বন্ধুগন আসন্ন বড় দিন বা খ্রিষ্টমাস উপলক্ষে আপনাদেরকে জানাই আন্তরীক প্রীতি ও শুভেচ্ছা, বন্ধুগন খ্রিষ্টমাস দিনটিতে শুধুমাত্র যারা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আছেন, তারাই শুধু খ্রিষ্টমাস পালন করেন তা নয়, অন্যান্ন ধর্মাবলম্বীরাও এই দিনটিকে, খুবই আনন্দ ও উৎসাহের সাথে পালন করেন, কারন এই দিনটির সাথে অনেক আধ্যাত্বিক তাৎপর্য জড়িয়ে রয়েছে!
আবার এই দিনটিকে সবাই বড় দিন বলেও পালন করেন, এবং দীর্ঘদিন ধরেই এই ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড় দিন হিসাবে পালন করে আসচ্ছেন। আপনারা যারা আধ্যাত্বিক অন্বেষণ কারী ব্যক্তিত্বরা আছেন,এই ভিডিও আপনাদেরই জন্য!ভিডিওটি শেষ পর্য্যন্ত দেখবেন,আশা করি আপনাদের জীবনে এক আধ্যাত্বিক জাগরণ হবে! আমি চন্দন কুমার সাহা মোটিভেশানাল স্পিকার,লাইফকোচ, মাইন্ডট্রেইনার, হেলথ এরয়ারনেস ট্রেইনার এবং রাজযোগ শিক্ষক!
এই ভিডিও জীবন জিজ্ঞাসার এক নতুন দিক উন্মোচন করবে! আচ্ছা বন্ধুগন, শ্রীকৃষ্ণ যেই দিন জন্মে ছিলেন, সেই দিনটিকে আমরা জন্মাষ্টমী হিসাবে জানি! এমন কি প্রতি বৎসর ঐ দিনটিতে জন্মাষ্টমী হিসাবে পালনও করে আসচ্ছি,কৃষ্ণ ও ক্রাইষ্ট রাশী কিন্তু এক! কিন্তু ২৫ ডিসেম্বরটিতে খ্রিষ্টমাস ডের পাশা পাশি বড় দিন হিসাবে পালন করা হয় কন? শুধু তাই নয়, এই দিনটিতে সান্তা ক্লোজের নাম আসবে না তা হতেই পারে না, তা না হলে খ্রিষ্টমাস পালনই হবে না!
অনেকের ধারনা, যীশুই অর্থান যীশু খ্রিষ্টই হল সান্তা ক্লুজ, যিনি প্রতি বৎসর ২৫ শে ডিসেম্বর আমাদের পৃথিবীতে আসেন, আর প্রত্যেক কে বিভিন্ন গিফট দিয়ে যান, আনন্দ দিয়ে যান, এই ধরনের মান্যতা রয়েছে, আজ এই যে মান্যতা রয়েছে,তার প্রেক্ষাপটে ,আমার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি মাত্র..... আচ্ছা বন্ধুগন, প্রথমে আমার এক প্রশ্ন- যদি এই দিনটি থেকেই দিন বড় হতে শুরু করে, তাহলে তো দিন বড় হতে হতে এমন এক দিন আসবে, যেই দিন অনেক বড় হবে,
তাহলে ঐ দিনটিকে কেন বড় দিন বলা হয় না, বাস্তবে তার কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য বা যুক্তি আমাদের কাছে নেই,আসলে পরমপিতা পরমাত্মা যাকে গড, আল্লাহ্, জীহোবা, শিব, সন্তাই, ইত্যাদি নামে ডাকা হয়, যিনি সম্পূর্ন নিরাকার, তিনি কলিযুগের রাতকে সত্য যুগের দিন বানানোর জন্য, অর্থাৎ সম্পূর্ন নরক দুনিয়াকে সম্পূর্ন স্বর্গ বানানোর জন্য বা তমোপ্রধান দুনিয়াকে সতোপ্রধান বানানোর জন্য এই ধরা ধামে অবতির্ন হন, আর এই দিনটিকেই তো বড় দিন মনে করা উচিত,বিবেক কি বলে? এতদিন যা শুনে এসেছি তা সত্য? না এখন যা পরমাত্মা বলছেন তা সত্য?
সেই মহান দিনটিতেই ব্রহ্মার রাত, ব্রহ্মার দিনে পরিনত হয়! বন্ধুগন, তিনি নিরাকার হওয়ার কারনে দাদা লেখরাজ জীর দেহে প্রবেশ করেন, মানব শরীরে প্রবেশ করাকে বাস্তবে, অর্থাৎ গীতাতে পরকায়া প্রবেশ বলা হয়েছে, যদা যদা হী ধর্মস্য গ্লানির ভবতি ভারত এই শ্লোকে আমরা সবাই জানি সবাই পরিচিত সবাইর অনেক ভাবাবেগ রয়েছে..... আমরা যদি আরেকটু ভেবে দেখি তাহলে শান্তা ক্লোজের সঙ্গে আধ্যাত্মিক রহস্যের অনেক সামঞ্জস্য খুজে পাব, প্রথমত লাল টুপি দেখানো হয়েছে,যা আসলে ঈশ্বরের প্রতিক, ঈশ্বর পরমধাম নিবাসি, সেখান থেকে লাল শক্তির শ্রোত শুধু আমাদের প্রদান করে চলেছেন,মনকে শান্ত করলেই এই শক্তি আমরা অনুভব করতে পারি!
