আজ কাল তাে মানুষ এতই মর্ডান হয়ে গেছে, বুদ্ধিমান হয়ে গেছে যে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কোনটি সঠিক কোনটি ভুল, কোনটি উচিত কোনটি উচিত নয় তা বিচার করার চেষ্টা করতে গিয়ে এই স্বংসারে সৃষ্টি প্রায় সব কিছুই খারাপ বলে মনে হয়, সব কিছুতে শুধু দোষই চোখে পরে,
বন্ধুগন যদি এই সংসারের সৃষ্টিতে সব কিছু খারাপই হয় তাহলে ইহা যিনি তৈরি করেছেন তিনিও খারাপ হবে!আর যদি না হয় তহলে সব কিছুই যেহেতু তিনিই তৈরি করেন তাহলে সব কিছুই পাফেক্ট হওয়ার কথা, কিন্তু কেন তার পরও মানুষ দুঃখ, যন্ত্রনা, আর অশান্তির শিকার হচ্ছে, এর পেছনে কি কারন রয়েছে? এর মধ্যে যে সব কারন রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ যােগ্য কারন হল আশা, প্রত্যাশা বা বলতে পারেন আকাঙ্খ, যেমন আমাদের জীবন ভাল হতে হবে, উন্নত হতে হবে, আমার এই এই স্বপ্নগুলি পূর্ন হতে হবে, যদি পূর্ন হয় তাহলেই আমরা খুশিতে থাকতে পারব আর ঐ সামনের চিন্তা করতে করতে আজকের যে আনন্দ যে সুখ তা ভােগ করতে পারছি না, ইহাই তাে আমাদের দুঃখের কারন হবে, আমরা ভুলে যাই যে ইনপাফেকশানের মধ্যেই ভগবানের পাফেকশান লুকিয়ে আছে,
আসুন এক উদাহরন দিচ্ছি, দিন আছে তাে রাতও আছে, জন্ম যেমন আছে তেমন মৃত্যুও আছে, প্রত্যেক জায়গাতেই ভগবান এক বেলেন্স দিয়েছে, কোথাও এমন কিছুই করেন নি যে ভারসাম্য নেই, যদি এই সংস্বারকে চালানাের জন্য আমাদের দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তাে ২৪ ঘন্টাই দিন রাখব বা জন্মই দিব কিন্তু মৃত্যু তাে দিবই না। আর এই ভাবে হয় তাে স্বংসারকে আমরা শেষই করে দেব, আর এই জন্য বেলেন্স অনেক বেশি প্রয়ােজন।
বন্ধুগন কোন কোন সময় আমরা যখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি সবাইর যাতে টাকা পয়সা পায় সবাই যাতে সুখী হয়, আপনি হয়তাে ভুলে যাচ্ছেন যেই দিন সবাইর কাছে টাকা পয়সা এসে যাবে, সেই দিন পয়সার কোন মহতুই থাকবে না, | যেই দিন সকলের কাছে মার্সেডিস এসে যাবে, সেই দিন মার্সেডিসের কোন মহত্বই থাকবে না, ভগবান এই যে আলাদা আলাদা তৈরি করেছেন ইহাতে তাে আমরা খুশিতেই থাকতে পারি।
উদাহরন কোন ব্যক্তি যত খারাপ অবস্থাতেই থাকুকনা এই দুনিয়াতে, এর থেকে ও খারাপ অবস্থার লােক পাবেই পাবে, আর তা দেখে সে খুশি হতে পারে। যেমন আপনি যতই মােটা হন না কেন, আপনার থেকেও অনেক বেশি মােটা ব্যক্তি আবশ্যই থাকবে, আর তা দেখে আপনাদের খুশি অবশ্যই হবে , যে আরে না না। আমার থেকেও তাে অনেক মােটা রয়েছে আমি তাে ঠিকই আছি, অথবা আপনি যদি কোন রােগের স্বিকার হন, আর আপনার থেকেও যদি বেশি রােগী দেখতে পান, তাহলে আপনার মনে হবে আরে আমি তাে ঠিকই আছি, আপনি দেখবেন সব সময়ই মানুষ এক রেফারেন্স নিয়ে চলে, মানে আলাদা আলাদা দৃশ্য দেখে আপনি সব সময় খুশি থাকতে পারেন, আপনার টাকা পয়সা কম থাকতে পারে কিন্তু এর থেকেও গরিব আপনি পেয়ে যাবেন। তাদের কম দেখে আমাদের এমন মনে হয় আমাদের কাছে অনেক কিছু আছে, আর আমাদের থেকেও উপরের ব্যক্তিও আছে যারা জীবনে অনেক সফল হয়ে আছে, যাদের দেখে অনেক মােটিভেশান হতে পারি, হা আমি অনেক ভাল হতে পারি, এই বিভিন্নতার কারনেই তাে আমরা বাঁচতে পারছি, এই ইনপাফেকশানের মধ্যেই তাে পাফেকশান রয়েছে, কারন পজেটিভ আর নেগেটিভ দুইটিই যদি থাকে তখনই তাে বিদ্যুৎ জ্বলবে! শুধু পজেটিভ রেখে দিলেন তখন দেখবেন কোন ইলেক্ট্রিক লাইট জলানাের সম্ভব না। যেই শক্তি বােদ্ধকে তৈরি করেছেন সেই শক্তিই তাে লাদেনকে তৈরি করেছেন, আপনি হয় তাে বলবেন আরে লাদেনকে তৈরি করার প্রয়ােজন কি ছিল? সেই ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন যদি লাদেন আপনার আশে পাশে নাই থাকে, তাহলে বােদ্ধের কাছে কে যেত? চিন্তার বিষয় এটি, যখন আপনাকে দুঃখ দেওয়ার মত কেউ থাকে, যখন আপনাকে কাঁদানের মতাে কেউ থাকে, তখনই তাে আপনি ভগবানের কাছে যাবেন, তখনই তাে আপনার দয়া, ভাবনা বা প্রেমের প্রয়ােজন পরবে, তা না হলে কেন আমরা ভগবানের কাছে যাব!
