System of health management || Nutrition food for health || Health service


 সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন!

বর্তমান শতাব্দিতে আমাদের কাছে স্বাস্থ্য সত্যিই এক বড় সমস্যা!সঠীক সমাধান না পাওয়ায়। আমরা শুধু ভােগছি আর ভােগছি! সকলের কথা চিন্তা করে শার্পওয়ার্কের হ্যাঁ শাপওয়ার্কের মাধ্যমে কিভাবে আমরা হেলডি হতে পারি । তারই আলােচনা!নতুন মাত্রায় নতুন সমাধান! অর্থাৎ স্বাস্থ্য সমাধানের এক সুন্দর ভিডিও আজকে পরিবেশিত হতে যাচ্ছে! আশাকরি এই ভিডিও আপনাদের অনেক ইনস্পিরেশান যােগাবে এবং উপকৃত হবেন! অনুরােধ থাকবে ভিডিও কে স্কিপ না করে শেষ পর্যন্ত দেখবেন! আজ বেশিরভাগ মানুষকেই অনুসূচনা করতে দেখা যায়! হে ভগবান আমারতাে টাকা পয়সা ধন সম্পদ কোন কিছুরই অভাব রাখনি! কিন্তু আমি সেগুলাে ভােগ করতে পারছি না কেন?

যখন আমার ভাগ্যে খাবার ছিল না তখন খাবারের সন্ধানে ঘুরতাম!আর এখন খাবারের অভাব নেই কিন্তু খেতে পারছিনা!হায়রে দুর্ভাগা জীবন! হয়তাে সেই খাবারকে আপনার শরীর এলাও করছে না বা ডাক্তারের পরামর্শকে মানতে গিয়ে আজ সেই ইচ্ছা মতাে খাবার খেতে পারছেন না।

কিন্তু এমন ভাগ্যবান লােকও তাে দেখা যায় যাদের খাবারের সঙ্গে বয়সের কোন ফেক্টার নেই, ৬০ বা ৭০ বৎসরের ব্যক্তির চলা ফেরা দেখে মনে হয় ৪০ বা ৪৫ বৎসরের মত! হেলথ কেয়ারের জন্য ডাক্তারের উপর নির্ভর করতে হয় না মেন্টাল হেলথ প্রবলেমের জন্য আমরা ভগবানকে দোষ দিচ্ছি! এমনটা কেন? তাহলে কি ভগবান আমাদের তৈরী করার সময় পার্শিয়ালীটি করেছেন? প্রত্যেক মানুষই তাে উনারই সৃষ্টি তাহলে একজনের দেহকে সুন্দর সুস্থ ও রােগ মুক্ত রেখেছেন! আর অন্যজনকে? রােগে জড়াগ্রস্থ করে রেখেছেন! এ কেমন ধরনের বিচার? বন্ধুগন নিজের অজানা ভুলকে নিজে খােজে বের না করে ভগবানকে দোষ দেওয়ার কি মানে আছে বলুনতাে? ভগবান তাে প্রত্যেকে ব্যক্তিকে নিজের বেষ্ট দিয়ে তৈরি করেছেন!

বাইবেলের জেনিসাস চাপ্টার টুতে আছে যে GOD CREATES HIS CREATURES ON HIS OWN IMAGE. যাতে উনার তৈরী প্রােডাক্ট ১০০ বৎসরের পূর্বে এক্সপেয়ার না হয়! কিন্তু দুর্ভাগ্যতাে আমাদের কারন আমাদের এই হেলথকে আমরা ম্যানেইজ করতেই পারছি না! আমরা টাকার পেছনে দৌড়াছি, হার্ডওয়ার্ক ও করছি, দেহকে যত সম্ভব ইউজ ও করছি কিন্তু সেই দেহকে সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সার্ভিস করছি না!! এটাই তাে প্রবলেম!

