে বেড় হলেন তখন এক হরিণের উপর তার চোখ পরে, আর সেই হরিণের পেছনে দৌড়াতে থাকে, আকবরের লক্ষ্যই নেই উনি কখন উনার রাজ্যের যে লিমিট মানে এড়িয়া ছিল ক্রস করে দিয়েছে। আর হয়েছে এমন এক সময় আসল যখন কিছু আদিবাসী লােক তাকে ধরে ফেলল, যখন ধরে ফেলল তিনি অনেক কিছু বুঝানাের চেষ্টা করেছেন যে আমি রাজা এই সেই ,কিন্তু কেউ শুনতেই চাইছে না, বুঝতেই। চাইছে না, উনাকে ধরে ফেলেছে আর বলছে আমরা এখন তাকে বলি দিব, আর আমাদের ভগবানকে খুশি করব

হয়েছে এমন যখন উনাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন উনার হাতের যে কাপড় ছিল তা ছিড়ে গেছে আর যে বেন্ডেজ ছিল চোখে পরল, আর দেখতে পায় সেখানে রক্ত লাগানাে ছিল আর ফেকচার হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি আর যখন সবাই দেখলেন যে সে পাফেক্ট না তখন তারা বলল আরে আমরাতাে তাকে বলি দিতে পারব না, সে পাফেক্ট না, তাকে যদি বলি দেই তাহলেতাে তা অন্যায় হয়ে যাবে, ভূল হয়ে যাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় , রাজা আবার তার ঘুড়ার উপর বসে যেকোন ভাবে রাজ মহলের কাছে পৌছে যায় এক লম্বা শ্বাস নেয়, আর আচানক তার চোখ তার হাতের উপর পরে আর মনে পরে যায়, হা এই যে আমি ব্যথা পেয়েছি আমার বেন্ডেজটি এইটির জন্যই আমি বেচে গেছি

তখন বিরবলের কথা মনে পরে হা বিরবল বলেছিল যা হয়েছে ভালই হয়েছে, তখন সঙ্গে সঙ্গে সে দৌড়ে সে জেলের কাছে যায় যেখানে বিরলকে বেঁধে রেখে ছিল, গিয়ে তাকে মুক্ত করে দেয়, এর পর আকবর বলছে বিরবল এখন আমি বুঝতে পেরেছি তুমি যা বলেছ তা কতটা সঠিক ছিল, আর সম্পূর্ন ঘটনা খুলে বলল এই। ভাবে আমাকে ধরেছিল, আর আমাকে ছেড়ে দিয়েছে আমার হাত দেখে ইত্যাদি ইত্যাদি। তুমি সঠিক বলেছ বিরবল বলছেন রাজা একদম সঠিক যা হয় ভালর জন্যই হয়, রাজা বলল ঠিক আছে আমার সাথে যা হয়েছে তা ঠিক আছে কিন্তু আমি তাে তােমার সাথে খারাপ করেছি, তােমাকে চার পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে রেখেছি, খাবার দাবার দেইনি তােমার সাথে তাে খারাপ হয়েছে, বিরবল বলল না

রাজা তেমন কিছুই হয় নি, আমারও লাভ হয়েছে রাজা বলল তা কিভাবে? তখন বিরবল বলল আমি তাে সব সময় আপনি যেখানেই জান আপনার সাথেই যাই, আর আপনি যখন সেই হরিনের পেছনে পেছনে ছুটছেন আমিও তাে আপনার সাথেই থাকতাম, আর যখন সেই লােক গুলি আপনাকে ধরেছে আপনাকে ছেড়ে দিয়েছে কারন আপনার হাতে ব্যথা লেগেছে, তাদের জন্য আপনি পাফেক্ট ছিলেন না, আমি তাে পাফেক্ট আছি, আমারতাে কোথাও লাগে নি, আপনাকে ছেড়ে আমাকে বলি দিত, বন্ধুগন জীবনে যাই কিছু হয় ভালর জন্যই হয়, সব কিছুতেই সম্পূর্নর্তা রয়েছে আর আপনি যখন এই সম্পূর্নতার মধ্যে বাঁচতে পারবেন, যখন আমরা তাকে স্বিকার করতে পারব, তখন আমরা এটা বুঝতে পারব যে এই দুনিয়াতে যাই কিছু হবে তার পেছনেও ঈশ্বরের নেক্সট প্লেন রয়েছে, আর এই বিষয়টি যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলেই আপনি দেখবেন জীবন কতটা সুন্দর হয়ে যাবে,


SOLUTION OF ALL YOUR PROBLEMS |SUCCEED IN BALANCING LIFE | সমস্যার সমাধান করে জীবনে খুশিতে থাকুন

 


আজ কাল তাে মানুষ এতই মর্ডান হয়ে গেছে, বুদ্ধিমান হয়ে গেছে যে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কোনটি সঠিক কোনটি ভুল, কোনটি উচিত কোনটি উচিত নয় তা বিচার করার চেষ্টা করতে গিয়ে এই স্বংসারে সৃষ্টি প্রায় সব কিছুই খারাপ বলে মনে হয়, সব কিছুতে শুধু দোষই চোখে পরে,

