আজকাল মানুষের এক সাধারন প্রশ্ন? এই পৃথিবীতে স্থায়ী সুখী কে? কে চির শান্তির অনুভব করেন? যদি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি পেলে সুখি হবেন? হয় তাে বলবে অর্থ, ধন সম্পদ, কিন্তু দেখা গেছে এই গুলিও মানুষকে সুখি করতে পারছে না আবার অনেকে বলে যদি আধ্যাত্মিক চিন্তাশিল হতে পারেন, ভগবানের প্রতি আত্ম সমর্পন হতে পারেন, তাহলেও সুখি হতে পারবেন কিন্তু দেখা গেছে যখন মন্দিরে যায় আর আর ভগবানকে স্মরন করতে বসি তখন ভগবানে মন লাগছে না, ৫মিনিট,১০ মিনিট বসেই মন চঞ্চল হয়ে পরে, মনে কোন শান্তি অনুভব হয় না প্রত্যেকের একই প্রশ্ন শান্তি কোথায় পাব? তবে মনােবিজ্ঞানীদের মতে আপনি যদি খুশিতে থাকতে চান, তাহলে আপনার অতিতের চিন্তা ভাবনাকে ছাড়তে হবে, এমনকি ছাড়তে হবে ভবিষ্যতকেও , বর্তমানে থাকার চেষ্টা করতে হবে, আর এই বতর্মানকে স্বিকার করার জন্য আজ যা হচ্ছে তাকে খুশি খুশি স্বিকার করুন অনেকের হয়তাে বতর্মানে থাকা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না, আমি এক গল্পের মাধ্যমে এই বিষয়টি আলােচনা করছি, রাজা আকবর তিনি অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিল না,কিন্তু তার এতটা জানা ছিল যে তার কাছে অনেক বুদ্ধিমান পরামর্শক রয়েছে, এডভাইজার আছে, কে ছিল সে ? বিরবল।
হয়েছে এমন একদিন সকালে রাজা উঠলেন, হালকা ঘুম ঘুম ভাবে আর নিজের যে জুতা গুলি আছে তা পরতে চাইছে, আর পরতে গিয়ে হতাৎ পরে যায় যখন পরে যায় তখন উনার কুনিতে সম্পূর্ন ভর পওে, হালকা ছুলে যায় ব্যথা পায়, রক্ত পরতে শুরু করে আর সে ব্যথাতে চিৎকার করতে থাকে অনেক লােক দৌড়ে আসে, বিরবলও সেখানে আসে বিরবলের নলেজের মাধ্যমে যা যা ট্রিটম্যন্ট করার তা তাে করেছে আর এর মাঝেই রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা বিরবল আমার সাথে এমন কেন হল? আমিতাে কোন ব্যক্তির খারাপ চিন্তা করে নি, খারাপ ভাবে নি তাহলে আমার সাথে এমন কেন হল? বিরবল বলল রাজা এতটা লম্বা চিন্তা করবেন না, যা হয় ভালর জন্যই হয় রাজা সঙ্গে সঙ্গে রাগ হয়ে যায়, আমার ব্যথা হচ্ছে, যন্ত্রনা হচ্ছে, রক্ত বের হচ্ছে, আর তুমি বলছ আমার সাথে ভাল হয়েছে, বিরবল বুঝানাের আগেই রাজা
এতটাই রাগ হয়ে যায় নিজের সিপাহীদের ডাকেন আর বলেন তাকে এক সাপ্তাহের জন্য বন্ধি করে দাও জেলে ঢুকিয়ে দাও, তখন তার বুদ্ধি ঠিক জায়গাতে আসবে, তখন তাকে বন্ধ করে দিয়েছে রাজা দুই তিন দিন নিজের রুমে একা থাকেন, কারন তিনি চাইছেন যাতে তারা তারি ভাল হতে পারেন আর এই জন্য বাইরে যেতে চান নি চতুর্থ দিন যদিও ব্যান্ডেজ তখনও ছিল তার পর ও সে ঘােড়া নিয়ে চলতে শুরু করেন এই চিন্তা করে আমি একটু খুলা আকাশে যেতে চাইছে যখন সে ঘুড়াতে বসে বেড় হলেন তখন এক হরিণের উপর তার চোখ পরে, আর সেই হরিণের পেছনে দৌড়াতে থাকে, আকবরের লক্ষ্যই নেই উনি কখন উনার রাজ্যের যে লিমিট মানে এড়িয়া ছিল ক্রস করে দিয়েছে। আর হয়েছে এমন এক সময় আসল যখন কিছু আদিবাসী লােক তাকে ধরে ফেলল, যখন ধরে ফেলল তিনি অনেক কিছু বুঝানাের চেষ্টা করেছেন যে আমি রাজা এই সেই ,কিন্তু কেউ শুনতেই চাইছে না, বুঝতেই। চাইছে না, উনাকে ধরে ফেলেছে আর বলছে আমরা এখন তাকে বলি দিব, আর আমাদের ভগবানকে খুশি করব
