Unemployment Crisis in India


বেকারত্বের সমস্যা শুধু ভারতবর্ষেই নয় সারা বিশ্বে এক অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। এই সমস্যার কারনেই আজ অনেক বেকার ভাই অন্যায় পথে পা বাড়াচ্ছে! তারা তাদের জীবনে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না!বেকার ব্যক্তির মনে হয় জীবনে সে এক হতভাগা! আর প্রতি নিয়তই মনে আসে আরে বয়স বেড়ে যাচ্ছে আমার হাতের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে! এখন যদি কিছু করতে না পারি তাহলে এই জীবনে থাকা আর না থাকা সমান! আজকে এই বেকারত্বের সমস্যাকে

কাটিয়ে সাঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব! এই টিপস গুলি হল :

১) পিতামাতার উপর নির্ভর থেকেই ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা!

২)পরিক্ষামুলক ভাবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগান ও পর্যবেক্ষন করুন!

৩) কৰ্ম্ম বাছাইয়ে নমনীয় হউন!

৪) সঠিক সিদ্ধান্তের উপর স্ট্যাম্প লাগান।

এখন আসুন প্রথম পয়েন্টটি নিয়ে আলােচনা করি

) পিতামাতার উপর নির্ভর থেকেই সকল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুন!

এর মানে পিতা মাতার অধীনে থেকেই অর্থাৎ স্টুডেন্ট লাইফেই বিভিন্ন ভাবে আপনার প্রফেশনাল এক্সপিরিয়েন্স তৈরি করা। এবং জীবনের লক্ষ্য সেট করা! এমন ও দেখা গেছে প্রায় ব্যক্তি পড়াশুনার লাইফে পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোন এম্বিশান তাদের থাকেইনা! পড়াশুনা,খেলাধুলা,বাবার হােটেল! এর ফলে পড়াশুনা কমপ্লিট করার পর তারা ডিপ্রেশানে চলে যায়! কি করবে, কি টার্গেট সেট করবে? সময় চলে গেছে। প্রতিযােগীতা বেড়ে গেছে। প্রতি মুহুর্তে মনে হয় এখন কি টার্গেট সেট করার সময় আছে? কখন টার্গেট সেট করব? আর কখনই বা তা এচিভ হবে? সেই অভার থিংকিং এর কারনে কি করবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না!

তাই আমি বলব আপনার পড়াশুনার সময়েই আলাদা ভাবে প্রফেশান লেভেলের ট্রেইনিং নেওয়া প্রয়ােজন! তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা বর্তমানে এই বিষয়ে সচেতন হচ্ছে। আজকাল দেখা যায় পড়াশুনার পাশা পাশি কম্পিউটারের প্রশিক্ষন নিচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যতে পড়াশুনা শেষ করার পরে তারা এর মাধ্যমে এক ইনকাম সোস পেয়ে যাবে!

তবে আমি বলব শুধু কম্পিউটারই না এর পাশা পাশি আপনার অন্য প্রফেশানের বিষয়েও এক্সপিরিয়েন্স নেওয়া প্রয়ােজন! যদি বিজনেস এক্সপিরিয়েন্স করতে চান তাহলে কিছু কিছু বিজনেস স্টাডি ও করতে পারেন! এতে দুই দিকেই লাভ এক আপনার পড়াশুনা শেষ করার পর যদি কোন বিজনেস শুরু করতে চান তখন আপনার মানুষের সাথে বিজনেসের স্টাইলের ব্যবহার আদব কাইদা এই গুলি আপনি পেয়ে যাবেন যার ফলে নিজেকে ঘাব্রাতে হবে না আর দুই আপনি একদিনের জন্যও বেকার থাকবেন না। শুতরাং পড়াশুনার লাইফেই আপনি বিশেষ কিছু করার ট্রেইনিং নিয়ে নিন! পড়াশুনার সময়েই প্রফেশান লেভেলের এক্সিপিরিয়েন্স নিতে হবে!

