এই বৎসর অর্থাৎ ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিজনােরের ২৩ বৎসরের কন্যা শ্রুতি শৰ্মাজী U.P.S.C(union public commission) তে টপ 1 রেঙ্ক করে দেখিয়েছেন! উনারই এমাজিং সাকসেস স্টরির টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি! এই টিপস ফলাে করলে আপনি ও এই লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন।
ইউ.পি.এস সি পরিক্ষায় বসতে অনেকেরই ইচ্ছা হয়, কিন্তু সফলতার সঠীক উপায় অনেকে জানেন না। অনেকে ইউ.পি.এস.সি পরিক্ষায় বসার জন্য ভাবেন মনে হয় হ্যা আপনি ও পারবেন পরিক্ষায় ক্রেক করতে! ভয়ের কোন কারন নেই। কিন্তু যখন পরিক্ষার ফর্ম ফিলাপের সময় আসে ফর্ম ফিলাপ ও করেন , কিন্তু প্রিপারেশান কি করবেন, কোথা থেকে স্টার্ট। করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারেন না!
এক সার্ভেতে দেখা গেছে ভারতবর্ষে ইউ.পি.এসসি পরিক্ষার ফর্ম যদি ১০০% ফিলাপ করে তার মধ্যে ৪০% কেন্ডিডেট প্রিলিমস(prelims) পরিক্ষাতে বসার জন্য তৈরী হয়! আর মেইন পরিক্ষা দেওয়ার জন্য মাত্র ১.৩% সিলেক্ট হয় আর ৩৮.৭% কেন্ডিডেট ব্যর্থ হয়ে যায়! আর মেইন পরিক্ষা ক্রস করে ইন্টারভিউর জন্য ০.০২৪% কেন্ডিডেট সিলেক্ট হয়, আর ফাইনাল সিলেক্ট হয় ০.০৯ % আপনি ভাবতে পারছেন? এই পার্থক্য কেন? জীবনে যদি কিছু করে দেখাতে চান তাহলে সেই ইউ.পি.এস.সি পরিক্ষায় টপ রেঙ্ক করে দেখান! যেখানে শুধু গভর্নমেন্ট চাকরি করে অর্থ উপর্জনই লক্ষ্য নয়। নিজেকে নিজের দেশে প্রতিষ্ঠিত করার এক মাধ্যম বলতে পারেন! হয়তাে অনেকেই ১০০% টার্গেট নিয়ে এর প্রিপারেশন শুরু করেন কিন্তু দেখা যায় মাঝ রাস্তাতেই ব্রেক ডাওন হয়ে যায়! তার একদম প্রকৃত উদাহরন
২০২২ সালের ইউ.পি.এস.সি লিষ্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন, দেখা গেছে ১০,৯৩,৯৮৪ পরিক্ষার্থী ফর্ম ফিলাপ করেছেন এর মধ্যে মাত্র ৫,০৮,৬১৯ জন পরিক্ষার্থী প্রিলিমস পরিক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে। তার থেকে মাত্র ৫০% শেষ পর্যায়ে প্রিলিমসে বসেছে এর মধ্যে মাত্র ০.০১% ক্রেক করেছে। তাহলে বুঝতে পারছেন?
এই বৎসর অর্থাৎ ২০২২ এ টপ ওয়ান হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজনােরের ২৩ বৎসরের কন্যা শ্রুতি শৰ্মাজী সব থেকে মজাদার বিষয় হল সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চিন্তা ধারা অর্থাৎ ট্রেডিশানের পরিবর্তন হতে চলেছে!পুরুষদের তুলনায় | মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে কারন তারা দৈহিক বা মানসিক উভয় দিক দিয়ে দুর্বল, কিন্তু কয়েক বৎসরের ইউ.পি.এস.সি রেজাল্টে দেখা যায় পুরানাে ট্রেডিশান দিন দিন বদলে যাচ্ছে!
প্রশ্ন হল শ্রুতি শৰ্মাজীর মধ্যে এমন কি আলাদা কুয়ালিটি ছিল যে তিনি ১০ লাখ কেন্ডিডেটের মধ্যে টপ ওয়ান হয়েছেন। তিনি এমন কি স্ট্রেটেজী প্রয়ােগ করেছেন যা অন্যদের থেকে আলাদা! আলাদা এমন কি সিক্রেট আছে?
