Health Management system


 সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন! বর্তমান সময়ে আমরা সবাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে যেমন উদাসিন তেমনি স্বাস্থ্য নিয়ে অতি দুঃখের মধ্যে আমরা জীবন কাটাচ্ছি! সকলের কথা চিন্তা করে আধ্যাত্নিক ভাবে স্বাস্থ্য সমাধানের এক ভিডিও নিয়ে এসেছি আশাকরি এই ভিডিও আপনাদের অনেক ইনস্পিরেশান যােগাবে এবং উপকৃত হবেন! অনুরােধ থাকবে ভিডিও ছেড়ে কোথাও যাবেন না!

আমরা সবাই জীবনে ঈশ্বরের কাছে কিছু দাবী করি আর না করি কিন্তু একটি বিষয় অবশ্যই দাবী করি, আর তা হল সুস্বাস্থ্য! স্বাস্থ্যবান থাকতে কে না চায়? বলুনতাে? জীবনে সবাই চায়!জীবনে অতি আবশ্যক ও ভ্যালুয়েবল বিষয়ের মধ্যে যদি আমরা বিচার করি তাহলে দেখা যায় আমরা ৩টি বিষয়কেই প্রাধান্য দেই।

এ গুলাে হল ১)স্বাস্থ্য ২) সম্পত্তি ৩) খুশি! কোন ব্যক্তি যদি স্বাস্থ্যবান হয়, তাহলে জীবনে সম্পদ বা খুশির অভাব হতে পারে না। আর যদি স্বাস্থ্যবান না হয় তাহলে ধন সম্পদ বা শান্তি কোন কিছুই সম্ভব হবে না!আজকের প্রােগ্রামের মূখ্য বিষয় হল আমরা কিভাবে স্বাস্থ্যকে ভাল ও সুন্দর রাখতে পারি। আমাদের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখা আমাদের জন্মগত অধিকার যা স্বয়ং ভগবান থেকে আমরা পেয়েছি, কিন্তু আধুনিকতার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে আমরা স্বাস্থ্যকে একেবারে গুরুত্বহীন করে ফেলেছি!

বর্তমানে মানুষের মনে এক এক বিশ্বাস তৈরি হয়ে গেছে যে এই কম্পিটিশানের যুগে যে যত বেশি আরামে থাকবে,যে এসি রুমে থাকবে এমন কি যে যত বেশি ফেট চর্বি খাবার খেতে পারবে সেই সকলের কাছে দামী পার্সন হবে!কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভােগতে হয়! বন্ধুগন যদি স্বাস্থ্যকে সর্বদা কন্ট্রোল করে চলতে পারি তাহলে ভগবানের দেওয়া ১০০ বৎসরের আয়ুকে সম্পূর্ন ভাবে উপভােগ করতে পারি! তবে তা সম্ভব হবে কেবল মাত্র স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইলের মাধ্যমে! এটাই একমাত্র সহজ মাধ্যম কারন জীবন শৈলী আজ একদম বিনষ্ট হয়ে গেছে! আমাদের খাওয়া দাওয়ার সিস্টেম একদম বিনষ্ট হয়ে গেছে, যার কারনে আমরা এই বিভিন্ন রােগের স্বিকার হচ্ছি। আজকাল তাে টিবি দেখতে দেখতে খাবার খাওয়া এক ফ্যাশানে পরিনত হয়ে গেছে!টিবি দেখতে দেখতে কতটা খেয়ে ফেলেছেন তার কোন হিসাবই থাকে না! শুধু তাই না শুয়ে থেকে ও খাবার খাবেন, এই কারনে মানুষ মােটাপার স্বিকার হচ্ছে! আর ও বিভিন্ন রােগের স্বিকার হচ্ছেন।বন্ধুগন স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইল বা আধ্যাত্মিক জীবন শৈলি এক মাত্র উপায় যা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে! তাই আমরা স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইল প্রােগ্রামটি নিয়ে এসেছি, তাহলে চলুন শুরু করি!আমাদের মধ্যে অনেক প্রকারের গুন রয়েছে! তবে শক্তি ও অভিজ্ঞতা থাকলেও আমরা কিন্তু স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইলের কলা।