কোম্পানী থেকে যখন একটি গাড়ি ডেলীভারি করে তখন তারও এক সার্ভিস টাইম সেট করা থাকে কোম্পনী থেকে কার ডেলিভারি। সার্ভিসের বিষয়ে বলা হয়, আপনি যত দামী গড়িই কিনুন না কেন,হয়তাে বি.এম.ডাব্লিউ হউক না কেন, আপনাকে কার সার্ভিস করতে! কিন্তু আমরা যদি সঠিক সময়ে গাড়িটি সার্ভিস না করি বা পেট্রোলের পরিবর্তে কেরসিন তেল ঢুকিয়ে চালাতে চাই তাহলে কি ইঞ্জিন সঠিক ভাবে কাজ করবে? আমি বুঝাতে চাইছি গাড়িকে যেমন সঠিক সময়ে সার্ভিস করার প্রয়ােজন তেমনি ঈশ্বরের দেওয়া আমাদের এই শরীর রুপী গাড়িকে ও শুধু হার্ডওয়ার্ক করালেই হবে না তাকে সাভিসিং বা শার্প ওয়াকও করা প্রয়ােজন!তা নাহলে শরীর রুপী গাড়ী বেশিদিন চলবে না।

আসুন আমরা এখন আলােচনা করি শার্পওয়ার্ক কি? এই প্রসঙ্গে একটি ছােট্ট গল্প এই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই!

একবার এক যুবক কাজের খােজে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছােটে বেড়াচ্ছে কিন্তু সে কোথাও কোন কাজ পাচ্ছে না! আর সে এক লাকড়ির মিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছে আর দাড়িয়ে ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে! আর এই মুহূর্তে এই টিম্বারের ম্যানেজার তাকে দেখেন আর বলেন যে ভাই তুমি এখানে কি করছ? তখন যুবক বলেন স্যার আমি কাজের খােজে বেড়িয়েছি! এখানে কি কোন কাজ পাওয়া যাবে? তখন ম্যনেজার বলেন হ্যাঁ পাবে! অবশ্যই পাবে!

তবে তুমি কি লাকড়ি কাটতে জান? পারবে লাকড়ি কাটতে? যুবক বলেন অবশ্যই! আমি যে কোন কাজ করতেই রাজি! তখন ম্যানেজার এক নতুন কুড়াল দিয়ে বলেন তুমি আজ এখানে থাক!কাল থেকেই কাজে লেগে পর! সে দ্বিতীয় দিন সকালে কুড়ােল নিয়ে গাছ কাটতে শুরু করে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭টি বড় বড় গাছ কেটে ফেলল!

পর দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টি গাছ কাটতে পারলাে,তৃতিয় দিন ৫টি কাটতে পারলে! চতুর্থ দিন ৪টি এই ভাবে ডাওনের দিকে চলল!

আট দিনের মাথায় যখন ম্যনেজার সেই কাঠুরিয়ার পাস দিয়ে যাচ্ছেন তখন উনি দেখতে পান যে সে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিশ্রম। করে যাচ্ছে! কিন্তু সে আজ একটি ও গাছ কাটতে পারল না! তখন ম্যানেজার তাকে প্রশ্ন করেন এমন কি হল তােমার দিন দিন রেজাল্ট খারাপই হচ্ছে? কি ব্যাপার? তখন যুবক বলে স্যার আমিও তাে বুঝতে পারছিনা? এমন কেন হচ্ছে? আমিতাে আগের মতােই পরিশ্রম করছি! তখন ম্যানেজার যুবককে প্রশ্ন করেন আচ্ছা বলতাে তুমি কি এই আটদিনের মধ্যে এই কুড়ােলকে ধার দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছ? যুবক বলল না স্যার! আমি কাজে এতই ব্যস্ত ছিলাম যে কুড়ােল ধার দেওয়ার সময়ই পাইনি! তখন ম্যানেজার যুবককে বলেন মনে রাখবে জীবনে হার্ডওয়ার্ক করাতাে প্রয়ােজন তবে শার্পওয়ার্ক করাও প্রয়ােজন!ধার দেওয়া প্রয়ােজন!

