স্বংসারই বলেন, আর পরিবারই বলেন, গড়তে তাে অনেক কষ্ট, তার জন্য যেমন প্রয়ােজন পরিশ্রম, তেমনি প্রয়ােজন সময়, তার পাশা পাশি প্রয়ােজন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত, এর পাশা পাশি আমি আরও বলতে পারি সঠিক আচারন, কিন্তু স্বংসার ভাঙ্গতে কি কোন পরিশ্রমের প্রয়ােজন আছে? স্বংসার ভাঙ্গতে না প্রয়ােজন আছে পরিশ্রম, না প্রয়ােজন আছে সঠিক সময়ের, না সঠিক আচরনের। কিন্তু আজকে এই বিষয় গুলি আপনাদের সাথে আলােচনা করার উদ্দেশ্য কি? কি পাওয়া যাবে এই ভিডিওটি দেখে? দেখুন বন্ধুগন, যারা আজ স্বংসারে শান্তি পাচ্ছেন না, প্রতি মুহুর্তে বিভিন্ন অশান্তি স্বংসারে লেগেই আছে, তারা হয়তাে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও করেছেন, হতে পারে তা সামাজিক সালিশি সভার মাধ্যমে, নয় তাে কোন স্বংসারে শান্তির জন্য পূজা পাঠ করা, বা হতে পারে কোন এস্ট্রোলজির থেকে নিজের বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির প্রতিকার করা,
যাই হউক দেখা গেছে এত সব কিছু করা সত্যেও স্বংসারে শান্তি আসচ্ছেনা, আসলে যারা এই ধরনের সমস্যার স্বিকার হচ্ছে, তারা হয়ত এই সমস্যাটির মূলে কি রয়েছে, কেন হচ্ছে, তা জানে না, বন্ধুগন আজকাল বিভিন্ন মিডিয়াতে এই ধরনের সমস্যা প্রচুর দেখা যাচ্ছে, আমি এমন অনেক ঘটনার তথ্যগুলিকে এক সঙ্গে করে এক সুত্র পেয়েছি, যেই সুত্রটি আপনারা জানতে পারলে, আমি নিশ্চিত, যদি আপনার স্বংসারে এই ধরনের সমস্যা চলে থাকে তার সমাধান পেয়ে যাবেন, এমন কি যদি আপনি ও চান আপনার স্বংসারকে দির্ঘদিনের জন্য এক স্থায়ি পিলার তৈরি করতে, তাহলে এই ভিডিও টি আপনার জন্য ১০০% পাফেক্ট হবে।
এর মধ্যে প্রথম কারন হতে পারে, নিজের অহংভাবকে না বুঝতে পারা,এমন অনেক পরিবারেই দেখা গেছে যারা নিজের চিন্তাভাবনাকে সঠিক, উত্তম আর অধিক গুরুত্ব বলে মনে করেন, নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান বলে মনে করেন, ভাবেন আমি এখন যা ভাবছি তা আজকে দিনে সঠিক সিদ্ধান্ত, নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান বলে মনে করে যে অহংকার করছে, তা কিন্তু তারা অনুভব করতে পারে না, এই সব লােক অন্য ব্যক্তির অহংকারকে সবাইর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চায়, ঐ দেখ সে অহংকার করছে , কিন্তু তারা নিজেই যে অহংকারের স্বিকার হচ্ছে তা তারা উপলােব্দি করতে পারে না, এর ফলে পরিবারের অন্য সদস্যদের চিন্তাভাবনার কোন গুরুত্বই দেয় না, এমন কি পরিবারের অন্য ব্যক্তিদের ফিলিং ও বুঝতে চায়না, আর পরিবারের অন্য সদস্যদের চিন্তা ভাবনাকে গুরুত্ব না দেওয়াই, মতানৈক্যের শুরু হয়, ধিরে ধিরে সংসারে ফাটল দেখা দেয়,
দ্বিতীয় কারন হতে পারে, নিজের বয়সের সঙ্গে যা যা ভুমিকা নেওয়া, তা নিতে পারেনা, এমন অনেক পরিবারেই দেখা যায় পরিবারের যিনি কর্তা সে হতে পারে, কোন একজনের স্বামি, বা হতে পারে কেউর পিতা, বা বড় ভাই, আর সেই বয়জেষ্ঠ হওয়ার কারনে প্রথম থেকেই সে অন্যদের উপর সব সময়, নিতি আদর্শ, কর্তব্য অকর্তব্য ঐ সব বিষয়ে শাসন করতে থাকে, কিন্তু সে ভুলে যায় তার বয়স হয়ে গেছে, তার ও যে ছেলে রয়েছে, সেও কোন একজনের স্বামি বা কেউর পিতা হয়ে গেছে, তাই তার উপর এখন শাসন করার পরিবর্তে তার থেকে পরামর্শ নেওয়া প্রয়ােজন, কিন্তু তা না করে বয়সের সাথে সাথে নিজের ব্যবহারকে পরিবর্তন করতে পারে না,