সম্পর্কে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই! আপনার সব ধরনের গুন থাকা সত্বেও আপনার যদি স্পিরিচুয়াল গুন না থাকে তাহলে জীবন নিরস মনে হবে!কিন্তু প্রশ্ন হল স্পিরিচুয়াল বা আধ্যাত্মিক জীবন শৈলী বলতে কি বুঝায়, আসলে স্পিরিচুয়ালিটিকে প্রাধান্য দিয়ে চাল চলন, আচার ব্যবহার, খাবার দাবার, ইত্যাদি যাবতীয় কাজ কর্ম প্রতিদিন নিয়মিত করাকেই স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইল বলা হয়!তবে স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইলকে ফলাে করে যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে-

প্রথম যে বিষয়টি ফলাে করতে হবে আর তা হল শিঘ্রই বিছানাতে যাওয়া আর শিঘ্রই বিছানা থেকে উঠা! কথায় আছে আরলি গাে টু বেড এন্ড আরলি রাইজ ফ্রম বেড! কিন্তু আজ কাল তারা তারি বিছানাতে যাওয়া বা তারা তারি বিছানা থেকে উঠা এগুলাে আমাদের জীবন থেকে চলে গেছে কিন্তু আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে এমন ছিল না! আজকে যাদের বয়স ৪০ বা ৫০ এর উর্ধে যারা আজ এই প্রােগ্রামটি দেখছেন আপনারা নিজেরাই সাক্ষি আছেন আপনারা যখন যুবক ছিলেন তখন সূর্যদয়ের পরে কোন ব্যক্তি ঘুমাতেই পারতেন না! কিন্তু আজকাল সবাই খায় দেরিতে এমন কি ঘুমায় ও দেরিতে আবার উঠেও দেরিতে! তাহলে কিভাবে জীবনে সুস্থ্য থাকবেন? ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রােগের স্বিকার তাে আপনাকে হতেই হবে!

বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমান হয়ে গেছে বেশি ঘুমানাে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কারক, আবার দেরিতে যদি খাওয়া হয় আর দেরিতে যদি ঘুমানাে হয় তাহলে আপনার খাবার হজম ঠিক ভাবে হবে না এতে শরীর ও এনার্জি পাবে না!আর যদি দেরিতে। উঠেন তা হলে হার্ট অ্যাটাক্ট ও ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিজ ইত্যাদির সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি ভগবদগীতাতেও ভগবান বলেছেন হে অর্জুন অতি নিদ্রা, অনিদ্রা যােগীর লক্ষন নয়! বেশী ঘুমিয়ে বা একদম কম ঘুমিয়ে বা বেশি খেয়ে বা উপাস থেকে ব্যক্তি কখনােই সুস্থ থাকতে পারেনা!

এছাড়া পজেটিভ চিন্তা বা মেডিটেশানের মাধ্যমেও আপনি নিজেকে সুস্থ্য রাখতে পারেন! অর্থাৎ আপনি যাই কিছু চিন্তা করবেন সব কিছুই পজেটিভলি করতে হবে, অথাৎ ভগবান যাই কিছু করছেন আমার ভালর জন্যই করছেন! ভগবান আমাদের শাস্তি দেননা আমাদের ভালবেসে শিক্ষা দেন যাতে আমরা বড় ধরনের কোন ভুল না করি! এই পজেটিভ চিন্তা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনি মেডিটেশানের মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হতে পারবেন, হয়তাে মেডিটেশানের নাম শুনলেই অনেকে হয়তাে ঘাবরে যাবেন! ঘাবরাতে হবে না, মেডিটেশান অনেক ধরনের হতে পারে! এর মধ্যে রাজযােগ মেডিটেশানই হল একদম সহজ মেডিটেশান, যার জন্য বিশেষ কোন নিয়ম প্রয়ােজন হয় না। যেখানে কম্ফোর্ট ফিল করবেন সেখানেই বসে ঈশ্বরের সাথে আপনি কানেক্ট হতে পারেন আর সেই কানেক্টিং প্রসেসকেই বলা হয় মেডিটেশান!যা আপনার ভিতরে অনুভুতিকে জাগ্রত করবে এবং স্ব-অনুভুতিকে উজ্জিবিত করবে, যার ফলে আপনি রিয়েলাইজ করতে পারবেন বাস্তবে আপনি কে? অনেকের হয়তাে বিষয়টিকে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, আসলে আমরা নিজেকে যা দেখছি বা যা ভাবচ্ছি তা আমরা নই,তা ছাড়া ও আমাদের অন্য একটি রুপ আছে পরিচয় আছে যাকে আমরা দেখতে। পাইনা! হয়তাে এই সংসারের মায়া জালে আমরা নিজেকেই ভুলে গেছি, আমি আর আমার এই ধাধার উত্তর আমাদের কাউরই জানা নেই! একটা সময়ের জন্য এসেছি সময় শেষ হলেই আবার চলে যাব, কিন্তু আজ যেই দেহটিকে আপনি আইনাতে দেখছেন আর এই আজকের দিনে যে জলন্ত সমস্যা গুলির সাথে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে তার মধ্যে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রােগের স্বিকার করে তুলছে!মানসিক চাপ is the no 1 proxy killer today এই কথাটি বাস্তব সত্য!