বন্ধুগন! আমার প্রশ্ন আপনাদের প্রতি আপনারা কি হার্ডওয়ার্ক করছেন না কি শার্পওয়ার্কও করছেন? | আপনারা হয়তাে বলবেন যে আমাদের কাছেতাে কোন কুড়ােল নেই? তাহলে আমরা কিভাবে শার্পওয়ার্ক করবাে?আর আমিতাে লাকড়িও কাটিনা তাহলে আমার কুড়ােলের ধারের প্রয়ােজনই বা কি ? হ্যা আমি জানি আপনারা হয়তাে গাছ কাটেন না বা কুড়ােল আপনাদের কাছে নেই! কিন্তু বন্ধুগন ভগবান কিন্তু আমাদেরকে দুটি কুড়ােল দিয়ে পাঠিয়েছেন! যার দ্বারা আমরা আমাদের জীবনকে এগিয়ে নিতে পারি! এক হল আমাদের শরীর আর দ্বিতীয়টি হল আমাদের মন! আমরা শরীরকে তাে সর্বক্ষেত্রেই ব্যবহার করি, কিন্তু আমরা কি সেই শরীরকে ধার দিচ্ছি? ভগবান আমাদের শরীর রুপী যে কুড়ােল দিয়েছেন তা হয়তাে ১০০ বৎসরের জন্য দিয়েছেন! কিন্তু আমরা সেই কুড়ােলকে

শার্পওয়ার্ক না করে তা এক্সপেয়ার করে দিচ্ছি মাত্র ৫০ আর ৬০ বৎসরের মধ্যে! যদি দীর্ঘ জীবি হতে চান তাহলে এই শরীর রুপী কুড়ােল যা ভগবান আমাদেরকে দিয়েছেন তাকে ও ধার দেওয়া প্রয়ােজন! | তবে আসল কথা হল এই শরীর নামে যে কুড়ােল তার ধার কিভাবে দেওয়া যায়? বন্ধুগন তার জন্য কোন। মেশিনের প্রয়ােজন হবে না,তার জন্য আমাদের হােম হেলথ কেয়ারই যথেষ্ট,যাকে আপনি ফেমিলি হেলথ সেন্টারও বলতে পারেন।
আর তা হল
১) নিউট্রিশানের উপর!
২)এক্সারসাইজ বা ফিজিকেল এক্টিভিটি
৩)এনাফ রেষ্ট!

নিউট্রিশান মানে হেলডি ফুড অর্থাৎ হেলডি ফুড, এমন খাবার যার থেকে ভাল পুষ্টি পাওয়া যায়। আমরা খাই | তাে ঠিক আছে তবে প্রশ্ন হল আসলে আমরা খাওয়ার সময় কি খাচ্ছি? এ হল সব থেকে বড় প্রশ্ন! আমরা বেশির ভাগ সময় জিহ্বার টেস্টের জন্য ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের উপর বেশী ধ্যান দিচ্ছি! তা আমাদের শরীরের ভালই হােক আর খারাপ তার উপর কোন লক্ষ্য দিচ্ছি না,কিন্তু বন্ধুগন হেলথ ফাস্ট | তাে অল ফাস্ট!

আর আমরা ঘরের খাবার তাে খাই তবে বেশীর ভাগই দেখা যায় অনেকে খুব বেশি দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলি! আবার দেখা যায় অনেকে খাবার খাওয়ার সময় তার খাবারের প্রতি ধ্যানই থাকে না আর খেতেই থাকে খেতেই থাকে.... এত খাবার কেন খাচ্ছেন! নিজেকে একবার জিজ্ঞাসা করুন? আমাদের শরীরকে ২৪ ঘন্টা চালানাের জন্য ২৪টি গ্রাসই যথেষ্ট! কিন্তু আমরা সারা দিনে ২৪০ গ্রাস খাবার মুখে দিই!

আর আমরা যত খাবার বেশি খাই তা আমাদের পেটের জন্য নয় তা আমরা খাই টেষ্টের জন্য! আর সব থেকে গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হল আপনি যখন খাবার খাবেন তখন ভালভাবে চিবিয়ে খাবেন। আমরা তা করি

আসলে আপনি যখন ভাল ভাবে চিবিয়ে খাবেন তখন তার দুই দিকেই লাভ ১ম ডাইজেশান খুভ ভাল হবে, আর দ্বিতীয়ত আপনার তৃপ্তি ও হবে খুব তারা তারি। আর এই ভাবে যদি আপনি চান তাহলে কিছু খাবার কম খেয়ে ও অধিক শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন! আর একটি ইম্পর্টেন্ট বিষয় হল আমাদের কোন বেলা কতটা খাবার খেতে হবে তার কোন সিস্টেমই জানা নেই!

