Only 3 Tips Of Success


জীবনে সফলতা কে না চায় বলুনতাে? সবাই কি উত্তর দিবেন? উত্তর হলাে আমরা সকলেই চাই! সকলেই চাই! তাইনা? বিশেষজ্ঞের মতে সফলতা পেতে হলে বিশেষ দুটি জিনিস বিশেষ প্রযােজন তা হলাে জোস আর হুশ- তাহলেই সফলতা পাওয়া যাবে তা একেবারে ১০০% গ্যারান্টি! আজকের প্রােগ্রামে এই বিষয় নিয়েই আপনাদের শাথে শেয়ার করব!

আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি এত দিন পর্যন্ত আপনারা যে প্রােগ্রাম দেখে আসছেন তার থেকে এই প্রােগ্রামটি সম্পূর্ন আলাদা,এই প্রােগ্রাম থেকে আপনারা সফলতার ৩টি নতুন সিক্রেট বিষয় জানতে পারবেন! অনুরােধ থাকবে ভিডিও ছেড়ে কোথাও যাবেন না! শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন!

বন্ধুগন জীবনে আপনারা সবাই পরিশ্রমতাে করেন কিন্তু আমি জানতে চাইছি আপনারা পরিশ্রম কেন করেন? বলুন তাে তার সহজ উত্তর? আমি যখনই মানুষকে জিজ্ঞাসা করি তখন কেউ বলে পয়সা কামানাের জন্য! কেউ বলে জীবনে আরও উপরে উঠার জন্য! সকলের উত্তর গড় করে দেখা গেছে যে তিনটি বিষয় সকলেরই কমন তা হলাে

১)আমরা সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রম করি

২) সুখী হওয়ার জন্য পরিশ্রম করি

৩) আর মনের শান্তির জন্য পরিশ্রম করি! আপনারা ও তাে তাই চাইছেন? তাইনা?

যদি আমরা এই তিনটি জিনিস পেয়ে যাই তাহলে আমার মনে হয় চার নাম্বার এমন কোন বিষয় নেই যার জন্য আমাদের পরিশ্রম করতে হবে!কিন্তু প্রশ্ন আসে জীবনে শুধু পরিশ্রম করেই কি এই গুলি এচিভ করা যায়? এই দুনিয়াতে ৭.৫ কোটির উপরে লােক আছে যারা ৩টি বিসয় এচিভ করার জন্য পরিশ্রম তাে করে কিন্তু এচিভ করতে পারে না! কিন্তু কেন?কারন এগুলাে পাওয়ার জন্য আমরা সবাই হার্ড ওয়ার্ক করছি কিন্তু হার্ড ওয়ার্কের সাথে সাথে আমাদের স্মার্ট ওয়ার্ক করা ও প্রয়ােজন!

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে স্মার্ট ওয়ার্কের মানে কি? যারা স্মার্ট ভাবে কাজ করেন তাকেই কি স্মার্ট ওয়ার্ক বলে? না! স্মার্টওয়ার্কের সাধারন মানে হলে সঠিক মেথড়ে কাজ করা, সঠিক সিস্টেমে কাজ করা!সঠীক লক্ষ্যে কাজ করা!বন্ধুগন আমি আগেই বলেছি যে জ্যোস আর হােস দুটিকে ব্যালেন্সে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে! তাই আজকের প্রােগ্রামটি খুব গুরুত্ব পূর্ন! তাছাড়া প্রায় সময় দেখা যায় মানুষ মােটিভেশনাল প্রােগ্রাম তাে দেখে মােটিভেট ও হয়, জ্যোস ও তৈরি করে কিন্তু দেখা যায় ২ ঘন্টা পরেই তা চুপসে যাওয়া বেলুনের হাওয়া বেড়িয়ে যাওয়ার মতাে হয়ে যায়! তা কেন হয়? তাই আজকের প্রােগ্রামে মাটিভেশানের সাথে সাথে সাকসেসের কিছু সিস্টেম বা টেকনিকের বিষয়ে ও আলােচনা করতে চাই! আজ এমন কিছু নলেজ ও সিক্রেট বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করবাে যা আপনাদেরকে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে! ৩টি সিক্রেট বিষয় হলাে

১) লম্বা চিন্তা করা

২) সফলতার জন্য স্বপ্ন দেখা!

৩) সময়ের মূল্য দেওয়া!

লম্বা চিন্তা করার অর্থ হলাে:- এই দুনিয়ার যত লােক আছে তাদের জীবন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু আলােচনা করলেই আজকের বিষয় বস্তু স্পষ্ট হয়ে যাবে! তাদেরকে সাধারনত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়!

১)অনেক গরীব

২)গরীব

৩)মিডেল ক্লাস

৪) ধনী

৫) অনেক ধনী যাকে আমরা মিলিনিয়ার বা বিলিনিয়ার বলে জানি!