টুপির শেষ প্রান্তে যে স্টার দেখানো হয়েছে, তা বাস্তবে ব্রহ্মার আত্মার প্রতিক,যে শরীরে পরমাত্মা প্রবেশ করেছেন! সাদা দাড়ি দেখানো হয়েছে, আসলে তা বৃদ্ধ ব্রহ্মার প্রতিক, পরনে যে লাল বস্ত্র রয়েছে তা শিব বাবার প্রতিক, যিনি ব্রহ্মার দেহ রুপী বস্ত্রকে ধারন করেন! অর্থাৎ উনার শরির লোন নিয়েছেন! কোমরে বেলটকে আত্মা পরমাত্মার সাথে কম্বাইন থাকা অবস্থাকে বলা হয়েছে, এই সময়ে আমাদের যে দু:খ, দুর্দশা, এই সময়ে সারা দুনিয়াতে যে, রাবন রাজত্ব, এই রাবন রাজত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, আত্মাকে স্মরনের দ্বারা পরমাত্মার সঙ্গে কম্বাইন থাকা একান্ত প্রয়োজন! অর্থাৎ মন্মনাভব হওয়ার একান্ত প্রয়োজন! আর শান্তা ক্লোজের যে লংবুট দেখানো হয়েছে,অর্থাৎ বুট বা জুতো দেখানো হয়েছে, তা আসলে ব্রহ্মার শরীরের প্রতিক, যেহেতু ব্রহ্মার আত্মা অনেকবার এই পৃথিবীতে জন্মেছেন!
বন্ধুগন, ভগবানের দেহরুপী বস্ত্র যা চামরায় ঢাকা থাকে, তাকেই তো লংবুট বলা হয়! আর লং বুট তৈরি করতে চামড়ারই তো প্রয়োজন হয় তাইনা? তা আসলে সেই দেহেরই প্রতিক! আর শান্তা ক্লোজের কাঁধে যে লাল ঝুড়ি দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে মিষ্টি, খাবার, চকলেট, ইত্যাদি দেখানো হয়েছে, যা খুশিতে বিতরন করা হয়, এর অর্থ বর্তমানে পরমপিতা পরমাত্মা শিব, ব্রহ্মার মুখের দ্বারা, মধুর জ্ঞান রতœ উনার সন্তানের উদ্দেশ্যে দান করেন!
যে খ্রিষ্টমাস গাছটি দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে অনেক নক্ষত্র বা স্টার থাকে তা সৃষ্টি রুপী কল্প বৃক্ষকে দেখানো হয়েছে! যাকে চার যুগ বা এক সাথে কল্প বৃক্ষ বলা হয়, সত্য ত্রেতা দ্রাপর কলি, এটিই তার আধ্যাত্মিক রহস্য! সৃষ্টির অন্তিম সময়ে, পরমপিতা পরমাত্মা সমস্ত আত্মাদের কল্যানার্থে এবং তাদেরকে তমোগুনি, প্রভাব থেকে সতগুনি প্রভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য বা আলোকময় বানানোর জন্য, এই সুন্দর মূহুর্তে এই ধরা ধামে তিনি অবতির্ন হন! নক্ষত্রগুলি বাস্তবে লাইটের প্রতিক বা আলোর প্রতিক, যা আত্ম জাগৃতির প্রতিক!
প্রচন্ড দু:খ,কষ্ট আর যন্ত্রনা থেকে মানব সমাজকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরম কুরুনাময় ঈশ্বর, এই মুক্তির বার্তা নিয়ে, এই ধরা ধামে অবতির্ন হন! বন্ধুগন আমরা ধিরে ধিরে অনেক আধ্যাত্মিক রহস্যকে জেনেছি, এই রহস্যকে জেনে আমাদের জীবনকে অনেক অনেক সুন্দর করার সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে, এক মেসেজ আমাদের কাছে এসেছে, যদি এই ভিডিওটিকে আপনাদের ভাল লেগে থাকে, তাহলে তাকে আপনারা লাইক করবেন, শেয়ার করবেন, কমেন্ট করবেন, তাকে সাবস্ক্রাইভ করবেন,আর ধিরে ধিরে এই ধরনের ভিডিও আপনারা পেতে থাকবেন! আগামী ভিডিও পযর্ন্ত আপনারা ভাল থাকবেন, আজকের ভিডিও এই পর্যন্ত ।
ধন্যবাদ!
No comments:
Post a Comment