শ্রুতি শৰ্মাজী টপ ওয়ান হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত নিউজ মিডিয়া,প্রিন্ট মিডিয়া উনার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন!তারা উনার , লক্ষ্য পূরনের কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন! ইন্টারনেটে কিছু ডাটা দেওয়া হয়েছে! রেজাল্ট যা উঠে এসেছে তা হয়তাে জানতে পারলে আপনিও বলবেন যে ভগবান! এই টিপস গুলাে যদি আমি প্রথমে জানতাম তাহলে হয়তাে আমিও লাইফে সাকসেস হতাম! আমার স্বপ্নও পূর্ন হত!
আমি সেই সিক্রেট টিপস গুলােকে সর্ট করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি বন্ধুগন যা হওয়ার হয়ে গেছে তার জন্য অনুসূচনা করে কোন লাভ নেই আগামী দিনের জন্য অ্যাকশান প্লেন করুন বাউন্স বেক করুন
চলুন টিপস গুলাে আলােচনা করি:
1) Internal Target set:
2) Focus on Sources:
3) Time Management:
4) Focus on progress:
5) Flexible on the way:
এই পাঁচটি টিপসই আপনাকে আপনার স্বপ্নের দুনিয়াতে পৌছে দিতে পারবে
Internal Target set:- তার মানে ইউ.পি.এস.সি পরিক্ষায় বসার ইচ্ছা আপনার অন্তর থেকে আসতে হবে। দেখা গেছে নিউজে কারুর উৎসাহ ও প্রসংসা দেখে হঠাৎ নিজের মনেও ইচ্ছা হয়েছে বা নিজের বন্ধুদের সাথে নিজেকে তাল । মিলিয়ে চলার জন্য ফর্ম ফিলাপ করে নিলেন, অথবা সমাজে দেখানাের জন্য হ্যাঁ আমি ও ইউ.পি.এস.সি পরিক্ষার ফর্ম ফিলাপ করেছি যাতে সমাজে আমার রেস্পেক্ট বাড়ে! আর যখন পরিক্ষার সময় আসে তখন মন ধিরে ধিরে দুর্বল হতে থাকে, ভয় এসে যায়, মনে নেগেটিভ চিন্তা আসতে থাকে শেষ পর্যায়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনি পরিক্ষা দেবেন না! তাই আপনার টার্গেট মানুষকে দেখানাের জন্যই হলে হবে না আপনার নিজের জন্য হতে হবে আপনি যে টার্গেট বা গােল সেট করেছেন ইউ.পি.এস.সির জন্য তার পেছনে কি গােল আছে তার প্রতি লক্ষ্য দিতে হবে!ঠিক শুনেছেন গােলের পিছনে গােল! তা না থাকাতেই ১০০% কেন্ডিডেটের নাম নথিভুক্ত করলেও পরিক্ষা হলে এন্ট্রি হয় মাত্র ৪০ বা ৫০% কেন্ডিডেট।
Focus on Sources:- শ্ৰতি শর্মার সাক্ষাৎকারের তথ্যে দেখা যায় টার্গেট সেট করার পর সেই একজাম পয়েন্ট অব । ভিউতে কি কি সাবজেক্ট কি কি সিলেবাস তার জন্য কি কি ক্রাইটেরিয়া রয়েছে তার বিস্তারিত ডাটা কালেক্ট করা শুরু করতে হবে বর্তমানে ইন্টারনেট এক বিশাল গাইডার হিসাবে কাজ করে এবং নিজেকে নিজে ৪০% ডেভেলপ করার পরে ভারতবর্ষে প্রায় শহরে ইউ.পি.এস.সি কোচিং সেন্টার রয়েছে তাদের সাথে কনসাল্ট করা প্রয়ােজন। তবে নিজেকে ফুল কোর্সের প্রাথমিক নলেজ হওয়ার পরেই কোচিং এ জয়েন্ট করতে হবে! দেখা গেছে প্রথমেই যদি কোচিং এ জয়েন্ট করেন তাহলে কোচিং নির্ভর হয়ে যাবেন, এর ফলে নিজের ইন্টার্নাল পাওয়ারকে বের করতে পারবেন না। এর ফলে ইউ.পি.এস.সি কোর্স এক বিশাল বিষয় বলে মনে হবে।
এর পর ইম্পর্টেন্ট টিপস হচ্ছে