বন্ধুগন যদি এই সংসারের সৃষ্টিতে সব কিছু খারাপই হয় তাহলে ইহা যিনি তৈরি করেছেন তিনিও খারাপ হবে!আর যদি না হয় তহলে সব কিছুই যেহেতু তিনিই তৈরি করেন তাহলে সব কিছুই পাফেক্ট হওয়ার কথা, কিন্তু কেন তার পরও মানুষ দুঃখ, যন্ত্রনা, আর অশান্তির শিকার হচ্ছে, এর পেছনে কি কারন রয়েছে? এর মধ্যে যে সব কারন রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ যােগ্য কারন হল আশা, প্রত্যাশা বা বলতে পারেন আকাঙ্খ, যেমন আমাদের জীবন ভাল হতে হবে, উন্নত হতে হবে, আমার এই এই স্বপ্নগুলি পূর্ন হতে হবে, যদি পূর্ন হয় তাহলেই আমরা খুশিতে থাকতে পারব আর ঐ সামনের চিন্তা করতে করতে আজকের যে আনন্দ যে সুখ তা ভােগ করতে পারছি না, ইহাই তাে আমাদের দুঃখের কারন হবে, আমরা ভুলে যাই যে ইনপাফেকশানের মধ্যেই ভগবানের পাফেকশান লুকিয়ে আছে,

আসুন এক উদাহরন দিচ্ছি, দিন আছে তাে রাতও আছে, জন্ম যেমন আছে তেমন মৃত্যুও আছে, প্রত্যেক জায়গাতেই ভগবান এক বেলেন্স দিয়েছে, কোথাও এমন কিছুই করেন নি যে ভারসাম্য নেই, যদি এই সংস্বারকে চালানাের জন্য আমাদের দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তাে ২৪ ঘন্টাই দিন রাখব বা জন্মই দিব কিন্তু মৃত্যু তাে দিবই না। আর এই ভাবে হয় তাে স্বংসারকে আমরা শেষই করে দেব, আর এই জন্য বেলেন্স অনেক বেশি প্রয়ােজন।

বন্ধুগন কোন কোন সময় আমরা যখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি সবাইর যাতে টাকা পয়সা পায় সবাই যাতে সুখী হয়, আপনি হয়তাে ভুলে যাচ্ছেন যেই দিন সবাইর কাছে টাকা পয়সা এসে যাবে, সেই দিন পয়সার কোন মহতুই থাকবে না, | যেই দিন সকলের কাছে মার্সেডিস এসে যাবে, সেই দিন মার্সেডিসের কোন মহত্বই থাকবে না, ভগবান এই যে আলাদা আলাদা তৈরি করেছেন ইহাতে তাে আমরা খুশিতেই থাকতে পারি।
উদাহরন কোন ব্যক্তি যত খারাপ অবস্থাতেই থাকুকনা এই দুনিয়াতে, এর থেকে ও খারাপ অবস্থার লােক পাবেই পাবে, আর তা দেখে সে খুশি হতে পারে। যেমন আপনি যতই মােটা হন না কেন, আপনার থেকেও অনেক বেশি মােটা ব্যক্তি আবশ্যই থাকবে, আর তা দেখে আপনাদের খুশি অবশ্যই হবে , যে আরে না না। আমার থেকেও তাে অনেক মােটা রয়েছে আমি তাে ঠিকই আছি, অথবা আপনি যদি কোন রােগের স্বিকার হন, আর আপনার থেকেও যদি বেশি রােগী দেখতে পান, তাহলে আপনার মনে হবে আরে আমি তাে ঠিকই আছি, আপনি দেখবেন সব সময়ই মানুষ এক রেফারেন্স নিয়ে চলে, মানে আলাদা আলাদা দৃশ্য দেখে আপনি সব সময় খুশি থাকতে পারেন, আপনার টাকা পয়সা কম থাকতে পারে কিন্তু এর থেকেও গরিব আপনি পেয়ে যাবেন। তাদের কম দেখে আমাদের এমন মনে হয় আমাদের কাছে অনেক কিছু আছে, আর আমাদের থেকেও উপরের ব্যক্তিও আছে যারা জীবনে অনেক সফল হয়ে আছে, যাদের দেখে অনেক মােটিভেশান হতে পারি, হা আমি অনেক ভাল হতে পারি, এই বিভিন্নতার কারনেই তাে আমরা বাঁচতে পারছি, এই ইনপাফেকশানের মধ্যেই তাে পাফেকশান রয়েছে, কারন পজেটিভ আর নেগেটিভ দুইটিই যদি থাকে তখনই তাে বিদ্যুৎ জ্বলবে! শুধু পজেটিভ রেখে দিলেন তখন দেখবেন কোন ইলেক্ট্রিক লাইট জলানাের সম্ভব না। যেই শক্তি বােদ্ধকে তৈরি করেছেন সেই শক্তিই তাে লাদেনকে তৈরি করেছেন, আপনি হয় তাে বলবেন আরে লাদেনকে তৈরি করার প্রয়ােজন কি ছিল? সেই ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন যদি লাদেন আপনার আশে পাশে নাই থাকে, তাহলে বােদ্ধের কাছে কে যেত? চিন্তার বিষয় এটি, যখন আপনাকে দুঃখ দেওয়ার মত কেউ থাকে, যখন আপনাকে কাঁদানের মতাে কেউ থাকে, তখনই তাে আপনি ভগবানের কাছে যাবেন, তখনই তাে আপনার দয়া, ভাবনা বা প্রেমের প্রয়ােজন পরবে, তা না হলে কেন আমরা ভগবানের কাছে যাব!

