OVER THINKING কমানোর 5টি সহজ উপায় | BY BK CHANDAN | CHANDAN NEW WORLD


 


চিন্তা করা ভাল, কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করা খারাপ, আর এই অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনার সমস্যা অনেক সময় ধরেই হয়ত আপনারা ভােগ করে আসচ্ছেন, প্রত্যেক খারাপ অভ্যাসকে ছাড়তে একটু সময় লাগে এমনকি অনেক প্রেক্টিস ও তার জন্য প্রয়ােজন হয় আজ ৫টি প্রেক্টিস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই, যেই প্রেক্টিস গুলি করলে আপনি এই ধরনের অভার থিঙ্কিং থেকে বাঁচতে পারবেন,

১.অভ্যাসে মনােযােগ :-চিন্তা তাে সবাইর হয়, আর চিন্তা তাে হবেই কিন্তু যখন সেই চিন্তা আপনার মানসিক শান্তিকে নষ্ট করে তখন তাকে অভার থিঙ্কিং বলে, সুতরাং আপনি যখন অনুভব করতে পারবেন সাধারন চিন্তা থেকে অভার থিঙ্কিং এ চলে যাচ্ছেন আর তখনই সেই ধ্যানকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন, কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে তা কি ভাবে সম্ভব?

বন্ধুগন তা সম্ভব হতে পারে আপনার আলাদা আলাদা অভ্যাসের দ্বারা, আর তা হতে পারে হয়তাে আপনার পরিবারের সাথে সময় ব্যায় করে বা বন্ধুদের সাথে ঘুরা ফেরা করে বা আপনি যদি গান শুনতে ভালবাসেন তাহলে আপনার পছন্দের গান শুনে, এতে কি হবে আপনার ধ্যান অন্য কোন জায়গাতে থাকবে তখন অভার থিঙ্কিং এর সমস্যা আপনার মনে আসবে না, এই জন্য চেষ্টা করুন। যখনই অভার থিঙ্কিং হওয়া শুরু হবে তখন নিজের মনকে অন্য বিষয়ে আকর্ষন করার।

2. মেডিটেশান:- আমরা এই দুনিয়ার প্রত্যেকটি বিষয়কে কন্ট্রোল করতে চাই কিন্তু আমরা ভুলে যায় যে যদি নিজের মনকে কন্ট্রোল করতে না পারি তাহলে দুনিয়ার সব কিছু পেয়েও না পাওয়ার মতই হয়ে যাবে, আর যদি মনকে কন্ট্রোল করতে হয় তাহলে মেডিটেশানের মত এত ভাল প্রেক্টিস আর কিছুই নেই, এটিকে আপনি যােগা হিসাবেও করতে পারেন বা প্রক্রিতির সাথে সময় ব্যায় করেও করতে পারেন এমনকি একাগ্রতার সাথে ঈশ্বরকে স্মরন করার মাধ্যমে ও করতে পারেন এই সব কিছুই মেডিটেশানেরই মধ্যে আসে, আর ইহাই আপনার মনকে কন্ট্রোল করার সর্বোত্তম প্রেক্টিস।

3.স্বিকার করা:-স্বিকার করা = শান্তি অনােভব করা, বন্ধুগন আপনার অতিতকে স্বিকার করুন, অনেকবার আমরা নিজের ভুলকে স্বিকার করতে চাই না, আমরা অতিতকে স্বিকার করতে চাই না, তাই আমরা এগিয়ে যেতে পারি না, আর যখনই নিজের সাথে হওয়া প্রত্যেকটি ঘটনাকে স্বিকার করে নিতে পারবেন তখনই অভার থিঙ্কিং থেকে রক্ষা পাবেন।

4.ব্যস্ত থাকা:-নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, কারন আমরা সবাই হয়তাে আমাদের পিতামাতা থেকে বা আমাদের বয়জেষ্ঠদের থেকে অনেক শুনেছি অলস। মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, যখন আমরা কাজ ছাড়া বসে থাকি তখন। আমাদের মনে উলটা পাল্টা চিন্তা চলে আসে, যা ধিরে ধিরে অভার থিঙ্কিং এর দিকে নিয়ে যায়, তাই চেষ্টা করুন হয়তাে আপনার অভ্যাসের দ্বারাই হউক বা কোন কাজের দ্বারাই হউক বা বই পড়ার দ্বারাই হউক পরিবারের সাথে সময় ব্যায় করেই হউক বা নিজের কাজে ব্যস্ত থেকেই হউক যে কোন ভাবে নিজের মনকে ব্যস্ত রাখা যাতে মন কোন খারাপ দিকে না যায়।

5 লেখার অভ্যাস করা:- আমার জানা নেই আপনারা শুনেছেন কি না লেখা এক ভাল অভ্যাস নিজের মনকে ভাল রাখার জন্য, নিজের ইমােশানকে কন্ট্রোল করার জন্য, কারন আমরা প্রত্যেকবার মানুষ পায়না যাকে আমাদের মনের কথা বলতে পারি, আর হয়তাে প্রত্যেকবার প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের মনের কথা বলাও ঠিক না, তাহলে কি করব? কোথাও না কোথাও তাে বলতে হবে তার থেকে ভাল লেখা শুরু কর, যে কথা গুলি আপনার ভাল না লাগবে সেই কথা গুলিও লিখে রাখুন যে সব খারাপ অভ্যাস আছে তাও লিখুন যে গুলি আপনার গ্রোথকে বাধা দিচ্ছে তাও লিখুন যেই সব চিন্তা গুলি আপনার মানসিক শান্তিকে খারাপ করছে তাও লিখুন আবার যেই গুলি ভাল বিষয় যেই গুলি আপনার ভবিষ্যতের জন্য চাইছেন তাও লিখুন, আপনি যাই কিছু শেয়ার করতে চাইছেন তাও লিখে তার পর শেয়ার করুন,

ধিরে ধিরে আপনি দেখবেন আপনার ইমােশানকে আপনি হ্যান্ডেল করতে পারবেন আপনার মাইন্ডকে আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন আর সিদ্ধান্ত খুব ভাল ভাবে নিতে পারবেন সুতরাং চেষ্টা করুন এই ৫টি বিষয়কে আপনার জীবনে প্রেক্টিস করতে পারেন আর আপনি দেখবেন কত তারা তারি যে ওভার থিঙ্কিং এর সমস্যা রয়েছে তা কমতে শুরু করেছে।


1 comment: