সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! বন্ধুগন যে কোন বয়সে মেমরী পাওয়ার বৃদ্ধি করা যায় এবং তা প্রয়ােজন!হয়তাে অনেকেই বার বার ভুলে যাওয়ার অনেক হয়রানীতে আছেন! এই বিষয়ে আমি খুব। সুন্দর ভিডিও নিয়ে এসেছি। আশাকরি সকলে উপকৃত হবেন! অনুরােধ রাখছি ভিডিও ছেড়ে কোথাও যাবেন না!শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন!
বন্ধুগন ভগবান যখন আমাদেরকে শক্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তখন শক্তির এক ফর্মুলা দিয়েছেন! সেই ফর্মূলা হলাে ইউজ ইট অর লুজ ইট।তার মানে যদি তাকে ব্যবহার কর তাহলে তা বৃদ্ধি পাবে, নয়তাে শক্তি হারিয়ে ফেলবে!
উদাহরন:-যেমন আমার ডান হাতকে যদি এই ভাবে (ঝুলন্ত অবস্থায়/প্লাস্টার অবস্থায়) যদি এক মাস রেখে দেওয়া হয় এবং এই হাতটিকে যদি এক মাস পরে খুলা | হয় তাহলে আপনার কি মনে হয়? এই হাতটিকে দিয়ে কি আগের মতাে কাজ করতে পারব? উত্তর আমি তার ব্যবহার আগের মত করতে পারব না, কারন যদি আমার হাতকে এক মাস পর্যন্ত একই পজিশানে রাখা হয়তাহলে তার মধ্যেএক রিজিডিটি এসে পড়বে অর্থাৎ অকর্মন্যের কারনে তা আগের মতাে আর কাজ করতে পারবে না, তার ব্যবহারের আগে আমাকে কোন এক ফিজিউ থ্যারাপীষ্টের কাছে যেতে। হবে! যিনি আমার এই হাতকে ধীরে ধীরে মােভমেন্ট করাবেন।আর তখনই আমি তার ব্যবহার করতে পারব,সুতরাং এই বিষয়টিই আমাদের বুঝতে হবে যে আমাদের যে শক্তি গুলি আছেসেই গুলিকে যদি এই ভাবে না ব্যবহার করি তাহলে সেই শক্তিকে ইউজলেস হয়ে যাবে। এমনকি মানুষ বলে থাকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেমরির পাওয়ারও কমতে থাকে, বার বার ভুলে যাই!কিন্তু আমি মনে করি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেমরী পাওয়ার কমে না,আমরা ইচ্ছা করে সেই মেমরী কে ইউজ করি না,হতে পারে প্রয়ােজন পরে না! তাই পাওয়ার কমে যায়!কারন স্কুল বা কলেজ জীবনে এমন অনেকবার মেমরি পাওয়ার ব্যবহার করে থাকি,কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে যাই,তখন আমরা তার ব্যবহার তেমন করি না, আর যখন ৪০ বা ৫০ বৎসর হয়ে যায় তখন তাে আর তার ব্যবহারের প্রশ্নই উঠে না!সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টি ও জানা প্রয়ােজন যে সমস্ত মডান টেকনােলজি যেমন মােবাইল,কম্পিউটার বা লেপটপের যুগে বেশির ভাগ বিষয়ই(মেমােরী) আমরা মােবাইল বা লেপটপের মধ্যেই সেইভ করি!আর এর ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মেমরীর ক্ষমতাও কমতে থাকে, সেই জন্যই আমাদের তা জানা প্রয়ােজন যে যখন আমরা মেমরি ব্যবহার না করি তখন সেই মেমরির পাওয়ার দিন দিন শেষ হয়ে যায়! ঠিক সেই ভাবেই ঈশ্বর আমাদের যত মাইন্ড পাওয়ার দিয়েছেন বিশেষ করে ৯০% মাইন্ড পাওয়ার মানে সাব কনসিয়াস মাইন্ডের যে শক্তি তার ব্যবহার ও আমরা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারছি না! এর ফলে সেই শক্তিকে আমরা সম্পূর্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারছি না ,কিন্তু সেই শক্তিকে ও আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন,মাইন্ড পাওয়ারকে ডেভেলপ করা যেতে পারে। শরীরের শক্তিকে ডেভেলপ করার জন্য দুইটি বিষয় এক হল ভাল নিউট্রিশিয়ান ফুড,আর দ্বিতীয়টি হল এক্সারসাইজ প্রয়ােজন ,ঠিক একই ভাবে যদি আমাদের মাইন্ডের শক্তিকেও ডেভেলপ করার প্রয়ােজন তাহলে তার জন্য ভাল নিউট্রিশিয়ান, ভাল এক্সারসাইজ দুইয়ের এতটাই প্রয়ােজন, তবে শরীরের জন্য তাে নিউট্রিশিয়ান ফুড বা এক্সার সাইজ আমরা জানি, কিন্তু প্রশ্ন এখানে মাইন্ডের জন্য নিউট্রিশিয়ান বা ভাল এক্সার সাইজ কি হবে?
আসুন সেই বিষয়ে আমরা আলােচনা করছি।নিউট্রিশিয়ান ও আমাদের মনের জন্য প্রয়ােজন আর তা হল পজেটিভ থিংকিং, পজেটিভ স্পিকিং এবং পজেটিভ রিডিং মানে ভাল চিন্তা করা,ভাল পড়া,ভাল বলা,আমাদের তা জানা প্রয়ােজন!আমরা যতই পজেটিভ চিন্তা করতে পারব ততই আমাদের মনের দরজা খােলা থাকবে,সাথে সাথে আমরা যতই পজেটিভ বলতে পারব ততই আমাদের মাইন্ড পজেটিভ কাজ করতে পারবে, আর সবচেয়ে বড় কথা পজেটিভ রিডিং যার মাধ্যমে আমাদের যে বন্ধ দরজা তা খুলা শুরু করবে। যে কোন মােটিভেশনাল বই বা ইন্সপায়ারিং বই পড়ার সাথে সাথে আমি বলব এক্সার সাইজ করা,যখন এক্সার সাইজের বিষয় আসে তখন যেই ভাবে আমরা। জিমে গিয়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখার জন্য এক্সারসাইজ করি ঠিক সেই ভাবে মাইন্ডেরও জিমের মানে এক্সারসাইজ করানাে প্রয়ােজন!তা বলার কারন মাইন্ডেরও এক জিমের ব্যবস্থা আছে যাকে আপনি বলতে পারেন ,রিলেকজেশান, মেডিটেশান এবং ভিজুলাইজেশান আর তাই হল নিউট্রিশিয়ান অফ দ্যা মাইন্ড এন্ড এক্সারসাইজ অফ দ্যা মাইন্ড।বন্ধুগন এখন এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আমাদের মেমরীর শক্তি ১০০% সেভ আছে কিন্তু তাকে যদি ইউজ না করি তাহলে তাে তা ইউজ লেস হবেই, আর যদি তাকে পূনরাই ইউজ করতে শুরু করেন তাহলে তার লাভ নিতে পারবেন,তাহলে দেখুন কি করবেন? মেমরীকে ডাস্টবীনে ফেলে দেবেন না কি তাকে ইউজ করবেন? বয়স ফেক্টার না ফেক্টার ব্যবহারের উপর! বন্ধুগন মেমরীর পাওয়ারকে কি ভাবে আরও সতেজ ও শক্তিশালী করা যায় তার টিপস পাওয়ার জন্য এই চেনেলের সাথে যুক্ত থাকুন,
ধন্যবাদ!
No comments:
Post a Comment