সুতরাং বুঝার চেষ্টা করুন ভগবান ভারসাম্য তৈরি করেছেন, আর এই ভারসাম্যের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে, মানে এই ভারসাম্যের মধ্যে সব কিছু, সম্পূর্নতা এই ভারসাম্যের মধ্যেই আছে।  আর এই জন্যই আমি বলি শুন্যই হল পূর্ন, শুন্য মানে যা মাইনাসেও নাই বা প্লাসেও নাই এক ভারসাম্যের মধ্যে থাকে, যখন ভারসম্য আছে পজেটিভ নেগেটিভ তার জন্যই এই স্বংসার চলতে পারছে, অনেক জায়গাতেই আমার সাথে যখন মানুষের দেখা হয় তখন বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, তখন তাদের বলি ভাই সলিউশান তাে আমি দিতে পারি কিন্তু আপনি কি সত্যিই চান আপনার জীবন থেকে সব সমস্যার সমাধান হউক, তারা বলে হাঁ, আমি বললাম ধরেন আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে তাহলেতাে আপনার কিছু করারই থাকবে না, সমাধান তাে প্রত্যেক সমস্যারই আছে এই রকমও তাে আমরা শুনেছি যে তালা তৈরি হওয়ার আগে চাবী তৈরি হয়ে যায়, আমি এও বলতে পারি স্পিড ব্রেকার পরে তৈরি হয় প্রথমে রাস্তা তৈরি হয়, সুতরাং বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করুন, প্রত্যেক সমস্যারই তাে সমাধান রয়েছে শুধু এই সমস্যার সমাধান পযন্ত আমাদের যেতে হবে, আমাকে কোন কোন সময় মানুষ এই কথাও বলেন চন্দন যদি সমাধান প্রথমে তৈরি হয় সমস্যা পরে হয় তাহলে সমস্যাই তৈরি হয় কেন?
আপনি দেখুন আপনাকে ১০০ বৎসর ব্রেকেসান পালন করতে পাঠিয়েছে যদি, সমস্যাই না তৈরি হয় তাহলে এই ১০০ বৎসর কি করবে, আপনি তাে টুটালিই ফ্রি হয়ে পরতে, কি করতেন তখন? করার মত কিছুই থাকত না, আর লাইফে কোন। ইন্টারেষ্টই থাকত না, আপনি দেখুন এই ধরনের সমস্যা আমাদের জীবনকে কতটা ইন্টারেস্ট তৈরি করে।
তাই সমস্যা যদি তৈরি হয় তাহলে আনন্দের সাথে সমাধান খােজার চেষ্টা করুন, দুঃখ বা টেনশানের কোন প্রয়ােজন নেই, সম্যা যদি আসে তাহলে মনে রাখবেন ভগবান আপনাকে কিছু পরিক্ষা করছে, আর সেই পরিক্ষাতে আপনাকে জয়ী হতেই হবে, যদি হতে পারেন তাহলেই ভগবান আপনাকে প্রিয় ছাত্র করে নেবে, আমরা জানি স্কুলের শিক্ষক প্রথমে শেখায় তার পর পরিক্ষা নেয় আর ভগবান প্রথমে পরিক্ষা নেয় তার পর শেখায়, তাই সমস্যাকে প্রথমে আনন্দের সাথে স্বিকার করুন আর তিক্ষ্ণ বুদ্ধির সাথে সমাধানের রাস্তা খােজার চেষ্টা করুন,

OVER THINKING কমানোর 5টি সহজ উপায় | BY BK CHANDAN | CHANDAN NEW WORLD


 


চিন্তা করা ভাল, কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করা খারাপ, আর এই অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনার সমস্যা অনেক সময় ধরেই হয়ত আপনারা ভােগ করে আসচ্ছেন, প্রত্যেক খারাপ অভ্যাসকে ছাড়তে একটু সময় লাগে এমনকি অনেক প্রেক্টিস ও তার জন্য প্রয়ােজন হয় আজ ৫টি প্রেক্টিস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই, যেই প্রেক্টিস গুলি করলে আপনি এই ধরনের অভার থিঙ্কিং থেকে বাঁচতে পারবেন,

১.অভ্যাসে মনােযােগ :-চিন্তা তাে সবাইর হয়, আর চিন্তা তাে হবেই কিন্তু যখন সেই চিন্তা আপনার মানসিক শান্তিকে নষ্ট করে তখন তাকে অভার থিঙ্কিং বলে, সুতরাং আপনি যখন অনুভব করতে পারবেন সাধারন চিন্তা থেকে অভার থিঙ্কিং এ চলে যাচ্ছেন আর তখনই সেই ধ্যানকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন, কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে তা কি ভাবে সম্ভব?

বন্ধুগন তা সম্ভব হতে পারে আপনার আলাদা আলাদা অভ্যাসের দ্বারা, আর তা হতে পারে হয়তাে আপনার পরিবারের সাথে সময় ব্যায় করে বা বন্ধুদের সাথে ঘুরা ফেরা করে বা আপনি যদি গান শুনতে ভালবাসেন তাহলে আপনার পছন্দের গান শুনে, এতে কি হবে আপনার ধ্যান অন্য কোন জায়গাতে থাকবে তখন অভার থিঙ্কিং এর সমস্যা আপনার মনে আসবে না, এই জন্য চেষ্টা করুন। যখনই অভার থিঙ্কিং হওয়া শুরু হবে তখন নিজের মনকে অন্য বিষয়ে আকর্ষন করার।

2. মেডিটেশান:- আমরা এই দুনিয়ার প্রত্যেকটি বিষয়কে কন্ট্রোল করতে চাই কিন্তু আমরা ভুলে যায় যে যদি নিজের মনকে কন্ট্রোল করতে না পারি তাহলে দুনিয়ার সব কিছু পেয়েও না পাওয়ার মতই হয়ে যাবে, আর যদি মনকে কন্ট্রোল করতে হয় তাহলে মেডিটেশানের মত এত ভাল প্রেক্টিস আর কিছুই নেই, এটিকে আপনি যােগা হিসাবেও করতে পারেন বা প্রক্রিতির সাথে সময় ব্যায় করেও করতে পারেন এমনকি একাগ্রতার সাথে ঈশ্বরকে স্মরন করার মাধ্যমে ও করতে পারেন এই সব কিছুই মেডিটেশানেরই মধ্যে আসে, আর ইহাই আপনার মনকে কন্ট্রোল করার সর্বোত্তম প্রেক্টিস।

