কিন্তু সমস্যা হল পয়সার কোন ব্যবস্থাই হয় নি, আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না, সকালে কি হবে সেই চিন্তায় আমার ঘুম আসচ্ছে না। তখন তার স্ত্রী বলেন তাতে এমন কি হয়েছে! তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোন উঠালেন অশােকের ফোন নাম্বার ডায়েল করলেন রাত্রি ২ টা বাজে অশােক ভাই ঘুম থেকে। উঠলেন আর তখন হালকা হালকা শব্দে বলেন আমি শেখর ভাইয়ের স্ত্রী বলছি আপনার সামনের বাংলােতে থাকি,‘হা বলুন’ আসলে আমার পতি ২. বৎসর আগে ১ লাখ টাকা নিয়েছিল আর আপনাকে বচন দিয়েছে আগামী কাল দিয়ে দিবে কিন্তু সমস্যা হল টাকার কোন ব্যবস্থাই হয়নি, সরি এন্ড গুড নাইট। ফোন কেটে দিলেন। তখন হয়েছে এমন শেখর ভাই তাে শান্তিতে শুয়ে পরেছেন কিন্তু অশােক ভাইয়ের লাইট পুরা রাত্রিই অন ছিল। বন্ধুগন ইহাকে কি বলে? ইহা আর কিছুই না ইহা এক স্ট্রেস। জীবনে স্ট্রেস সব জায়গায় হতে পারে, যদি আমরা কোথাও যাওয়ার জন্য রৌনা দিলাম আর রাস্তার মাঝে ট্রাফিক ঝাম লেগে গেছে তার পরেও স্ট্রেস। মানে চিন্তা আসতে থাকে আমি টাইমে পৌছাতে পারব না। আবার আমি যদি টিকেট না নেই তাহলে চিন্তা হয় আরে বসার জায়গা যদি না পাই। এমন ছােট ছােট স্ট্রেস জীবনে আলেদা আলেদা জায়গা থেকে আমরা পেয়ে থাকি।
আর যদি স্ট্রেস আপনার জীবনে অবার লােড হয়ে যায়, তখন ডিস্ট্রেস হয়ে যায়, আর সেই ডিস্ট্রেসকে কিভাবে মেনেইজ করা যায়, ইহাকে জানা। অনেক প্রয়ােজন। বন্ধুগন এমন বলা হয় চিতা তাে আমাদের একবারই জালায় কিন্তু চিন্তা আমাদের প্রত্যেক দিন জালায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমন হয় যখন আমরা কোন ব্যবসা শুরু করি তখন প্রথম অবস্থায় আমাদের বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন স্ট্রেস আসতে থাকে, তখন সেই পরিস্থিতিতে যদি স্ট্রেসকে ম্যানেজ করতে না পারি, ম্যানেজ করতে না শিখি, এতে আমাদের টার্গেট অনেকটা ধবংশ হয়ে যাবে।
বন্ধুগন আপনারা সবাই বিহিকেল মানে বাইক বা কার চালিয়ে থাকেন। সাধারন ভাবে আমরা যখন বিহিকেল চালানাে শুরু করি তখন ফাস্ট গিয়ার থেকে শুরু করি তার পর ধীরে ধীরে যখন তার স্পিড় বারতে থাকে Second,Third,Fourth মনে করেন যদি সেই বিহিকেলকে শুধু প্রথম গিয়ারেই চালাতে থাকেন, তাহলে কি হবে? গরম হয়ে যাবে এভারেজ দিবে না, কিছু দূর যাওয়ার পরে ব্রাস্ট হয়ে যাবে।
যেই বাইক বা যেই গাড়িকে কোম্পানী তৈরি করেছেন হাজার হাজার কিলােমিটার চালানাের জন্য সেই বিহিকেলকে যখন একই গিয়ারে চালাতে থাকি | তখন কি হয় কিছু দিন চালানাে পর তা ফেইল হয়ে যায়।
আমাদের শরীরও এক গাড়ি, যেই গাড়িকে ভগবান 4th গিয়ারে চালানাের জন্য তৈরি করেছেন। কিন্তু আমরা কি করি জীবনকে এতটা স্ট্রেস ফুল তৈরি করে দিয়েছি, যার উদাহরন, অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে চা টিফিন করার আগে বিভিন্ন আইটেমের টেবলেট নিতে হয়, যখন জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি ইহা কেন নিচ্ছেন তখন বলে ইহা ডায়াবেটিস, এটি ব্লাড প্রেসার, আর এটি কনস্টিফেসন, আর এই টেবলেটটি আমার কিছু হার্টের সমস্যা চলছে, এই জন্য আমার নিতে হচ্ছে। যেই শরীরকে ভগবান তৈরি করেছেন যাতে ৮০ বা ১০০ বৎসর সুস্থ্য থেকে কাম কাজ করতে থাকে, সেই শরীরকেই আমরা ৪০ বৎসর ৫০ বৎসর বয়সেই শেষ করে দিয়ে থাকি।