Time Management:- শুধু ইউ.পি.এস.সি নয় জীবনে প্রতি মুহুর্তে এই Time Management বিষয়টি এক বিশাল গুরুত্ব পূর্ন ভুমিকা পালন করে! বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় স্টুডেন্টের মধ্যে এক বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় যে যত বেশি সময় পড়তে বসে সে তত বেশি নাম্বার পাবে! কিন্তু যারাই ইউ.পি.এস.সিতে সাকসেস হয়েছে তারা প্রত্যেকেই কমেন্ট করেছেন যে ১৫-১৬ ঘন্টা পড়তে হবে না ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পতিদিন পড়লেই হবে! তবে তা ১০০% মনােযােগের সাথে পড়তে হবে। পড়ার পূর্বে একটু সময় মেডিটেশান করলে রেজাল্ট অনেক ভাল হবে! এমন যেন না। হয় যে ৮ ঘন্টা পড়তে হবে তাই কিছুক্ষন পর পর হিসাব করতে থাকলেন যে ৮ ঘন্টা হওয়ার আর কত বাকি? না বন্ধুগন তা প্রকৃত স্টুডেন্টের লক্ষন নয়! আপনার সাবজেক্টগুলােকে টাইমের সাথে মিলিয়ে এক রুটিন করে নিন, এতে কি হবে আপনাকে সেই রুটিনই এগিয়ে নিয়ে যাবে পারিক্ষার জন্য! আপনি স্টেপ বাই স্টেপ উপরে উঠতে থাকবেন যা আপনি ভাবতেই পারবেন না টাইম ম্যানেজমেন্টের আর ও ইম্পটেন্ট বিষয় হল ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৮৬,৪০০ সেকেন্ড! যা ভগবান প্রতিদিন সকালে আমাদেরএকাউন্টে ডিপােজিত করে দেন আর তাকে কোথায় কিভাবে ইউজ করবেন তা সম্পূর্ন আপনাকে ডিসাইড করতে হবে! কোন কাজকে কতটা গুরুত্ব দিতে হবে আর কতটা সময় দিতে হবে,
চতুর্থ পয়েন্ট Focus on progress :-
অর্থাৎ একজাম কেন্ডিডেটের কাছে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব পূর্ন কারন টার্গেট সেট করে তা এচিব করার জন্য অ্যাকশান করতে থাকলেই চলবে না, ডে বাই ডে কি ডেভেলপ হচ্ছে তার ও পর্যবেক্ষন করতে হবে আর তা আপনার টার্গেট এচিভ করার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে! আপনি নােট পেডে প্রত্যেক দিনের কত % ডেভেলপট হয়েছে তা নােট করতে পারেন তার উপর নিজেকে নিজে মার্ক দিতে পারেন। এতে দুই দিকেই আপনার বেনিফিট হবে! এক আপনার কোন জায়গাতে দুর্বলতা রয়েছে তার সমাধান আপনি পেয়ে যাবেন! দুই আপনি যখন অনুভব করতে পারবেন যে আপনার ডেভেলপ হচ্ছে তাতে আপনার মধ্যে এক উৎসাহ তৈরি হবে যা আপনার ইন্টারনেল এনার্জিকে আরও ডেভেলপ করবে!
৫ম বা লাস্ট পয়েন্টটি হল Flexible on the way
তা কেন গুরুত্ব পূর্ন আশা করি আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন! কারন আপনি যদি একজাম কেন্ডিডেট হন তাহলে আপনি যে কোন একটি মাধ্যমকেই যদি আক্রিয়ে ধরে রাখেন তার যদি কোন বিচার বিশ্লেষন না করেন তাহলে দেখা যাবে যখন পরিক্ষার সময় আসবে তখন ১০০% অ্যাকোরেসিতে পৌছাতে পারবেন না! এমন ও দেখা যায় এক এক কোচিং বা এক এক টিচারের প্রভাব এমন ভাবে স্টুডেন্টের উপর পরে স্টুডেন্ট ভাবে উনিই আমাকে এই টার্গেটকে এচিভ করে দেবে! আমি বলছিনা যে সেই টিচার খারাপ বা উনার কোচিং আপনাকে সাকসেস দিতে পারবে না! প্রবলেম হল টিচার তাে লেকচার দেবে এক ভাবে কিন্তু সেই নলেজ প্রত্যেক স্টুডেন্ট নেবে আলাদা আলাদা ভাবে! যার জন্য আপনাকে ভ্যারাইটিজ টিচারের সাথে কনসাল্ট করতে হবে যতক্ষন না পর্যন্ত আপনার মনের জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন বিষয়ক কৌতুহলের সমাধান না হচ্ছে!
শ্রতি শৰ্মাজীর ইউ.পি.এস.সি ২০২২ একজামের টপ ওয়ানে আসার ট্রিক্স এন্ড টিপস আশাকরি আপনাদের অনেক ইন্সপ্রেশান যুগিয়েছে! উপকৃত হলে ভিডিওকে লাইক করবেন আর দুর দুরান্তে শেয়ার করবেন! আজকে এপর্যন্তই আবার দেখা হবে আগামী ভিডিওতে! ততদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন!
ধন্যবাদ!
No comments:
Post a Comment