3.স্বিকার করা:-স্বিকার করা = শান্তি অনােভব করা, বন্ধুগন আপনার অতিতকে স্বিকার করুন, অনেকবার আমরা নিজের ভুলকে স্বিকার করতে চাই না, আমরা অতিতকে স্বিকার করতে চাই না, তাই আমরা এগিয়ে যেতে পারি না, আর যখনই নিজের সাথে হওয়া প্রত্যেকটি ঘটনাকে স্বিকার করে নিতে পারবেন তখনই অভার থিঙ্কিং থেকে রক্ষা পাবেন।

4.ব্যস্ত থাকা:-নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, কারন আমরা সবাই হয়তাে আমাদের পিতামাতা থেকে বা আমাদের বয়জেষ্ঠদের থেকে অনেক শুনেছি অলস। মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, যখন আমরা কাজ ছাড়া বসে থাকি তখন। আমাদের মনে উলটা পাল্টা চিন্তা চলে আসে, যা ধিরে ধিরে অভার থিঙ্কিং এর দিকে নিয়ে যায়, তাই চেষ্টা করুন হয়তাে আপনার অভ্যাসের দ্বারাই হউক বা কোন কাজের দ্বারাই হউক বা বই পড়ার দ্বারাই হউক পরিবারের সাথে সময় ব্যায় করেই হউক বা নিজের কাজে ব্যস্ত থেকেই হউক যে কোন ভাবে নিজের মনকে ব্যস্ত রাখা যাতে মন কোন খারাপ দিকে না যায়।

5 লেখার অভ্যাস করা:- আমার জানা নেই আপনারা শুনেছেন কি না লেখা এক ভাল অভ্যাস নিজের মনকে ভাল রাখার জন্য, নিজের ইমােশানকে কন্ট্রোল করার জন্য, কারন আমরা প্রত্যেকবার মানুষ পায়না যাকে আমাদের মনের কথা বলতে পারি, আর হয়তাে প্রত্যেকবার প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের মনের কথা বলাও ঠিক না, তাহলে কি করব? কোথাও না কোথাও তাে বলতে হবে তার থেকে ভাল লেখা শুরু কর, যে কথা গুলি আপনার ভাল না লাগবে সেই কথা গুলিও লিখে রাখুন যে সব খারাপ অভ্যাস আছে তাও লিখুন যে গুলি আপনার গ্রোথকে বাধা দিচ্ছে তাও লিখুন যেই সব চিন্তা গুলি আপনার মানসিক শান্তিকে খারাপ করছে তাও লিখুন আবার যেই গুলি ভাল বিষয় যেই গুলি আপনার ভবিষ্যতের জন্য চাইছেন তাও লিখুন, আপনি যাই কিছু শেয়ার করতে চাইছেন তাও লিখে তার পর শেয়ার করুন,

ধিরে ধিরে আপনি দেখবেন আপনার ইমােশানকে আপনি হ্যান্ডেল করতে পারবেন আপনার মাইন্ডকে আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন আর সিদ্ধান্ত খুব ভাল ভাবে নিতে পারবেন সুতরাং চেষ্টা করুন এই ৫টি বিষয়কে আপনার জীবনে প্রেক্টিস করতে পারেন আর আপনি দেখবেন কত তারা তারি যে ওভার থিঙ্কিং এর সমস্যা রয়েছে তা কমতে শুরু করেছে।


Krishna Janmastami 2022/ Celebration of Janmastamai

 



সবাইকে সুস্বাগতম, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, আজকে আমি জানি আমার মত আপনারাও খুব এক্সাইটেড হয়ে রয়েছেন, এই কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানকে ধুম ধাম ভাবে পালন করার জন্য, আর এই শুভ মুহুর্তে আপনাদের সামনে আমি এসেছি এই একবিংশ শতাব্দীতে সত্যিকারের মার্গদর্শী শ্রী কৃষ্ণের জীবন চরিত্র নিয়ে আলােচনা করতে।

এই দৈবী, অলৌকিক, অসাধারন, ১৬ কলা জ্ঞান। সম্পূর্ন,সৰ্ব্বগুন সম্পন্ন শ্রীকৃষ্ণের মহিমা সার্বিক ভাবে আলােচনা করা, সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষ্যে কখনাে সম্ভব নয়, তবে আমি পরমপিতা পরমাত্মার এই সঙ্গমে ব্রহ্মার মুখকমল দ্বারা যে শ্রেষ্ঠ ঈশ্বরীয় জ্ঞান প্রদান করে ছেন আর বিভিন্ন সন্ত মহাত্মা ও সর্বোপরি মহাভারত, ভাগবদ গ্রন্থে কৃষ্ণের জীবন ও চরিত্রকে নিয়ে যে সব তথ্য রয়েছে,এই দুইয়ের এক সুন্দর কম্বিনেশান করার চেষ্টা করেছি, যা বর্তমানে প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে টিকে থাকার জন্য এক মার্গ দর্শন হতে পারে, তা কিভাবে হতে পারে, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি,চলুন শুরু করা যাক!