আমরা এই ভাবেই জীবনকে এক স্ট্রেসফুল করে থাকি, যখন অফিসে যাই আমাদের পার্সনাল কাজে যাই তখনতাে স্ট্রেসে থাকি কিন্তু যখন ঘরে যাই তখনও স্ট্রেস, নিজের পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি না, এমন ও দেখা যায় যখন নিজের ছেলে পড়া শুনা না করে টিবি দেখতে বসে তখন তার সাথে কি ভাবে ব্যবহার করি চিৎকার করে বলি রাজু টিবি বন্ধ কর ,পড়তে বস। আর যখন পাশের বাড়ির শুনিল আশে তখন কি ভাবে বলে কেমন আছ শুনিল বাবা, হােম ওয়ার্ক শেষ করেছ আজকে? সুনিলের সাথে ভাল ভাবে কথা বলেছে, নিজের বাচ্চার উপর নিজের অধিকার তার জন্য চিৎকার করে বলতে হয়, নিজের স্ত্রির সাথে চিৎকার করে কথা বলে। আর পাশের বাড়ির মহিলা যখন। আসে তখন কিভাবে রেসপনস করে কেমন আছেন বৌদীমনি সব কিছু ঠিক আছে তাে? এই যে ইমবেলেন্স তা এইটিই আমাদের বেশির ভাগ স্ট্রেস দিয়ে থাকে।
দিনের বেলা যদি অফিসে থাকে তখন অফিসের স্ট্রেস, বিকালে যখন বাড়িতে থাকে তখন পরিবারের প্রতি যে রেসপন্সিবিলিটি হওয়া উচিত তার স্ট্রেস। ব্যক্তি তখনই সাকসেস হতে পারে যেখানে ব্যক্তি এই গুলিকে সঠিক ভাবে বেলেন্স করতে পারে। সুতরাং এই বিষয়টি সব থেকে গুরুত্ব পুর্ন জীবনে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে বেলেন্স থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই খুব ভাল রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব।
তাছাড়া বন্ধুগন প্রায় ১৯৪০ বা ১৯৪৫ সালের ঘটনা, আমেরিকাতে একবার এক সার্বে হয়েছিল, যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল মানুষের কি কি ইচ্ছা, | স্বপ্ন, রয়েছে যা তারা পেতে চাইছে, আর সেই সার্বেতে মেইন ফোকাস ছিল ৮ থেকে ১০টি বিষয়ের উপর, যেমন গাড়ি, বাংলাে, অর্থ ঐরকম, বিভিন্ন পার্পাস, এর মধ্যে একটি পার্পাস ছিল এফেক্টিভ কমিউনিকেশান, আপনারা বিশ্বাস করবেন না ৭০ % লােক টিক মার্ক করেছেন এফেক্টিভ কমিউনিকেশানের উপর।
আপনি ভাবতে পারছেন! আমেরিকার লােকেরা তৎকালিন সময়েই বুঝতে পেরেছেন যে মানুষের জীবনে সব থেকে ইম্পর্টেন্ট বিষয় হল কমিউনিকেশান করা,অথাৎ যদি কমিউনিকেশানের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অর্থ, ধন, সম্পদ অটেমেটিকেলী চলে আসবে। দেখুন বন্ধুগন যদি আপনি নিজেকে মিলিনিয়রের বিলিনিয়রের লিষ্টে এড করতে চান, তাহলে আপনাকে বিজনেস কুয়ালিটিকে ডেভেলফট করতে হবে, হয়তাে তার জন্য বিজনেস ম্যনেজম্যান্ট করে আসবেন, BBM,MBMকোর্স করে আসবেন, কিন্তু আপনার যদি এফেক্টিভ কমিউনিকেশন স্কিল না থাকে তাহলে BBM,MBM এর কোন দাম থাকবে না, কাষ্টমারের পাশা পাশি নিজের মালিকের সাথে কো-অপারেশন অনেক প্রােয়ােজন।
এফেক্টিভ কমিউনিকেশান কাকে বলে? অনেকে হয়তাে বলবে এফেক্টিভ কমিউনিকেশান মানে আমার সামনের ব্যক্তিকে যদি কনভিন্স করতে পারি তাহলেই হবে এফেক্টিভ কমিউনিকেশান। সাধারন ভাবে এই মনে করেন প্রত্যেকে,আচ্ছা! মনে করেন আপনি সামনের ব্যক্তিকে বুঝাতে পারলেন, মানে কনভিন্স করতে পারলেন, কিন্তু বুঝার পরও আপনি যা চাইছেন সামনের ব্যক্তি করতে চাইছে না, তাহলে এই কনভিন্স এর মানে কি?