যে অনেক গরীব তার জীবন কেমন হতে পারে? যেমন রাস্তার ভিখারি! সে সকালে ঘুম থেকে উঠে সে কতটা লম্বা চিন্তা করতে পারে? হয়তাে আজ বিকাল পর্যন্ত। তাইনা? আজ সারা দিনে যদি ১০ টাকা বা ২০ টাকা পেয়ে যাই তাহলে আমার খাবারের সমস্যা হবে না! আমি খুশি বা সুখী!

গরীবের ক্যাটাগরীতে কারা আসে? শ্রমিক! তারা কতটা চিন্তা করতে পারে? এক দিন, দুই দিন বা এক সাপ্তাহ! সাধারন ভাবে যদি শ্রমীকদের দেখি তাহলে দেখা যায় তাদেরকে একদিন বা দুই দিন বা এক সাপ্তাহের হিসাবে বেতন দেওয়া হয়!

আর যারা মিডেল ক্লাস তারা কতটা সময়ের প্রেনিং করতে পারে? বড় জোড় এক মাস! তারা একমাসের প্লেনিং নিয়ে চলে, তাদের ইচ্ছা, চাহিদা এবং কিছু করে দেখানাে তা কেবল একমাসের মধ্যেই সিমাবদ্ধ ! আর দেখা গেছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তি সেলারী এমপ্লই! এক মাস কাজ করবে আর মাসের শেষে মাইনে পাবে, যা দিয়ে নেক্সট মাসের ইচ্ছা পূর্ন করবে!

কিন্তু যারা ধনী ব্যক্তি তারা কতটা সময়ের প্লেনিং করে বলতে পারে? আপনার কি মনে হয় ১ মাসের জন্যই প্লেন করবে? কোটিপতি বিজনেসম্যানকে যদি দেখেন তারা সাধারনত এক বৎসর বা ২ বৎসর প্লেনিং করে চলে। আর তাদের কাজ কেমন হয় জানেন? তারা অন্য কোন বিজনেস ম্যান ব্যক্তির সঙ্গে যে কোন প্লেন ১ বা. ২বৎসরের জন্য করে, টার্গেট থাকে ২ বৎসরের মধ্যে এই প্লেনকে শেষ করবেই!

আর যারা মিলিনিয়ার বা বিলিনিয়ার তাদের চিন্তা ভাবনাতাে ৫ বা ১০ বৎসরের প্লেনের কম হবেই না! তারা হলেন আম্বানী, টাটা, বিড়লা মিত্তাল ইত্যাদি! তাদের যে কোন প্রজেক্ট ৫ বৎসরের নিচে কোন সময় দেখেছেন? কখনােই না! আর যখন এই সব লােক প্রজেক্ট শুরু করেন তখন আমাদের মনে হয় আরে এই প্রজেক্ট কখন শেষ করবে? আমরা অবাক হয়ে যাই! সঠীক সময়ে তারা প্রজেক্ট শেষ ও করে ফেলে! বন্ধুগন শুধু এতটুকুই পার্থক্য অর্থাৎ তারা অনেক বেশী লম্বা চিন্তা করতে পারে। যা অন্যরা পারেনা! এই জন্যই তারা বেশি কামাই করতে পারে! সাকসেস হতে পারে!

আমরা যদি এতটা লম্বা চিন্তা করতে পারি তাহলে আমরা ও এতটা কামাই করতে পারব!

কিন্তু সমস্যা কোথায় জানেন? গােল সেট করে নিলাম, কাজ শুরু করলাম! আর এক সপ্তাহের মধ্যেই রেজাল্ট না পেলে, সবকিছুতে ব্রেকাপ হয়ে যায়! বন্ধুগন আপনাদের লং টাইম চিন্তা করতে হবে। আপনি ১মাস ৬মাস ১ বৎসরের জন্য গােল সেট করেছেন তার কোন মানে নেই! আপনি এখন থেকেই ১০ বৎসরের গােল সেট করুন! সুতরাং প্রমানে দেখা গেল যে যত লম্বা চিন্তা করতে পারে লম্বা প্লেনিং করতে পারে সে তত বেশি কামাই করতে পারে, বন্ধুগন এটাই হল প্রথম সিক্রেট !

এখন দ্বিতীয় সিক্রেটটি কি জানেন? স্বপ্ন দেখলেই স্বপ্ন পূরন হয়:- চলুন তা শুরু করি !

যিনি প্রথমবার এরােপ্লেন তৈরি করেছেন তিনি কোন না কোন সময় মনে চিন্তাতাে করেছেন যে আমি এমন জিনিস তৈরি করব যা পাখির মতাে আকাশে উড়বে! পরবর্তি সময় তারা এরােপ্লেন তৈরি করেছেন, যদি অন্তর জগতে ঐসব জিনিষ চিন্তা না করতে পারতাে তাহলে বাইরের দুনিয়াতে তা সম্ভব হত? যা আপনি মনে চিন্তা করতে পারবেন তা বাইরের দুনিয়াতে ও তৈরী করা সম্ভব!