আমি কোন সন্ত,মহাত্মা নই, না আমি কোন গুরু আমি যে কৃষ্ণ জ্ঞান শুনাতে যাচ্ছি, তা কৃষ্ণের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উনার চরিত্র থেকে যে যে মেসেজ পেয়েছি, যা বর্তমান সমাজে বিভিন্ন টেনশান ডিপ্রেশানে স্বিকার হওয়া, সঠিক সময়ে সঠিক রাস্তাকে খােজে না পাওয়া, সমাজের চোখে অবেহেলিত হওয়া থেকে শুরু করে পরিবার, সংসার, প্রত্যেকটি জায়গাতে শ্রীকৃষ্ণকে লক্ষ্য করে , কিভাবে বেঁচে থাকার সহজ উপায় খােজে পাওয়া যায়, তার আলােচনাই করব, আমি কোন কৃষ্ণ লীলা বা কির্তন শুনাব না, কৃষ্ণর জীবন থেকে যে যে মেসেজ গুলি চোখে পরেছে তার মধ্যে

প্রথমত: কৃষ্ণের জন্ম:- আমরা সবাই জানি যে কৃষ্ণের জন্ম কোথায় হয়েছে? কৃষ্ণের জন্ম হয়েছে এক কারাগারে যা এক ভিখারীর সন্তানেরও হয়না, আর কেমন পরিস্থিতিতে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল? মা দৈবকী ও পিতা বাসুদেবের মনে কৃষ্ণের জন্মের পূর্ব থেকেই এক ভয় বিরাজ করছিল, ভাবছিল এইবার কি জানি হয়, হয়তাে এইবারও কংস এই সন্তানকে ও মেরে ফেলবে, আর সব থেকে উল্লেখ যােগ্য বিষয় কি ছিল জানেন? সন্তান যখন জন্ম হয়, তখন দেখা যায়, সন্তান চিৎকার করতে থাকে, মায়ের মনে খুশি থাকে, কিন্তু কৃষ্ণের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে দেবকীর চোখে জল, মনে অনেক ভয় , কিন্তু বর্তমান একবিংশ শতাব্দিতে এমন ও দেখা যায়,

যদি কোন ব্যক্তি গরিব ঘরে জন্ম নেয় তাহলে সে নিজের ভাগ্যকে দোষ দেয় এমনকি মা বাবাকেও এই গরিব হওয়ার দায়ভার চাপিয়ে, অপমান ও করে , কিন্তু কৃষ্ণকি একবারও নিজের পিতা বাসুদেব বা মা দৈবকীকে বলেছে, যে আমার ভাগ্যই খারাপ, আমার জন্ম এক কারাগারে হয়েছে? না নিজেকে দোষি মনে করেছে? দ্বিতীয়ত মাতৃ বিয়ােগ: কৃষ্ণের যখন জন্ম হয়েছিল তখন যে করুন দৃশ্য চোখে পরে তা হল কৃষ্ণের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মায়ের কাছ থেকে আলাদা হওয়া, কংস কৃষ্ণকে মেরে ফেলবে তার ভয়ে, নন্দরাজের ঘরে কৃষ্ণকে দিয়ে আসে, মা দৈবকীর মনে এই বিয়ােগের যন্ত্রনা কতটা! তা সহ্যকর হবে? আর কৃষ্ণতাে ছােট হলেও তাে সবই বুঝতে পারত, তাহলে কৃষ্ণের মনে কেমন অনুভব হবে? কিভাবে কৃষ্ণ সহ্য করে নিল?

যে তার জন্মদায়ীনি মা তার কাছ থেকে চলে যেতে হচ্ছে প্রত্যেক সন্তানই জন্মের পর নিজের মায়ের কোলে খুব আনন্দে খেলা দোলা করে, কিন্তু কৃষ্ণের ভাগ্যে কি এটি সম্ভব হয়েছে? না! যাই হউক কৃষ্ণ ধীরে ধীরে বড় হল মা যােশােদার কাছে, যােশােদা মা হয়তাে জানেন না যে, কৃষ্ণ দৈবকীর সন্তান! কিন্তু কৃষ্ণ ত জানত, কৃষ্ণের আসল মা কে? তার পরও কি যােশােদাকে বুঝতে দিয়েছে? কৃষ্ণ তাে প্রতি মূহুর্তেই সেই বিষাদের যন্ত্রনা, বিষাদের কষ্ট ভােগ করে গেছে, কিন্তু তার পরও রাখাল বালকদের সাথে নিজের বন্ধুত্ব তৈরি করল হাসি খুশি খেলা দোলার মাধ্যমে লীলাতাে তাে কোন অংশে কম করেন নি,

তবে অদ্ভুত বিষয় হল তিনি যেই বালকদের সাথে খেলা করতেন তারা কেউ কৃষ্ণের সাথে মিল খেত না, পারিবারিক স্টেটাসই হউক, বা মানসিক লেভেলেই হউক, কোন অংশেই কৃষ্ণের সাথে মিলানাে যেত না, কিন্তু মজাদার বিষয় হল কৃষ্ণ কোন ব্যক্তিকেই এই বিষয়টি অনুভব করতে দেয়নি, প্রত্যেক রাখাল বালককে বন্ধু বানিয়ে নিয়েছেন,  অনেক ছেলে মেয়েদের দেখা যায় নিজের বন্ধুবান্ধব | তৈরি করার আগে স্টেটাস চেক করে , যে আমার সাথে ঐ ব্যক্তির স্টেটাস মিল আছে কিনা? সমাজে আমার বাবার যে সম্মান রয়েছে তার বাবার সেই সম্মান আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে বন্ধুর মর্জাদা তাে সম্ভব হবে না, আর যদি তার পরও আমার সাথে থাকতে চায় তাহলে। আমি যা যা বলব তাই তার করতে হবে, যদি আমার জন্য কোন অন্যায় করতে হয় তাহলেও করতে হবে, কারন তােমার স্টেটাস আমার থেকে নিচে! কিন্তু কৃষ্ণ কি করে ছেন? তার ব্যতিক্রম করে ছেন, আচ্ছা,