সুতরাং বুঝার চেষ্টা করুন ভগবান ভারসাম্য তৈরি করেছেন, আর এই ভারসাম্যের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে, মানে এই ভারসাম্যের মধ্যে সব কিছু, সম্পূর্নতা এই ভারসাম্যের মধ্যেই আছে। আর এই জন্যই আমি বলি শুন্যই হল পূর্ন, শুন্য মানে যা মাইনাসেও নাই বা প্লাসেও নাই এক ভারসাম্যের মধ্যে থাকে, যখন ভারসম্য আছে পজেটিভ নেগেটিভ তার জন্যই এই স্বংসার চলতে পারছে, অনেক জায়গাতেই আমার সাথে যখন মানুষের দেখা হয় তখন বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, তখন তাদের বলি ভাই সলিউশান তাে আমি দিতে পারি কিন্তু আপনি কি সত্যিই চান আপনার জীবন থেকে সব সমস্যার সমাধান হউক, তারা বলে হাঁ, আমি বললাম ধরেন আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে তাহলেতাে আপনার কিছু করারই থাকবে না, সমাধান তাে প্রত্যেক সমস্যারই আছে এই রকমও তাে আমরা শুনেছি যে তালা তৈরি হওয়ার আগে চাবী তৈরি হয়ে যায়, আমি এও বলতে পারি স্পিড ব্রেকার পরে তৈরি হয় প্রথমে রাস্তা তৈরি হয়, সুতরাং বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করুন, প্রত্যেক সমস্যারই তাে সমাধান রয়েছে শুধু এই সমস্যার সমাধান পযন্ত আমাদের যেতে হবে, আমাকে কোন কোন সময় মানুষ এই কথাও বলেন চন্দন যদি সমাধান প্রথমে তৈরি হয় সমস্যা পরে হয় তাহলে সমস্যাই তৈরি হয় কেন?
আপনি দেখুন আপনাকে ১০০ বৎসর ব্রেকেসান পালন করতে পাঠিয়েছে যদি, সমস্যাই না তৈরি হয় তাহলে এই ১০০ বৎসর কি করবে, আপনি তাে টুটালিই ফ্রি হয়ে পরতে, কি করতেন তখন? করার মত কিছুই থাকত না, আর লাইফে কোন। ইন্টারেষ্টই থাকত না, আপনি দেখুন এই ধরনের সমস্যা আমাদের জীবনকে কতটা ইন্টারেস্ট তৈরি করে।
তাই সমস্যা যদি তৈরি হয় তাহলে আনন্দের সাথে সমাধান খােজার চেষ্টা করুন, দুঃখ বা টেনশানের কোন প্রয়ােজন নেই, সম্যা যদি আসে তাহলে মনে রাখবেন ভগবান আপনাকে কিছু পরিক্ষা করছে, আর সেই পরিক্ষাতে আপনাকে জয়ী হতেই হবে, যদি হতে পারেন তাহলেই ভগবান আপনাকে প্রিয় ছাত্র করে নেবে, আমরা জানি স্কুলের শিক্ষক প্রথমে শেখায় তার পর পরিক্ষা নেয় আর ভগবান প্রথমে পরিক্ষা নেয় তার পর শেখায়, তাই সমস্যাকে প্রথমে আনন্দের সাথে স্বিকার করুন আর তিক্ষ্ণ বুদ্ধির সাথে সমাধানের রাস্তা খােজার চেষ্টা করুন,
No comments:
Post a Comment