How to use Law of Attraction

 


এই মুহুর্তে আপনি যদি ভাবেন আপনার হাতে এক কোটি টাকা থাকত আর ধরুন সেই মুহুর্তেই আপনার হাতে এক কোটি টাকা এসে গেল! যদি ভাবেন আপনার একটি লাকজারি গাড়ি থাকত আর সঙ্গে সঙ্গে আপনার একটি লাকজারি গাড়ি এসে | গেল! যদি আপনি আশা করেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হওয়ার! আর যদি টপ টেনের মধ্যে আপনার নাম আসে বলুন তাে আপনার কেমন ফিলিং হবে? আর আমি জানি এই মুহুর্তে আপনার কাছে এই কথা গুলি সম্পূর্ন অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে! ঠিকই তাে অবিশ্বাস্য হওয়ারই তাে কথা! তাই না?

কিন্তু বন্ধুগন আজ আপনাদের সামনে একদম প্রমান সহ দেখিয়ে দেব যেএটা ও বাস্তব হতে পারে! হয়ত আপনি প্রশ্ন করবেন তাহলে তাে প্রত্যেক ব্যক্তিই কোটিপতি হতে পারত! প্রত্যেকেই দামী দামী গাড়ি চালাত! আমি বলছি হ্যা অবশ্যই পারত!
যদি তারা সেই সিক্রেট গুলি জানত! আজ বিশ্বেও সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন এলন মাস্ক! বা ভারতের ক্ষেত্রে আম্বানী বা আদানিই বলেন, প্রত্যেকেই সেই সিক্রেট টিপস গুলাে ব্যবহার করেছেন আর এখন ও করছেন! আজ এই প্রােগ্রামের মাধ্যমে আপনাদের সামনে এই সিক্রেট টিপস গুলাে নিয়ে এসেছি, যদি আপনার স্বপ্নকে সাকসেস করতে চান তাহলে এই ভিডিওটি মন দিয়ে দেখুন আর মনে রাখুন টিপস গুলি কি কি! আশাকরি এই ভিডিও আপনাদের অনেক ইনস্পিরেশান যােগাবে এবং উপকৃত হবেন! অনুরােধ থাকবে ভিডিও ছেড়ে কোথাও যাবেন না! এই চ্যানেলে আপনারা যদি প্রথমবার হয়ে থাকেন তাহলে সাস্ক্রাইব বটনে হিট করবেন! তাহলে আমার নতুন যে কোন ভিডিও দ্রুত আপনার কাছে পৌছে যাবে! আমার ওয়েবসাইট লিঙ্ক ডেস্ক্রিপশান বক্সে দেওয়া থাকবে! দেখবেন অনুপ্রানিত হবেন!

টিপসের মধ্যে সব থেকে গুরুত্ব পূর্ন টিপসটি হল ‘ল অব অ্যাট্রাকশান’ শব্দটি শুনেই বুঝতে পারছেন অ্যাট্রাকশান মানে কোন কিছুকে | আকর্শন করা,আজ এই সিস্টেমটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করব! কিভাবে কোন পদ্ধতিতে কোন পরিস্থিতিতে এই সিস্টেমটি ফলাে করা উচিত! আজ এই পদ্ধতি ফলাে করে যেমন মানুষ সফলতা পাচ্ছে ঠিক তেমনি সমাজ অধপতনেও যাচ্ছে!কারন এর ভাল দিক যেমন আছে তেমনি খারাপ দিক ও আছে! এখন আপনার স্বপ্নকে ভাল ভাবে বাস্তবে নিয়ে আসবেন না কি সমাজের চোখে খারাপ হবেন তা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর! দেখুন যারা বর্তমানে স্টুডেন্ট রয়েছেন তাদের এক ধরনের স্বপ্ন থাকবে এবং যারা পড়াশুনা শেষ করেছেন বর্তমানে হয়তাে সাধারন কোন কর্ম করে যাচ্ছেন তাদের স্বপ্ন একধরনের হবে এমনকি যারা কোন সরকারি সার্ভিস বা ব্যবসা করছেন প্রত্যেকের স্বপ্ন আলাদা হবে!তবে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করার পদ্ধতি কিন্তু একই ধরনের, বন্ধুগন আমাদেরকে ভগবান যখন এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তখন শারীরিক বা মানসিক ক্ষমতাকে ১০০% দিয়েই পাঠিয়েছেন! কিন্তু আমরা জন্মের পর ধীরে ধীরে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে সম্বন্ধের সম্পর্কের সঙ্গে নিজেকে এমন ভাবে জড়িয়ে ফেলি! ফলে পরিবেশের মানে আশে পাশের ব্যক্তিবর্গের চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারনা ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে প্রবেশ করতে থাকে যার ফলে আমরা আমাদের ১০০% শক্তিকে ইউজ করার সিস্টেমকেই ভুলে। যাই!বন্ধুগন আমাদের চিন্তা শক্তির প্রধান কেন্দ্র হল আমাদের ব্রেইন! আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় আমাদের মন! আমরা যখনই কিছু ভাবি বা স্বপ্ন দেখি তখন লক্ষ্য পূরনের দৃশ্য পূর্বেই আমাদেও বুদ্ধির চোখে ভেসে উঠে এবং তা কিভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে আমাদের মন ও বুদ্ধি তার প্রসেস শুরে করে দেয়!তবে ভগবান আমদের মনকে দুই ভাগে ভাগ করে। দিয়েছেন এক হল কনসিয়াস মাইন্ড সচেতন আরেকটা হল সাব কনসিয়াস মাইন্ড মানে অবচেতন মন!আপনি যা হতে চাইছেন, যেমন হতে চাইছেন প্রথমে তা কনসিয়াস মাইন্ডের দ্বারাই চিন্তা করেন,কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা কনসিয়াস মাইন্ডের কাজ নয় তা বাস্তবায়িত করবে সাবকন্সিয়াস মাইন্ড। তাই আপনি সৰ্ব্বদাই পজেটিভ ভাবার চেষ্টা করুন!নেগেটিভ চিন্তা হলে সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এটিকেই বাস্তবায়িত করে দেবে!যা বর্তমানে প্রাই ব্যক্তির সাথে হচ্ছে, যা খারাপ তাই ঘটচ্ছে আর যা ভাল তা ঘটচ্ছে ! বন্ধুগন এখন আসুন মেইন পয়েন্টে কিভাবে আপনার ইচ্ছা মানে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবেন। আপনি যেই বিষয়ে টার্গেট সেট করবেন এমন টার্গেট যেন না হয় যে অন্য ব্যক্তির সাথে কম্পিটিশান করে বা রাগ করে আপনি টার্গেট সেট করলেন তাহলে তা অর্ধেক রাস্তাতেই ভেঙ্গে যাবে! কারন আপনার সেই রাগ বা প্রতিযােগিতা কিছু দিন পরে হয়ত আর থাকবে না,তখন আপনি সেই টার্গেটকেই ভুলে যাবেন! তাই এমন টার্গেট সেট করুন যা আপনার ভিতর থেকে আসে!টার্গেট সেট করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি তা কোন একটি নােটপ্যাডে লিখে রাখুন! এমনকি যদি সম্ভব হয় তা ড্রয়িং করে বেড রুমে রাখতে পারেন, আপনার অফিসে রাখতে পারেন, এমনকি আপনি যে বাইক বা স্কুটি ব্যবহার করছেন তার মধ্যে ও রাখতে পারেন! এবং এক End of Point সেট করুন কত দিনের মধ্যে আপনার সেই গােল এচিভ হতে যাচ্ছে! তার পর তা ভিজুলাইজেশান অর্থাৎ চিত্রচিত্রন করা শুরু করুন! মানে কল্পনা করুন আপনি যে টার্গেট সেট করেছেন তা আপনার পুর্ন হয়েছে, আপনি তার আনন্দ উপভােগ করছেন! এর পর ধীরে ধীরে অ্যাট্রাকশান শুরু করা, মানে আকর্ষন করা! ধীরে ধীরে গােলকে এমন ভাবে আকর্ষন করতে হবে যেমন আপনার টার্গেট আপনার একদম কাছে এসে গেছে!কিন্তু অনেকে হয়ত বলবে টার্গেট তাে সেট করেছি এবং ভিজুলাইজেশান ও করেছি তার পরও আমাদের স্বপ্ন পূর্ন হয়নি বা হচ্ছে না! বন্ধুগন আপনার লক্ষ্য না পূর্ন হওয়ার পেছনে যে সমস্ত কারন গুলি আছে তার মধ্যে

প্রথমত:- আপনার ভিজুলাইজেশান সঠিক ভাবে সঠিক সময় করতে পারছেন না,আর ভিজুলাইজেশানের সময় আলাদা আলাদা চিন্তা আপনার মনে আসে যা আপনার টার্গেটের বিপরীত হয়ে যায়! যেমন আপনি যদি এক পরীক্ষার্থী হউন আপনার স্বপ্ন হচ্ছে পরিক্ষায় টপ টেনের মধ্যে আপনার নাম থাকবে!আর যখনই ভিজুলাইজেশনে বসলেন সঙ্গে সঙ্গে মনে আসচ্ছে আরে তুইকি । পারবি?তাের পক্ষে কি সম্ভব হবে? তুই পারবি না! আর আপনি ও উঠে গেলেন! এই ভাবে ভিজুলাইজেশান যদি হয় তার কোন রেজাল্ট আপনি পাবেন না!

দ্বিতীয়ত:- আপনার ভিজুলাইজেশানের সঠিক সময় নির্ধারন করতে পারেন নি,যেমন ধরুন আপনি রাত্রিতে খাওয়ার পর যখন বিছানায় যাবেন তখন থেকে আপনার ভিজুলাইজেশান শুরু হতে হবে চোখে যখন তন্দ্রা বা ঘুম আসবে আপনি ঘুমিয়ে পড়লেন! তার পরও সেই প্রসেস চলতে থাকবে! আবার সকালে যখন ঘুম থেকে উঠার সময় চোখ খােলার পূর্বেই আপনি যখন সজাগ হয়ে যাবেন তখন থেকেই আপনার ভিজুলাইজেশান শুরু হতে হবে! সারাদিন সময় সময় করবেন!

তৃতিয়ত:-আমরা সারা দিনে যা কিছু কাজ করি মানুষের সাথে যা কিছু ব্যবহার করি, কথা বার্তা বলি তার মধ্যে যে সব নেগেটিভ বিষয় যেমন ধরুন কেউ আপনাকে খারাপ বলেছে, কেউ আপনাকে ভুল বুঝেছে, কেউ আপনাকে আঘাত করেছে,এসব ভুলে যান! তা না হলে এই সব কিছুই রাত্রিতে যখন বিছানাতে শুতে যান তখন সব গুলি মনে আসবে! এমনকি ঘুম পর্যন্ত ঠিক ভাবে হয় না এই নেগেটিভ চিন্তার কারনে, এর ফলে আপনার মনের ক্ষমতা অনেক কমে যায়,আপনা টার্গেটকে অ্যাট্রাক্ট মানে আকর্ষন করার সেই শক্তি আপনি হারিয়ে ফেলেন!আপনার উচিত সারা দিনে যে সমস্ত পজেটিভ রেজাল্ট আপনি পেয়েছেন তা মনে করা, যাদের কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন,যে সমস্ত কাজ থেকে আপনি আনন্দ পেয়েছেন, সেই বিষয় গুলি মনে মনে চিন্তা করা এবং এর থেকে ইম্পর্টেন্ট ফেক্ট গুলােকে খােজে বের করা যাতে কিভাবে আগামী দিনেও আপনি খুশি থাকতে পারেন! তাতে আপনার মনের এনার্জি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।

চতুর্থত:- মানুষের ল অব অ্যাট্রাকশান কাজ না করার পেছনে আরেকটি কারন আছে আর তা হল যখন পরিস্থিতির কারনে। হঠাৎ করে নিজের টার্গেট সেট করে নিলেন তা কিছুদিন হয়তাে কন্টিনিউ করলেন! ভাবলেন কি কি স্টেপ নিতে হবে। কিন্তু কিছু দিন পরে তা হ্রাস পেতে থাকে! এমন এক সময় আসে যখন প্রতিদিন মনে আসার পরিবর্তে সাপ্তাহে একবার সেই লক্ষ্যের কথা মনে পরে! ধীরে ধীরে এমন হয় সেই লক্ষ্য বাদ দিয়ে আবার নতুন এক লক্ষ্য সেট করেন। আবার সেইম প্রসেস চলতে থাকে!

পঞ্চমত:-মানুষ স্বপ্নকে দেখার সাথে সাথে সেই স্বপ্নকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকে, এর ফলে আপনার ল অব অ্যাট্রাকশানের শক্তির স্পিড ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

ষষ্ঠত:- ল অব অ্যাট্রাকশান কাজ না করার পেছনে আরেকটি গুরুত্ব পূর্ন কারন হল শারীরিক ক্ষমতাকে এবয়েড করে টার্গেট সেট করে বসা! যেমন একদম সহজ উদাহরন! আপনি সব সময় এয়ার কন্ডিশন রুমে থাকা পছন্দ করেন, রৌদে যাওয়া পছন্দ করেন না, আর হঠাৎ আপনার দেশ প্রেম জেগে উঠল আর আপনি টার্গেট সেট করে নিলেন এক সৈনিকের, আপনার কি মনে হয় তা আপনার শরীর সুইট করবে? ধীরে ধীরে সেই টার্গেট ও ব্যর্থ হয়ে পরবে!

তবে হ্যা আপনি যদি একাগ্র চিত্তে সেই চিন্তা করতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরকে সেই লক্ষ্য পূর্ন করার জন্য ধীরে ধীরে উপযুক্ত করে তুলবে, তবে একাগ্র চিত্তে করতে হবে!আর ল অব অ্যাট্রাকশানও সেই লক্ষ্যেই কাজ করে আপনাকে ডাইরেক্ট রেজাল্ট এনে দেবে না, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূর্ন করার জন্য আপনার শরীরকে উপযুক্ত করে তুলে। আপনি সবসময় যখন একই বিষয়ে চিন্তা করতে থাকবেন তখন সেই মন সেই বিষয়ে কাজ করার জন্য তৈরী হয়ে যায়!তবে বন্ধুগন ল অব অ্যাট্রাকশান। ডাইরেক্ট রেজাল্ট তাে দিতে পারবে না ঠিক আছে কিন্তু আপনার স্বপ্নকে পূর্ন করার জন্য রাস্তা তৈরি করে দেবে।ল অব অ্যাট্রাকশান যদি সঠিক ভাবে ফলাে করতে পারেন আমি মনে করি ১০০% আপনার লক্ষ্য পূর্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বন্ধুগন আশা করি আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার মাধ্যম আপনাদেরকে দিতে পেরেছি! যদি এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে বলে মনে হয় তাহলে একটি লাইক ও শেয়ার করবেন তাতে আমরা অনুপ্রেরনা পাব!

No comments:

Post a Comment