কৃষ্ণের পরিবারে তথা নন্দরাজের পরিবারে কি ধন সম্পদের অভাব ছিল বলে কোথাও পেয়েছেন? দুধ বা মাখনের কোন অভাব ছিল? নন্দরাজের পরিবারে কৃষ্ণের মত একটি ফুটফুটে সন্তান যদি মাখন খেতে চায় তাহলেকি তাদের অভাব পরবে? কিন্তু তার পরও কেন মাখন চুরি করতে গেছে? কৃষ্ণের নিজের জন্য না, তার বন্ধু মানে সখাদের জন্য! কারন বন্ধুদের পরিবার ততটা ধন সম্পদের অধিকারী ছিলনা, তাই তাদের জন্য মাখন চুরি করতেন, কিন্তু সব দোষ কার উপর পরত কৃষ্ণের উপর, সবাই মাখন চোর । বলতেন, আপনার মনে হয়না কৃষ্ণের মনে এই মাখন চোর শব্দটি কতটুকু খারাপ লাগবে? তার পরও সখাদের জন্য চুরি করতেন, আর সব দোষ নিজের ঘরে নিতেন, কিন্তু বর্তমানে নিজে দোষ করে অন্যদের উপর দোষ চাপিয়ে নিজে খালাস হতে চায়!

তার পর আসছি কৃষ্ণ যখন আর কিছু বড় হল তখন উনার সখী হিসাবে কাছে আসল রাধা, যদিও ভাগবতে কৃষ্ণের অনেক সখী দেখিয়ে ছিল, কিন্তু তার পরও একদম কাছের সখী ছিল রাধা, কাছের এই জন্যই বলছি, যখন মথুরা থেকে কৃষ্ণকে নিতে কংস তার মন্ত্রি অক্রোরকে পাঠিয়েছিল, আর কৃষ্ণও যখন মথুরাতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে রথে বসল, তখন রাধা শুনতে পেয়ে রথের সামনে এসে দাড়ায়, রথকে থামিয়ে দেয়, তখন সেই মন্ত্রি অক্রোর কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করে ন সে কে যে তােমার রথকে বাধা দিয়েছে? তখন কৃষ্ণ কি উত্তর দিয়েছে জানেন? তিনি বলেছেন মানুষ যখন দু:খ, যন্ত্রনা, আর কষ্ট পায় তখন সবাই এসে আমার সাথে শেয়ার করে , আর যখন আমি কোন বিষয়ে। যন্ত্রনা কষ্ট পাই তখন তার কাছে শেয়ার করি, আর সে হল রাধা, আর সব থেকে মজার বিষয় হল রাধা কি বলেছে জানেন? রাধা বলেছে হে কৃষ্ণ! আমি তােমাকে বাধা দিতে আসি নি আমি তােমাকে শেষবারের মত দেখতে এসেছি, আমি জানি এই বিশ্ববাসি তােমার সাহায্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, শুধু আমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য আমি স্বার্থপরের মত তােমাকে আটকাতে পরি না, কিন্তু বর্তমানে দেখুন, মানুষ ভালবাসার অভিনয় করে , একজন অন্যজনকে আপন করার অভিনয় করে, আমি অভিনয় এই জন্যই বলছি বিয়ের আগেতাে খুব আপন খুব কাছের অভিনয় করে, কিন্তু যখন বিয়ে হয় আর নিজের বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে যায় তখন কি করে ? এক সিল মেরে দেয় যে, আজ থেকে আমার কথা ছাড়া এক পাও বেড় হতে পারবে না, এই হল আমাদের ভালবাসা! যেই ভালবাসার স্বাধীনতা থাকবে না, যেই ভালবাসা পায়ে শৃঙ্খল পড়িয়ে দেয়, তাহলে এটি কেমন ভালবাসা? ভালবাসা তাকেই বলে যে ভালবাসা সামনের ব্যক্তির খুশির জন্য নিজের ত্যাগ স্বিকার করতে পারে,

যাই হউক কৃষ্ণ যখন মথুরা গিয়ে কংসের সাথে যুদ্ধ করে কংসকে বধ করলেন, আর নিজের মা বাবাকে তথা মাতা দৈবকী আর পিতা বাসুদেবকে বন্ধীমুক্ত করলেন, তখন সেই মথুরার সিংহাসনে তাে বসার অধিকার স্বয়ং কৃষ্ণেরই তাইনা!কিন্তু কৃষ্ণকি সেই সিংহাসনে বসেছেন? না! বসিয়েছেন উনার পিতাকে, আজ যদি কোন সন্তান নিজে পরিশ্রম করে কোন অ্যাওয়ার্ড বা পুরুস্কার অর্জন করে তাহলে তার সম্পূর্ন ক্রেডিট নিজেই নিতে চায়, সে বলতে থাকে যে সে কত পরিশ্রম করে এই অ্যাওয়ার্ড এচিভ করতে পেরেছে, তার অহংকার আসতে থাকে।