এই বিষয়ে ভারতের ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরের কথা আমার মনে পরছে! মিডিয়ার লােকেরা অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছেন, আপনি যখন খেলতে যান তখন দেখা যায় যেকোন বলেই আপনি রান করতে পারেন যা অন্য প্লেয়ারের পক্ষে সম্ভব হয় না, তা কিভাবে সম্ভব? তখন উনি জবাব দিয়েছেন, আমি প্রত্যেকবার ম্যাচের আগের দিন চোখ বন্ধ করে বসি, আর মনে কল্পনা করতে থাকি! ক্রিকেট ম্যাচ খেলছি, আর আমি সেঞ্চুরী করছি, আমি ভিজুলাইজ করতে থাকি, ইমাজিন করি আর পরে যখন

আমি খেলতে যাই, ঠিক সেই ভাবেই খেলি যা আমি কল্পনা করেছিলাম! এমনকি ধীরুভাই আম্বানীও বলেছেন স্বপ্ন দেখুন তাহলেই আপনি স্বপ্ন পুরন করতে পারবেন! তাছাড়া এমন এক ব্যক্তির উদাহরন দিচ্ছি যাকে ছােট সময়ে স্কুল থেকে বেড় করে দিয়েছিল। তিনি নিউজ পেপার বিক্রি করে জীবন চালাতেন, মাসের শেষে মাত্র ৩০ ডলার কামাই করতে পারতেন!

কিন্তু সে কামাই করতেন মাসে ৩০ ডলার আর তিনি স্বপ্ন দেখতেন হলিউডের সুপার স্টারের হওয়ার! সেই ব্যক্তির কার্টুন বানাের খুব সখ ছিল! সে কার্টুন নিয়ে যখন প্রথম হলিউড পৌছায় রাতারাতি সেই কার্টুনিষ্ট সবাইর পরিচিতি পায়। তার কাটুন হল মিকি মাউস আর ডুনালড়ক! সেই সুপার স্টার হলেন ওয়ালট ডেজনি, আজকে উনার কাছে ৩০ ডলার না তিনি ৩০বিলিয়ন ডলারের মালিক অর্থাৎ ৩০০০ কোটির মালিক! তাই বন্ধুগন নিজে যা হতে চান তার স্বপ্ন দেখতে শুরু করুন!

এখন আসুন তৃতীয় পয়েন্টে:-সময়ের মূল্য- ৮৬,৪০০ সংখ্যাটি আমাদের জীবনে কতটা ইম্পর্টেন্ট জানেন? আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন? বিষয়টা কি? অর্থাৎ এতটা সেকেন্ড প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ভগবান আমাদের একাউন্টে তা ডিপােজিত করে দেন! সত্যিই তাই! প্রশ্ন হলাে তাকে কিভাবে খরচ করতে হবে? তা কি আমরা জানি? তা সম্পূর্ন আমাদের উপর নির্ভর করে! ২৪ ঘন্টা মানে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড সব মনুষকে দেওয়া হয়, কিন্তু তা ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি একেবারে ধনী হয়ে যায়! আর কেউ হয়তাে গরীবই থেকে যায়। এমন কেন হয়?

কারন তার রেজাল্ট ৮৬,৪০০ সেকেন্ডেকে কে কি ভাবে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর! প্রাইমিনিস্টারই হউক বা বড় কোন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টই হউক, আমি, আপনি বা রাস্তাতে চলতে থাকা ভিখারীই হউক! প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড দেওয়া হয়েছে! আসলে তার ব্যবহার প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে করে থাকে! এখানেই প্রবলেম!

আসুন প্রথমে তাকে বুঝার চেষ্টা করি, কল্পনা করুন আপনার হাতে কিছু টাকা আছে এর মধ্যে বেশির ভাগ নােট ১০ ও ২০ টাকার, এর মধ্যে কয়েকটি ৫০০ টাকার। মনে করুন হঠাৎ বাতাস আসলাে আর তখন আপনার হাত থেকে সব নােট উড়ে গেছে, তখন আপনি কোন নােটটি গুলােকে প্রথমে ধরতে যাবেন? নিশ্চয়ই প্রথমে ৫০০ টাকার নােট ধরতে যাবেন, কারন ১০টাকার নােট আর ৫০০টাকার নােট উঠানাের সময় এবং পরিশ্রমতাে একই হবে, কিন্তু তার পরও আমরা খােজতে থাকি সেই ১০/২০ টাকার নােটকে! দৌড়াতে থাকি সেই ১০/২০ টাকার নােটের পেছনে!

আচ্ছা আপনি কি করবেন? আমাদের হাতে ও ৮৬,৪০০ সেকেন্ড আছে! তবে যে কাজ বেশি আউটপুট দেবে যে কাজ বেশি রেজাল্ট দেবে সেই কাজের পেছনে কি আপনি দৌড়াচ্ছেন?

আপনি যদি ব্যবসায়ী হউন তহলে আপনার প্রথমে ধ্যান দিতে হবে সেই প্রােডক্টের উপর যা আপনার ব্যবসাকে কম্পিডিশানে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সর্বদা সেই বিষয়েই লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমাদের হাতে থাকা ৮৬,৪০০ সেকেন্ড যে এক এক করে শেষ হয়ে যাচ্ছে তা যেন আমাদেরকে ভাল আউটপুট দিতে পারে।


No comments:

Post a Comment