ভগবান এই বিশ্বে কোন কিছুরই অভাব রাখেন নি শুধু তাকে খােজে বের করতে হবে, তবে আমি একবারও বলছি না যে আপনি পড়াশুনাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু প্রফেশনাল বিষয়ে গুরুত্ব দিন! যে সময় ফেইসবুক বা অন্যান্য সােসাল মিডিয়া, গেইমে এমনকি গল্পে সময় দেন এই সবের মাত্র ২০% সময়কে ইউজ করুন তাহলেই চলবে! অনেকেই হয়ত বলবে আরে এক্সপিরিয়েন্স তাে নিতে চাই কিন্তু কিসের এক্সপিরিয়েন্স নিব? কি আছে? তাদের উদ্দেশ্যে একটিই কথা বলব একজন ব্যক্তির কেরিয়ার তৈরি করার যে সব মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে হয়ত কয়েকটি প্রফেশানের নাম আপনার জানা আছে? ২ মিনিট সময় নিয়ে একটু কষ্ট করে গুগােল ওয়েবসাইটে গিয়ে টাইপ করুন How Many Type of Profession. তখন দেখতে পাবেন ২০০ বেশি প্রফেশান রয়েছে যা আমি বলে শেষ করতে পারব না, কিন্তু আপনি হয়তাে ১০ বা ১৫টি প্রফেশানের নাম জানেন আর ভাবেন এই গুলি দিয়ে আমি কিভাবে কেরিয়ার তৈরি করব। আমার বিশ্বাস এই গুলির থেকে আপনার পছন্দ স্বরুপ প্রফেশান আপনি পেয়ে যাবেন। এর পর আসচ্ছে

২) পরিক্ষামুলক ভাবে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানাে ও পর্যবেক্ষন করা!

মানে আপনি পড়াশুনার লাইফে যে সব অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে তৈরি করেছেন তা স্টেপ বাই স্টেপ ইউজ করা শুরু করুন! আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা শুরু করে দিন!

এক সার্ভেতে দেখা গেছে ৭৫% ব্যক্তির মধ্যে ইগােনেসের প্রভাব কাজ করে। তাদের কাছে যে কাজই আসে প্রথমে তারা | ভাবে এই কাজটি কি আমার যােগ্য? এই ভাবেই তাদের সময় নষ্ট হয়! আবার যদি কোন উল্লেখ যােগ্য কোন কাজ আসে।

সমাজে যার অনেক সম্মান আছে সেই কাজ করার আগে ভাবে আমি কি এত পরিশ্রমের কাজ করতে পারব? না আমার পক্ষ্যে | তা সম্ভব হবে না! আর এই করতে করতে তাদের লাইফ চলতে থাকে বেকারত্বের মধ্য দিয়ে!

এখন আসি তৃতিয় পয়েন্ট যা খুবই গুরুত্ব পূর্ন

৩) কৰ্ম্ম বাছাইয়ে নমনীয়তা! যাকে ইংরেজীতে বলি Flexible on Source

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বংশ পরম্পরাতে নিজের বাপদাদারা যে সব ভাবে ইনকাম করতেন তাই তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ফলাে করতে নির্দেশ দেন! বাস্তবে প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা আলাদা!যার ফলে তারা তাদের ইনার পাওয়ারকে কাজে লাগেতে পারে না, আর এ জন্যই প্রয়ােজন স্কুল লাইফে এক্সট্রা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা! যার দ্বারা পরবর্তীকালে ট্রাই এরােরের মাধ্যমে প্রেক্টিস করতে পারেন!

এই বিষয়টি অনেক গুরুত্ব পূর্ন, কারন ইনকামের জন্য ট্রেডিশানের বাইরে গিয়েও এক এক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে থাকুন আর যেখানে সেট না হয় সেখান থেকে সরে আসুন! আমি নিশ্চিত একটিতে না একটিতে আপনি অবশ্যই সেট হয়ে যাবেন! আজ নয়তাে কাল! কারন পৃথিবীতে এমন কোন জীব নেই যাকে ভগবান জন্ম দিয়েছেন কিন্তু তাকে কর্মের ও রুটি রােজগারের উপায় দেননি। তাই নিজের ভিতরে খােজার চেষ্টা করুন নিজের কুয়ালীটিকে বেড় করুন! লাষ্ট পয়েন্ট

৪) সঠিক সিদ্ধান্তের উপর স্ট্যাম্প লাগান।

যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মনের সাথে আপনার কাজ মিলে গেছে তখন তন মন সর্বস্ব দিয়ে সেই কাজে লেগে | যান! পেছনে ভাবার কোন প্রয়ােজন নেই! কে কি বলবে তার দিকে ফোকাস করার কোন প্রয়ােজন নেই। অনেক সময় দেখা

যায় আপনি যে কাজটিকে চয়েজ করবেন তা হয়তাে অন্যদের কাছে ভাল নাও লাগতে পারে কিন্তু যদি আপনার মন সেট হয়ে | যায় তাহলে অন্যের কথার উপর কোন গুরুত্ব দেওয়ার কোন প্রয়ােজন নেই! আমার বিশ্বাস যদি এই চারটি টিপসকে ঠিক ঠিক ভাবে ফলাে করতে পারেন তাহলে আনএমপ্লই যে সমস্যা আজ ওয়ালর্ডে দেখা যাচ্ছে তার হ্রাস করা সম্ভব!


No comments:

Post a Comment