এর মাঝখানে অনেক ঘটনা রয়েছে সেই গুলিতে আমি যাচ্ছিনা, এরই মাঝে কৃষ্ণের বিয়ে হয় রুকমনির সাথে, যাকে কেন্দ্র করে বিবাধ তৈরি হয় শিশুপালের সাথে জরাসন্দের সাথে, যার ফলে কৃষ্ণকে দ্বারিকাতে গিয়ে দ্বারিকা নগরী তৈরি করতে হয়েছে আর সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বয়ং বিশ্বকর্মাকে, বিশ্বকর্মা যখন কাজে হাত দেবেন, তখন কৃষ্ণকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করে ন আমিতাে দ্বারিকা নগরী শুরু করতে যাচ্ছি, কিন্তু এই দ্বারকা নগরী তৈরির ক্ষেত্রে আপনার কোন ডিরেকশান আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে বলতে পারেন, কৃষ্ণ তেমন ডিরেকশান দেন নি। শুধু এই টুকুই বলেছেন যদি সম্ভব হয় বৃন্দাবনের দিকে কোন জানালা বা দর্জা রাখবে না, বৃন্দাবনের দিকে কেন জানালা বা দর্জা না রাখার কথা বলেছেন? বৃন্দাবনে তাে কৃষ্ণ বড় হয়েছেন, সেখানে অনেক খেলাদোলা করে ছেন, অনেক বন্ধুবান্ধব উনার রয়েছে, যে মা কৃষ্ণকে লালন পালন কওে ছেন বড় করে ছেন সেই মা যােশদা রয়েছেন, কিন্তু তিনি সেই দিকেই দরজা জানালা রাখতে চাইছেন না? কারন তিনি অতীতে যা কিছু হয়েছে, তা আর মনে করতে চাইছেন না, আজ যা চলছে তার উপর ফোকাস করতে চাইছেন, আর ভবিষ্যতের জন্য রনকৌশল করতে চান, কিন্তু আজকাল মানুষ কি করে শুধু অতীতকে নিয়েই বাঁচতে চায়, অতীতে কি ভুল করে ছে, কি হাড়িয়েছে তার জীবন থেকে কি চলে গেছে, তার মধ্যে ডুবে থেকে বর্তমানের যে আনন্দ যে খুশির পরিস্থিতি তাকে ভােগ করতে পারছে না,


কৃষ্ণের জীবন কাহিনিটির দিকে যদি ফোকাস করি তাহলে দেখা যায় কৃষ্ণের লাইফে ছিল কষ্ট যন্ত্রনা আর বিষাদ, কিন্তু কখনােই অন্যদেরকে বুঝাতে দেয়নি যে তিনি কতটা কষ্টে রয়েছেন। কিন্তু তা সব কিছু ভুলে গিয়ে হাসি খুশিতে থাকতে ভালবাসতেন আনন্দে থাকতে ভালবাসতেন, আর আপনি দেখবেন কৃষ্ণের যত ছবি রয়েছে সেই ছবিতে বা মুর্তিতেও দেখা যায় কৃষ্ণ এক মুসকি হাসি দিয়ে রয়েছেন, আমি প্রথমেই বলেছি কৃষ্ণের চরিত্র এই একবিংশ শতাব্দিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের এক মার্গ পাওয়া যায়!

আর আমি উনার জীবন কাহিনি থেকে ক্ষুদ্র কিছু কিছু পার্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে ছি, যদিও উনার আরও চরিত্র রয়েছে, মহাভারতে পান্ডব ও কুরুদের মধ্যে কৃষ্ণের অনেক ভুমিকা ছিল, ভাগবদগীতার রচনায় | এমন অনেক চরিত্র কৃষ্ণের রয়েছে যা আমাদেরকে জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য এক মার্গ বা রাস্তা বলতে পারে, কৃষ্ণের এই জীবন থেকে যে যে গুরুত্ব পূর্ন মেসেজ গুলি পেয়েছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি,


ধন্যবাদ!















God Sent a Letter to you


আজকে আমি ছােট্ট একটি চিঠি নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি, আসলে। চিঠিটি আপনাদের কারুর না কারুর হতে পারে তা আমি ঠিক জানি না, কিন্তু চিঠিটা ভুলে হয়তাে আমার ঘরে এসে গেছে, আর আমি জানি অন্যের চিঠি পড়া উচিত না তার পরও ভুল ক্রমে চিঠিটা খুলে ফেলেছি এবং পড়েও ফেলেছি আর তা পড়ে যে অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে তা আপনাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আমি নিজেকে মনস্থির করেছি কারন চিঠিটি আপনাদের আমার না, তার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই চিঠিটাকে আপনাদের কাছে পরিবেশন করব এবং তার ভিতরের যে খবর টুকু তা আপনাদের কাছে তুলে ধরব,

এই চিঠিটির শুরুতেই লেখা আছে, আমি অপেক্ষা করে থাকব, সারা জীবন। আমি অপেক্ষা করে থাকব, হয়েছে এমন তুমি যখন ঘুম থেকে উঠলে আমি তুমার বিছানার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম এবং ভাবছিলাম তুমি ঘুম থেকে উঠেই আমাকে ধন্যবাদ দিবে আমাকে স্মরন করবে, তুমি তারা তারি ঘড়ির দিকে দেখলে এবং দৌড়ে চলে গেলে ফ্রেস হতে স্নান সেরে ড্রেস পরলে তার পর তােমার প্রচন্ড খিদা পেয়েছে চলে গেলে দৌড়ে কিচেনের দিকে তখন তােমার খাবার পরিবেশন করা হল তুমি তারা তারি খেতে থাকলে এবং তুমার উদর যখন পুর্তি হল তখন আমি ভাবলাম এখন হয়তাে তুমি আমাকে

স্মরন করবে, কিন্তু তখনও আবার তাকালে ঘড়ির দিকে তােমার অনেক | বেলা হয়ে গেছে অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে তুমি দৌড়ে বের হচ্ছ ঘর থেকে, ব্যাগ নিচ্ছ ফাইল নিচ্ছ আর দৌড়ে তুমি ছুটছ তার পর হতাৎ