বৈজ্ঞানিক সিস্টেম অনুসারে সকালে যে খাবার খাবেন তা হল ব্রেইন ফুড! তার পরিমান কম যেন না হয়! দ্বিপ্রহরের খাবার হবে মিডিয়াম!আর রাত্রিতে খুব কম!কিন্তু আমরা কি করি সম্পূর্ন উল্টো! আরেকটি বিষয় ডাক্তারের পরামর্শ হলাে যারা ওভার ওয়েট তারা ১১ টা বা ১২ টা পর্যন্ত কিছু না খেলেই ভাল! নিউট্রিশানের পর আমাদের দেহকে সুস্থ রাখার জন্য এক্সারসাইজ করাও অনেক প্রয়ােজন! প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে কোন অঙ্গকে ব্যবহার না করলে তাকে অকেজো হয়ে যায়!

যাকে বলা হয় ইউজ ইট অর লােজ ইট! | উদাহরন আপনার ভেঙ্গে যাওয়া হাতকে ১মাস ধরে যদি প্লাস্টার করে রাখেন আর ১ মাস পরে যদি সেই হাতকে খুলে কিছু কাজ করতে যান তাহলে বুঝতে পারবেন সেই হাত দিয়ে আর আগের মতাে কাজ করতে পারছে না!

কিছুদিন কাজ করতে করতে হয়তাে ফিজিওথেরাপিষ্টের পরামর্শে তাকে আবার পূর্বের জায়গাতে নিতে পারবেন! ঠিক তেননি যদি রােজ এক্সারসাইজ করেন তাহলে অব্যবহার্য্য হাত পা মাসলসকে পুনরায় অ্যাক্টিভ করতে পারবেন!

আপনি হয়তাে এক্সারসাইজ করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না! কোন অসুবিধা নেই ফিজিকেল এক্টিভিটির জন্য! বাড়িতেই করুন! এক্সারসাইজ অনেক ধরনের হয়! নর্মাল ও হতে পারে! হাঁটাই হউক,জগিংই হউক,সাইক্লিং হউক আর দৌড়ানােই হউক যে কোন ভাবে হলেই চলবে!ঘাম ঝড়াতেই হবে! যখন হাঁটা শুরু করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন হাঁটার পরিমান দিন প্রতি দিন ১০০ মিটার বা ২০০ মিটার করে বাড়াতে হবে!

তাছাড়া যদি পারেন যােগ বা মেডিটেশন ও করতে পারেন, আসন করতে পারেন, বা জিমে ও যেতে পারেন ডান্স করতে পারেন! এরােবিক এক্সারসাইজ(গানের তালে তালে) ও করতে পারেন!অথাৎ আপনার দেহকে এমন ভাবে তৈরী রাখুন যাতে জীবনের সব পরিস্থিতিতে সৰ্ব্ব ক্ষেত্রে আপনি আপনার দেহকে যাতে সুস্থ সবল রাখতে পারেন!নিউট্রিসিয়ান ফুড,এবং এক্সার সাইজের পর তৃতীয় হল

Enough Rest.আমাদের শরীরকেও আরাম দেওয়ার প্রয়ােজন!

রেস্ট করার অনেক প্রয়ােজন কারন খুব বেশী কাজ করলেন আর শরীরকে রেস্ট দিলেন না তাহলে আপনার শরীরের কর্ম করার শক্তিও হারিয়ে ফেলবেন! বন্ধুগন যখন আপনার শরীর আপনার সঙ্গে ১০০ % সহায়তা করবে তখন দেখবেন আপনার জীবনে কাজ করার মজাই আলাদা!

আপনার ঘর ই হউক বা অফিস ই হউক সর্ব ক্ষেত্রেই আপনি অনুভব করতে পারবেন!আর যখন আপনার দেহ হেলদি ও সুন্দর হয়ে যাবে তখন দেখবেন আপনার মধ্যে এক কনফিডেন্স আসবে! আশা করি হেলথ মেনেজম্যান্ট করার এই ভিডিও আপনাদের অনেক কাজে আসবে! অনুগ্রহ করে ভিডিওটিকে লাইক, শেয়ার,কমেন্ট করবেন! | শীঘ্রই নতুন ভিডিও নিয়ে আসবাে, ভাল থাকবেন ,

ধন্যবাদ!


No comments:

Post a Comment