হয়েছে এমন যখন উনাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন উনার হাতের যে কাপড় ছিল তা ছিড়ে গেছে আর যে বেন্ডেজ ছিল চোখে পরল, আর দেখতে পায় সেখানে রক্ত লাগানাে ছিল আর ফেকচার হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি আর যখন সবাই দেখলেন যে সে পাফেক্ট না তখন তারা বলল আরে আমরাতাে তাকে বলি দিতে পারব না, সে পাফেক্ট না, তাকে যদি বলি দেই তাহলেতাে তা অন্যায় হয়ে যাবে, ভূল হয়ে যাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় , রাজা আবার তার ঘুড়ার উপর বসে যেকোন ভাবে রাজ মহলের কাছে পৌছে যায় এক লম্বা শ্বাস নেয়, আর আচানক তার চোখ তার হাতের উপর পরে আর মনে পরে যায়, হা এই যে আমি ব্যথা পেয়েছি আমার বেন্ডেজটি এইটির জন্যই আমি বেচে গেছি
তখন বিরবলের কথা মনে পরে হা বিরবল বলেছিল যা হয়েছে ভালই হয়েছে, তখন সঙ্গে সঙ্গে সে দৌড়ে সে জেলের কাছে যায় যেখানে বিরলকে বেঁধে রেখে ছিল, গিয়ে তাকে মুক্ত করে দেয়, এর পর আকবর বলছে বিরবল এখন আমি বুঝতে পেরেছি তুমি যা বলেছ তা কতটা সঠিক ছিল, আর সম্পূর্ন ঘটনা খুলে বলল এই। ভাবে আমাকে ধরেছিল, আর আমাকে ছেড়ে দিয়েছে আমার হাত দেখে ইত্যাদি ইত্যাদি। তুমি সঠিক বলেছ বিরবল বলছেন রাজা একদম সঠিক যা হয় ভালর জন্যই হয়, রাজা বলল ঠিক আছে আমার সাথে যা হয়েছে তা ঠিক আছে কিন্তু আমি তাে তােমার সাথে খারাপ করেছি, তােমাকে চার পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে রেখেছি, খাবার দাবার দেইনি তােমার সাথে তাে খারাপ হয়েছে, বিরবল বলল না
রাজা তেমন কিছুই হয় নি, আমারও লাভ হয়েছে রাজা বলল তা কিভাবে? তখন বিরবল বলল আমি তাে সব সময় আপনি যেখানেই জান আপনার সাথেই যাই, আর আপনি যখন সেই হরিনের পেছনে পেছনে ছুটছেন আমিও তাে আপনার সাথেই থাকতাম, আর যখন সেই লােক গুলি আপনাকে ধরেছে আপনাকে ছেড়ে দিয়েছে কারন আপনার হাতে ব্যথা লেগেছে, তাদের জন্য আপনি পাফেক্ট ছিলেন না, আমি তাে পাফেক্ট আছি, আমারতাে কোথাও লাগে নি, আপনাকে ছেড়ে আমাকে বলি দিত, বন্ধুগন জীবনে যাই কিছু হয় ভালর জন্যই হয়, সব কিছুতেই সম্পূর্নর্তা রয়েছে আর আপনি যখন এই সম্পূর্নতার মধ্যে বাঁচতে পারবেন, যখন আমরা তাকে স্বিকার করতে পারব, তখন আমরা এটা বুঝতে পারব যে এই দুনিয়াতে যাই কিছু হবে তার পেছনেও ঈশ্বরের নেক্সট প্লেন রয়েছে, আর এই বিষয়টি যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলেই আপনি দেখবেন জীবন কতটা সুন্দর হয়ে যাবে,
No comments:
Post a Comment