তৃতিয় কারন হতে পারে আপনার নিজের কষ্টকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেয়ার করার সময় শুনতে বাধ্য করা, যেমন ধরেন, আপনি কত পরিশ্রম করে অর্থ উপর্জন করছেন, অনেক কষ্টকে সহ্য করে স্বংসারকে চালাচ্ছেন, সেই বিষয়ে প্রতিমূহুর্তে অন্য ব্যক্তিদেরকে স্মরন করিয়ে দেওয়া, এবং নিজেকে জাহির করা, এবং অন্য সদস্যদের ভুমিকাকে অস্বিকার করা, এই গুলির ফলে পরিবারের অন্য সদস্যদের আপনার প্রতি বিতৃষ্ণা ভাব তৈরি হয়ে যাবে, তা পুরুষ মহিলা যেই কোন ব্যক্তিই হতে পারে, আপনাদের নিজের কষ্টকে বার বার শুনাতে হবে না, একটি স্বংসার শুধুই একজনই সুন্দর করতে পারে না, তার জন্য প্রত্যেকের ভুমিকা রয়েছে, হয়তাে কোন একজনের ভুমিকা চোখে পরে, আরেক জনের ভুমিকাকে চোখে পরে না,
চতুর্থ কারন হতে পারে পরিবারের উত্তরাধীকারদের আসার পূর্বে পরিবারের সঠিক প্লেন না করা, এই বিষয়টির মানে একদম সহজ, আজকাল দেখা যায়, পরিবারের বেকগ্রাউন্ড, তা হতে পারে অর্থ, ধন সম্পদ,পরিবারের আই ব্যয়, চাহিদা সার্বিক পরিস্থিতির চিন্তা না করে পরিবারে নতুন সদস্যকে নিয়ে আসা, এর ফলে প্রতিদিনের চাহিদার সাথে ভারসাম্যকে রক্ষা করা সম্ভব হয় না, এমনও দেখা গেছে ১০০% পরিশ্রম করা সত্যেও ১০০% চাহিদা পূর্ন করা সম্ভব হয় না, এর ফলে চাহিদা দিন দিন বেড়ে যায় আর মানসিক চাপ বেড়ে যায়, আর তার প্রভাব স্বংসারের উপর পরে
৫মত পরিবারে সঠিক আদর্শ শিক্ষা, বন্ধুগন আজ কাল যে সব স্বংসারে অশান্তি দুঃখ যন্ত্রনার স্বিকার হচ্ছে তার প্রধান কারন আপনি বলতে পারেন সঠিক আদর্শ শিক্ষা, আসলে স্বংসারকে জোড়তে অনেকের সাহায্য প্রয়ােজন, কিন্তু ভাঙতে একজন ই যতেষ্ঠ, তাই স্বংসারের বাতা বরনকে এমন তৈরি রাখতে হবে, যাতে স্বংসারের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে সঠিক নিতি আদর্শ বিরাজ করে, অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে সঠিক আদর্শ বলতে কি বুঝায়? আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে আমি বলব, প্রথমত যান্ত্রিক জীব থেকে আধ্যাত্মিক জীব তৈরি করা, উদাহরন যদি দেখি জন্মের পর থেকে মানুষকে এমন ভাবে শিক্ষা দেওয়া শুরু হয়, যাতে কম্পিটিশানে সকলের আগে থাকে, সকলকে হাড়িয়ে নিজে ফাস্ট হয়ে যায়, তাদেরকে এমন শিক্ষা দেওয়া হয় না যদি কম্পিটিশান করতে হয়, তাহলে নিজের সাথে কম্পিটিশান করা উচিত, অন্য ব্যক্তির সাথে না, নিজে কতটা উন্নত হয়েছ, কতটা পরিবর্তন করতে পেরেছ তার উপর ফোকাস কর,
এটি যদি শিক্ষা না দেওয়া হয় তাহলে কি হয়, তাহলে অন্য ব্যক্তি থেকে নিজেকে অনেক বড় মনে করে, আর অন্যদের কোন সম্মানই দেবে না, যার প্রভাব ধিরে ধিরে নিজের পরিবারেও পরতে থাকে, ঐশ্বরীক চিন্তা ভাবনা এক বড় প্রভাব তৈরি করে ব্যক্তির মনে, সব সময় নিজের মনকে শান্তিতে রাখা, অন্য ব্যক্তিদের সম্মান দেওয়া, অন্যের খুশির জন্য নিজের খুশিকে সেক্রিফাইস করা, যার প্রভাব সংসারের উপর পরে, যার ফলে স্বংসার সব সময়ে খুশি আর আনন্দে থাকে, অনেকে হয়ত বলবে আরে না, এ ছাড়াও আর কিছু ঘটনা রয়েছে, যেই গুলির কারনেই আজ স্বংসারে এই সব অশান্তি দেখা দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব, যেই সংসারে আজ অশান্তি দেখা দিচ্ছে, তাদের স্বংসারে যদি এই পাঁচটি সিস্টেম ফলাে করে তাহলে বিকল্প আর কোন কারনই দেখা দেবে না, আর যদি ফলাে না করে তাহলেই অন্য কারন দেখা দেবে..
No comments:
Post a Comment