ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে?NEED OF GOD | Law Of Attraction| Rajyog Pathshala

 



ভগবান আছে কি নেই এই বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে, এই ভিডিওটি দেখার পর আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ভগবান আছে কি নেই এই প্রশ্নটি প্রত্যেকের মনেই আছে কিন্তু সঠীক উত্তর আজ অবদি কোথাও পাওয়া যায় নি!যদি কোন ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানে এর উত্তর খোঁজতে যান তাহলে উত্তর আসে হা ভগবান অবশ্যই আছে। আবার যদি কোন বাস্তববাদি বা। বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ব্যক্তির কাছে খোজতে যান তাহলে তাদের থেকে উত্তর আসে, ভগবান বলতে কিছু নেই!এই দুই চিন্তা ভাবনা বিপরীত হওয়ার কারনে আমাদের মধ্যে সংশয় দানা বাঁধে আরে! ভগবান কি সত্যিই আছে? না নেই? আর এই মুহুর্তে ভিডিওর থাম্বনেলটি নিশ্চই আপনার মধ্যে এক নতুন কৌতুহল বা উৎসাহ তৈরি করেছে? আর আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি এই ভিডিওটি সম্পূর্ন ভাবে দেখার পর আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন! অনুরােধ | থাকবে ভিডিও ছেড়ে কোথাও যাবেন না! শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন!

এতদিন পর্যন্ত এক প্রশ্ন চলে এসেছে ভগবান কি এই সংসারে আছেন? এতদিন পর্যন্ত আমাদের কাছে এই প্রশ্ন এক বড় প্রশ্ন ছিল! কিন্তু আজকে আপনাদের এক নতুন প্রশ্ন করতে চাইছি, তা হলাে Do we need God?মানে আমাদের কি ভগবানের প্রয়ােজন আছে? তাহলে তার উত্তর হল হাঁ, আমাদের ভগবানের প্রয়ােজন আছে, অনেক দার্শনিক বা চিন্তাবিদের মতে ভগবানের অস্তিত্ব যদি থাকে তাহলে খুব ভাল, আর যদি না থাকে তাহলে আমাদের ভগবানের এক অস্তিত্ব বানাতে হবে! এই প্রসঙ্গে আমার ফরাসী গনিতবিদ ও পদার্থবিদ, - ব্লেইসে পাসকেলের কথা মনে পরছে ,“তিনি বলেছেন “ভগবান যদি না থাকে আর আমরা যদি তাকে বিশ্বাস করি,
তাতে কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু যদি ভগবান থাকে আর আমরা তাকে না মানি তাহলে মারত্বক ক্ষতি হয়ে যাবে” কারন ভগবানের অস্তিত্ব আমাদের জীবনে এক মনােস্তাত্বিক চাহিদা ! দেখুন আমাদের জীবনে শুধু দু মুষ্টি খাবার খেলেই চলে না, আমাদের অনেক কিছুর প্রয়ােজন পড়ে, আমাদের ভালবাসার প্রয়ােজন, যত্নের প্রয়ােজন, সুরক্ষার প্রয়ােজন, আমাদের দু:খকে শুনার মতাে ব্যক্তির প্রয়ােজন, আমাদের এমন জায়গার দরকার যেখানে গিয়ে আমরা কাঁদতে পারি, দু:খকে শেয়ার করতে পারি! বিদেশে চেম্বার এই দেশে ভগবান বা মন্দির আমাদের জীবনে বিশেষ ভুমিকা পালন করে! মানে এক চিকিৎসালয় হিসাবে কাজ করে,
যদি কোন ব্যক্তির নিজের দু:খকে ভগবানের সাথে শেয়ার করে বা মন্দিরে কাঁদতে থাকে আর কেঁদে যদি শক্তিশালী হয়ে সেখান থেকে বের হয় তাহলে তার অনেক লাভ হয়! তবে তার আগে বলতে চাইছি কোন এক সময় কান্না খারাপ না, কিন্তু কাঁদতেই থাকা অনেক বেশি খারাপ, যদি আপনি মন্দিরে বা ভগবানের কাছে গিয়ে কাঁদেন তাহলে আপনি এক শান্তি বা শক্তির অনুভব করবেন, অনেকে হয়তাে বলবেন তা কিভাবে? মানুষ ভগবানের কাছে কাঁদলে বা ভগবানকে বিশ্বাস করলে কিভাবে পজেটিভ শক্তির অনুভব হয়?
সেই প্রসঙ্গে আমি তার প্রকৃত উদাহরণ দিয়ে বলছি যেমন দেখা যায় মানুষ অনেক সময় তাবিজ, কবচ, উঝ এবং মন্দিরে মানত করে, নিজের ইচ্ছাকে পূর্ন করার জন্য! আবার দেখাও যায় কিছু দিনের মধ্যে তাদের সেই আশা বা ইচ্ছা পূর্ন হওয়া শুরু করে। কিন্তু কিভাবে?
আপনার কি মনে হয় ঈশ্বরের কাছে মানত করা বা তাবিজ কবজ ব্যবহার করার ফলে তার অ্যাফেক্ট ব্যক্তির জীবনে প্রভাব পড়ে? আসলে সেখানে ল অব অ্যাট্রাকশান কাজ করা শুরু করে, আমি তাবিজ কবচ বা মানত করা ইত্যাদির বির্তকে যাবনা, তবে আমি মনে করি তার পেছনে ল অব অ্যাট্রাকশান কাজ করে! কারন ল অব অ্যাট্রাকশান মানেই আপনি যা কল্পনা করবেন বা যা মনে মনে ভাববেন তা বাস্তবে আকার নেবে! উদাহরন, আপনি অসুস্থ হলেন আর উঝা আপনাকে এক তাবিজ দিয়ে বললেন কাল থেকে তুমি সুস্থ হয়ে যাবে, আর আপনার মনে তখন থেকেই এক

পজেটিভ চিন্তা তৈরি হওয়া শুরু করে! যে উঝা আমাকে তাবিজ দিয়েছে আমার আর কিছু হবে না আমি সুস্থ হয়ে যাব, আর সেই পজেটিভ চিন্তা , ভাবনার কারনেই আপনার ভিতরের এনার্জি দ্বিগুন হয়ে যায়, তাকেই বলে ল অব অ্যাট্রাকশান! আর একে আমরা আরেক ভাবেও বুঝতে পারি! যেমন ধরুন প্রচন্ড শীত চলছে আর আপনার অনেক বেশি ঠান্ডা লাগছে, তখন আপনি হয়তাে ঘরের এক কোনে আগুন জ্বালিয়ে শরীরকে গরম করেছেন!

আচ্ছা এতে আপনার শরীরতাে গরম হয়েছে কিন্তু প্রশ্ন হল বাইরের ঠান্ডা কি কমেছে? উত্তর আসবে না, আগুনের কারনে আপনার তাপ অনুভব হচ্ছে! আমি তাে এই বিষয়টিই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যখন আপনাদের জীবনে অনেক দুঃখ,কষ্ট হয় যন্ত্রনা হয়,

আর যখন আপনি ঐ সময় ভগবানের কাছে গিয়ে বসেন তখন আপনার সুখ অনুভব হয়, শান্তির অনুভব হয়, কিন্তু বাইরের দুনিয়ার দু:খ কি কমেছে? কমে নি, কিন্তু ভগবানের সামনে আপনি সুখ ও শান্তির অনুভব করেন, এই দিক দিয়ে যদি বিচার করেন তাহলে বলা যায় ভগবানের প্রয়ােজন আছে! তাছাড়া বন্ধুগন যখন আপনি খুশিতে থাকবেন আপনি কার সাথে নিজের খুশিকে শেয়ার করবেন? বা আপনি যখন দু:খ যন্ত্রনা পাবেন তখন কার সাথে শেয়ার করবেন?

আপনি এমন কোন ব্যক্তি কি পাবেন যে আপনার সুখে সুখী হবে? আপনি এমন কি ব্যক্তি পাবেন যে আপনার দু:খে সত্যিই দু:খী হবে? হয়তাে না, কিন্তু এর বিপরীত মানুষ অবশ্য পাবেন! এক উদাহরন দিচ্ছি একবার এক ব্যক্তি ভাল একটি চাকরি পেয়ে, আনন্দে পাশের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেল আর গিয়ে বলল কাকা বাবু আমি এক ভাল চাকরি পেয়েছি, তখন কাকা সেই ব্যক্তিকে বলে খুব ভাল খুব ভাল আনন্দ পেয়েছি তুমি চাকরি পেয়েছ জীবনে এগিয়ে যাও, কিছু সময় পর সে নিজের বাড়িতে চলে যায়, তখন সেই ব্যক্তি নিজের পত্নির সাথে বলেন আমাদের ভাগ্যই খারাপ বাড়িতে ৪ জন বেকার একজনও চাকরি পেল না, তার কি কপাল দেখ চাকরিটা পেয়ে গেল! একই ভাবে এক ব্যক্তি যার ব্যবসাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে সে পাশের বাড়িতে গিয়ে দুঃখ করে বলে দাদা কি বলবাে আজকাল বাজার খুব মন্দা চলছে!

আমার ১০ লাখ লােকসান হয়ে গেছে! কি করবাে ভেবে পাচ্ছিনা? তখন আপনার সামনে সে অনেক দু:খ করে যখন আপনি চলে গেলেন তখন উনি স্ত্রীর সাথে বলেন ওর এটাই দরকার ছিল,খুব উড়ছিল!খুব ভাল হয়েছে! বন্ধুগন আপনার সত্যিকারের বন্ধু কে যে আপনার সুখে সুখী হয় বা আপনার দু:খে দু:খী হয়?

কে আছে যে আপনার কথা শুনতে চাইবে? উত্তর আসবে নেই! সেখানেই ভগবান আমাদের জন্য এক বন্ধুর মত কাজ করে! তিনি আমাদের কথাকে শুনেন, উনি আমাদের সুখে সুখী হন, আমাদের দু:খে দুখী হন, এর থেকেও বড় কথা যখন উনি আমাদের

দু:খ শুনেন সবচেয়ে উল্লেখ যােগ্য বিষয় হল তিনি অন্য কারুর সাথে তা শেয়ার করেন না! আপনি দেখবেন আপনি যখন কোন ব্যক্তির সাথে আপনার দু:খকে।শেয়ার করেন দেখবেন তিনি কিভাবে তা ভাইরাল করে দেয়? প্রয়ােজনে তা ফেইসবুকের স্টেটাস করে দিয়ে খুশী অনুভব করবেন , কিন্তু ভগবান আপনার দু:খকে নিয়ে অন্য ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবে না বা রসিকতা করবে না? এমন কি পরবর্তী সময়ে কোন উপদেশ ও দেবে না ! অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন কেউ কোন সমস্যা কারুর সাথে শেয়ার করে ।

আসলে সে কোন সলিউশান চায় না!কোন উপদেশ চায় না! শুধু এই টুকুই চায় যাতে সামনের ব্যক্তি তার কথা গুলাে মন দিয়ে শুনে, আর

বুঝার চেষ্টা করে! কিন্তু সে না শুনে উল্টো উপদেশ দিতে থাকে উল্টো বুঝাতে থাকে কোনটি সঠিক কোনটি ভুল!

কিন্তু ভগবান আপনার সব কথা মনযােগ দিয়ে শুনেন কিন্তু কথার মাঝে বাধা দেন না,এমন কি আপনাকে উপদেশ ও দেবেন না, কোনটি ভুল হয়েছে কোনটি অন্যায় হয়েছে তার বিষয়ে ও আপনাকে কিছু বলবে না, চুপ চাপ সব শুনতে থাকে আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন ভগবান আমাদের জীবনে কতটা সাইকোলজিকেলী প্রয়ােজন? তাছাড়া ভগবান আছে তা যদি মানুষ মেনে নেয় তাহলে তাদের জীবন এক সুন্দর শান্তপ্রিয় ও সংস্কার সম্পন্ন হয় তার এক উদাহরণ দিচ্ছি যেমন এক ব্যক্তি তার অভ্যাস অনুসারে সিগারেট পান।

আর হাটতে হাটতে মন্দিরের দিকে যাচ্ছে মন্দিরের কাছে যখন পৌছায় তখন সে সিগারেট টি ফেলে দিয়ে নিভিয়ে দেয়! তারপর সে মন্দিরের ভিতরে গিয়ে যা কিছু তার রিতি নীতি নিয়ম তা করে আবার বাইরে বেড়িয়ে পরে! বাইরে এসেই অভ্যাসের কারনে আবার সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে আমার এক সাধারন প্রশ্ন আপনাদের কাছে যে , সে মন্দিরের ভিতর সিগারেট পান করে নি কেন? কারন সে জানে মন্দিরে ভগবান আছে, ভগবান এই সব পছন্দ করেন না! আর যারা ভগবানকে নিরাকার মনে করেন আবার অনেকে উনার সঠীক পরিচয়ও জানেন না!

তাদের ক্ষেত্রেতাে আরও মুশকিল, কারন তারা বলেন ভগবানের কোন আকার | নেই! উনি নিরাকার সব জায়গাতে আছেন। অর্থাৎ সৰ্ব্বব্যাপী! উনি আপনার সব কিছু দেখছেন তাই সাবধানে চলতে হবে!

আপনাকে আদর্শ ও সংস্কারী হয়ে চলতে হবে, তা না হলে ভগবান তার বিচার করবেন!অনেক ভয় দেখানাে হয়! ভয় দেখানাের কারন হলাে আমরা যাতে সঠীক ভাবে কর্ম করি! আসলে ভগবান সর্বক্ষেত্রেই আপনার এক গাইডার হিসাবে কাজ করেন! তাই ভগবান আছে কি নেই তা ইম্পর্টেন্ট নয়, ইম্পর্টেন্ট হল আমাদের কি ভগবানের প্রয়ােজন আছে? যদি ভগবান থাকে তাহলে ভাল, যদি না থাকে তাহলে আমাদের ভগবানকে তৈরি করতে হবে! ভিডিও দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ! আশাকরি এই ভিডিওটি আপনাদের ভাল লেগেছে!ভাল লাগলে লাইক করবেন আর কমেন্ট করে জানাবেন! বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করবেন!আজকে এপর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন ভিডিওর সাথে!ততদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন!

ধন্যবাদ!





No comments:

Post a Comment