দৌড়ে এসে দরজায় এসে দাড়ালে ভাবলাম হয়তাে এইবার তুমি আমাকে স্মরন করবে তুমি তারা তারি ঘরের বাইরে চলে গেলে এবং গাড়ির কাছে গিয়েও আবার দৌড়ে তুমি ঘরে ফিরলে আমি ভাবলাম আগে তাে ভুলে গেছ স্মরন করতে এইবার হয়তাে আমার কথা স্মরন করতে ঘরে এসেছ, নিশ্চয় তুমি আমাকে স্মরন করবে কিন্তু তুমি তাও করলে না, তুমি ঘরে আসলে ঘরে এসে তােমার ফেলে যাওয়া মােবাইলটি নিয়ে ঘর থেকে সুজা


বেড় হয়ে গেলে, তারা তারি গিয়ে গাড়িতে বসলে আর ড্রাইবারকে বলচ্ছ তারা তারি চল, আমার অনেক বেলা হয়ে গেছে তার পর যথা রিতি অফিসে গিয়ে পৌছলে আর সঙ্গে সঙ্গে অফিসের বিভিন্ন ফাইল পত্র নিয়ে তুমি অনেক ব্যস্ত হয়ে পরলে, তখন তাে আমাকে স্মরন করার কথা তুমি ভুলেই গেলে, তার পর যখন লান্সের সময় আসল তখন যথা রিতি লান্সও সেরে নিলে আর লান্স সেরে যখন রেস্ট রুমে বসলে তখন ভাবলাম এইবার নিশ্চই আমাকে স্মরন করবে কিন্তু তখন তুমি কি করলে তােমার কলিগদের ডেকে গত রাতে যে আই.পি.এল খেলা হয়েছে তাকে নিয়ে তুমি সময় নষ্ট করতে থাকলে আলাপ আলােচনাতে ব্যস্ত হয়ে পরলে তার পর ধিরে ধিরে তােমার অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে আর যখন অফিসের কাজ সেরে ঘরের উদ্দ্যেশে রৌনা হলে ফেরার পথে আমি ভাবলাম হয়তাে এখন তুমি আমাকে

ধন্যবাদ দেবে আমাকে স্মরন করবে না তারা তারি করে তুমি বাড়িতে ফিরলে তখন তুমি খুব ক্লান্ত হয়ে গেলে তার পরও আমি আসা করেছি তুমি আমাকে ধন্যবাদ দেবে আমাকে স্মরন করবে তুমি দৌড়ে গেলে ফ্রেস হতে ফ্রেস হয়ে আসলে তােমার ক্লান্তিটা অনেক দূর হল তখন আমি ভাবলাম এইবার হয়তাে আমাকে স্মরন করবে কিন্তু না তখন তুমি কি করলে তুমি রিমােট নিয়ে বসে গেলে তােমার প্রিয় টিবির পর্দায় তখন তুমি এক এক | করে চেনেল ঘােরাতে লাগলে তােমার প্রিয় সিরিয়েল তােমার নিউজ চেনেল তােমার ক্রিকেট ম্যাচ এই ভাবে পর্দা ঘুরাতে ঘুরাতে ১০টা ১১টা বেজে গেল আর তুমি এই টিবির সামনেই তুমি ডিনারকে সেরে নিলে তার পর তুমার ১১টা বেজে গেল এই বার ভাবলাম অবশ্যই তােমার সারা দিনে একাবার ও

স্মরন করনি এইবার তুমি আমাকে অবশ্যই স্মরন করবে না তােমার খুব | ক্লান্তি এসে গেছে তুমি ঘুমে আচ্ছন্ন তার পর তুমি চলে গেলে বেড রুমে


তার পর তুমি কখন যে শুয়ে গেল তুমি নিজেই জান না, তার পর আমি দূর। থেকে মুচকি হাসলাম এবং আমার যে অভিমান সব কিছু ভুলে গেলাম আবারও আমি পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করে রইলাম, আবারও পরের

দিন তুমি উঠলে একই ভাবে তুমি ব্যস্ত হয়ে পরলে সারা দিন এই ভাবেই চলে গেল কিন্তু আমি আশা ছারি নি আমি এখনও অপেক্ষায় আছি, | প্রয়ােজনে আমি সারা জীবন অপেক্ষা করতে থাকব, তাে বন্ধুগন এই চিঠিটা আপনাদের মধ্যে কার আমি জানি না, আশা করি যার উদ্দ্যেশে এই চিঠিটা আপনারা বুঝে গেছেন। | আসলে যিনি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠানাের আগে থেকেই আপনার যা যা প্রয়ােজন কখন কোন কোন পরিস্থিতিতে কি কি ভাবে মােকাবিলা করবেন তার তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন,আর জন্মের পর আমাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এমন হয় উনাকে স্মরন করে ধন্যবাদ দেওয়ার | পরিবর্তে নিজের কর্মের দোষ উনাকেই দিচ্ছে।

তাই বন্ধুগন আপনাদের অনুরােধ করে বলব যদি ৩০ সেকেন্ড ও আপনারা বের করে তাকে স্মরন করেন আর সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন আপনি ভােরের আলােটি দেখেন তখন তাকে একবার ধন্যবাদ দেন তাহলেই তাে উনি খুশি। উনিতাে সবসময় আমাদের সাথে থাকতে চায় আমাদের সব ধরনের কষ্ট, যন্ত্রনা নিজে হজম করে আমাদের মুখে হাশি ফুটাতে চায় কিন্তু আমরা তাকেই দুরে সরিয়ে রাখি।