আপনি যখনই বললেন আমি যা বলেছি তা যদি বুঝতে পারেন তাহলে তাহলে আমাদের সাথে ব্যবসা শুরু করেন! সাইন করুন, তখনই সে বলল না আজ না আরেকদিন, তাহলে এর কোন মানে হয় না। আমার মতে এফেক্টিভ কমিউনিকেশান তাকেই বলে যদি আপনার বুঝানাের পর সে বুঝক আর না বুঝক কথা শেষ হওয়ার পরে আপনি যা চাইবেন তাই সে করবে। | কিন্তু ইহার জন্য এক ইম্পটেন্ট বিষয় যা আপনাদের জন্য বিশেষ ভাবে বলছি, বন্ধুগন আমরা এই মুহূর্তে কি আছি তা ভুলে যান, ভবিষ্যতে কি হতে চান তা ভাবুন, মিলিনিয়র, বিলিনিয়র, এক সফলতা ক্রস করতে চাইছেন, তাহলে আজকের থেকেই আপনার জীবনে তা নিয়ে আসার জন্য শুরু করেদিন।
মাল্টিমিলিনার্সকে দেখেছেন কিভাবে কথা বলে, কি মিষ্টি শুরে কথা বলে তারা, অনেক সম্মান থাকে তাদের শব্দের মধ্যে, আর ইহাই আমাদের জীবনে | ধারন করা প্রয়ােজন, ইহা আমাদের মনে রাখা প্রয়ােজন। সুতরাং এফেক্টিভ কমিউনিকেশান অনেক প্রয়ােজন।
আজকাল প্রায়ই দেখা যায় মােটিভেশানের বিডিওর অভাব নেই, ইউটিউবে যদি সার্চ করেন তাহলে দেখা যাবে মিলিনিয়র ভিওয়ার কিন্তু বন্ধুগন যদি | এত এত মােটিভেশান ভিডিওতাে দেখছেন সবাই কিন্তু সবাইকি মােটিভেট হয়ে জীবনে সাকসেস হতে পারছে? না। এর কারনকি? কোন সময় হয়তাে
ভেবেই দেখেন নি। আজকাল বেশির ভাগ মােটিভেশান ভিডিওতে দেখা যায় স্পিকার স্টেইজে আসে এমন সমব কিছু লেকচার দেয় যেমন মনে হয় মানুষ আজ থেকেই টার্গেটের পেছনে দৌড়াতে শুরু করবে। কিন্তু না বন্ধুগন,বাজারে মেলায় আমরা একধরনের গ্যাসের বেলুন দেখতে পায়,এই বেলুন গুলি উপরে যেতে চায়, আপনি এই বেলুনটি যখন ঘরে আনবেন, দুই তিনদিন পরে দেখতে পাবেন বেলুন ঘরের এক কুনাতে পরে আছে।ঠিক একই প্রকার মানুষ মােটিভেট হওয়ার দুই তিন দিন পরে ঠিক চুপসে যাওয়া বেলুনের মতাে হয়ে যায়।মােটিভেশানের সেই জ্যোস আর থাকে না।এই জন্যই তাে বলছি শুধু জ্যোসেই কাজ চলবে না,সঠিক পদ্ধতি বুঝার চেষ্টা করুন।
সঠিক গাইডেন্স নেন, সঠিখ স্টেপ ফলাে করুন, ইহা প্রেক্টিকেল লাইফে অনেক প্রয়ােজন। ইহা আপনাকে সাকসেস পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমিও ইচ্ছা করলে ঐ মােটিভেশান বক্তৃতার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে জ্যোস দিতে পারতাম, কিন্তু দুইদিন পরে যেমন ছিল তেমনই থাকবে, ইহার কোন মানেই হয় না,
No comments:
Post a Comment