আজকে দুনিয়াতে যত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে,মেক্সিমাম মানুষের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাক্ট এর কারনে হচ্ছে, কিন্তু হার্ট অ্যাটাক্ট কেন হচ্ছে? যদি আপনি তার গভীরে যান আপনি বুঝতে পারবেন টেনশানই তার জন্য একমাত্র দায়ী!টেনশান পর্দার পেছনে থেকেই কাজ করে, কিন্তু মানুষ বুঝতে পারেনা, এই জন্য বলা টেনশানকে এক প্রক্সিকিলার বলা হয়! স্ট্রেস এক ড্রেইন হিসাবে কাজ করে আমাদের মানসিক এনার্জিকে লস করে দেয়! বাস্তবে যদি আমরা সবাই আনন্দে থাকি খুশিতে থাকি, শরীর অটোমেটিকেলী সুস্থ হয়ে যাবে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে মেডিটেশানই একমাত্র উপায়, মেডিটেশানের দ্বারাই আপনি মানসিক টেনশান বা | স্ট্রেসকে দুর করতে পারবেন।

তাছাড়া আরও একটি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হল ‘অন্ন’ যা আমাদের মানসিক অবস্থাকে কন্ট্রোল করে। মানব শরীর এক গাড়ির মতাে! যেমন গাড়ির মধ্যে তৈল ঢুকানাে হয়, পেট্রোল গাড়ির মধ্যে পেট্রোল ঢালা হয়, ডিজেল গাড়ির মধ্যে। ডিজেল ঢালা হয়, ঠিক একইভাবে গাড়ি রুপী আমাদের শরীরকে চালানাের জন্য আমরা খাবার খেয়ে থাকি,তবে পেট্রোলের গাড়িতে

যদি কেরসিন ঢালি তাহলে গাড়ি যেমন ববাদ হয়ে যাবে!ঠিক তেমনি আমাদের দেহে ও আজ সাত্নিক ভােজনের পরিবর্তে আজ ফাস্ট ফুড, কোলড্রিংস,পান মশলা, সিগারেট, অ্যালকোহল ইত্যাদি খেয়ে আজ কাল দুনিয়াতে কেন্সার হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাক্ট হচ্ছে।

তাছাড়া এই প্রকার ডায়েট গুলি ফুল অব হাই কেলরীজ, যদি কোন ব্যক্তি মােটা হয়ে যাচ্ছেন তাহলে ক্যালরী কম করার প্রয়ােজন! পুড়ি পেড়া পােকড়া পিজা পােকোয়ান পরােটা, এই সব খাবারে অনেক কেলরী থাকে, এই গুলিকে এবয়ে করা উচিত ,

সুতরাং জীবনকে সুন্দর আনন্দময় ও সুস্থ রাখার জন্য সাত্যিক ভােজনের উপর গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক বন্ধুগন এই প্রােগ্রামটি যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক করবেন আর কমেন্টে জানাবেন, আর স্পিরিচুয়াল লাইফ স্টাইল প্রােগ্রামকে ১০০% বুঝতে হলে এই চেনেলের সাথে যুক্ত থাকুন

ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment